উত্তরপূর্বের সহিংস-অস্থিরতা আঞ্চলিক শান্তুি, স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ



আবুল খায়ের মোহাম্মদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উত্তরপূর্বের সহিংস-অস্থিরতা আঞ্চলিক শান্তুি, স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ

উত্তরপূর্বের সহিংস-অস্থিরতা আঞ্চলিক শান্তুি, স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ এশিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চল দৃশ্যত শান্ত থাকলেও সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মণিপুর রাজ্যে। এখনও সেখানে সহিংসতা এবং রক্তপাত বিরাজমান। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের সহিংস-অস্থিরতার প্রতিক্রিয়া আঞ্চলিক শান্তুি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

উত্তরপূর্ব ভারতে সাম্প্রতিক সহিংসতার মূলে রয়েছে উপজাতিগত দ্বন্দ্ব। যখন ভারতের মণিপুর রাজ্যের হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল, তখনই অন্যান্য উপজাতি সংগঠনগুলো তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সশস্ত্র সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে।

মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নামানো হয় সেনা এবং আসাম রাইফেলস বাহিনিকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ১ মাস কেটে গেলেও এবং খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরেও সেখানে হিংসা থামেনি এবং থেমে থেমে সহিংসতা ও সশস্ত্র তৎপরতা চলছে।

কুকি উপজাতির অধিকাংশই খ্রিস্টান হওয়ায় এবং তাদের অনেক সদস্য মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বসবাস করায় ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও জাতিগত কারণে নিবিড়ভাবে আবদ্ধ। ফলে মনিপুরের ঘটনার প্রভাব ত্রিদেশীয় কুকি উপজাতি সদস্যদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনিভাবে কুকি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের উত্থানেরও আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী বান্দরবানে কুকিদের সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায়। পরবর্তীতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও রিক্রুটমেন্ট সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়, যা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

শান্তিচুক্তির দুই যুগের বেশি সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারায় পাহাড়ি-উপজাতি এবং পাহাড়ি-বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর জীবনমানের অভূতপূর্ব অগ্রগতির পটভূমিতে নতুন করে সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনা কিসের আলামত, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিশেষ করে, দুই যুগ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে হানাহানির অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান হয়ে এসেছিল শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের নতুন ভোর। তারপর আলোকোজ্জ্বল হয়েছে পশ্চাৎপদ পার্বত্যাঞ্চল। নবজীবনের স্বাদ পেয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী উপজাতি ও বাঙালি জনগোষ্ঠী। এখন যদি আবার সেখানে রক্তপাতের উত্থান ঘটে, তাহলে পার্বত্যাঞ্চলের যাবতীয় অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ফলে অকস্মাৎ বান্দরবানের গহীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাদের স্বার্থে, কাদের মদদে শুরু হলো সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নাশকতা, তা অনুসন্ধান করে মূলোৎপাটন করা জরুরি। অভিজ্ঞরা বলেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম হলো লাভজনক সন্ত্রাসবাদের ‘দোকান’। সেখানে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞার নাম 'পাহাড় দখল'। তারপর আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক মাফিয়া গোষ্ঠীর মদতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আফিম ও গাঁজার চাষ। বিশ্বের অন্যতম প্রধান হেরোইন রাজধানী, অস্ত্রের বাজার ও মানব পাচারের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তরেখা।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিক তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশের অপর পার্শ্বের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো মাদক তৈরির ও অস্ত্রের কারখানা গড়ে উঠছে। মানুষ ফসলের চাষবাস বন্ধ করে আফিম চাষ করছেন। ভারত-মায়ানমার-বাংলাদেশ (পার্বত্য চট্টগ্রাম) সীমান্ত জুড়ে মাদক তৈরি সংগঠিত ‘শিল্প’, যা কুকিদের ব্যবহার করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মায়ানমার ও ভারতের মণিপুর-মিজ়োরাম থেকে কুকিরা নাগাড়ে ঢুকছেন মাদক আর অস্ত্র নিয়ে। আফিম চাষের পাশাপাশি উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েও মদত দিচ্ছে, সীমান্তের ও-পারের এজেন্টরা। যার ফলে নিরাপত্তার ক্ষতি হচ্ছে শান্ত পাহাড়ের এবং বিশেষভাবে বান্দরবানের।

বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী রাঙামাটিতেও। রাঙামাটিতে অস্ত্রধারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে টোকেন না নিয়ে গাড়ি চালানোয় যাত্রীবাহী অটোরিকশায় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (৯ জুন) রাত সাড়ে আটটার সময় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্পোছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনার শিকার অটোরিকশা চালক বানেশ্বর ও যাত্রী হারুন। এসব অপতৎপরতার শিকড় উচ্ছেদ না করা হলে তা সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষে পরিণত হতে পারে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উত্তরপূর্বের সহিংস-অস্থিরতার ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। এসব ঘটনার জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আঞ্চলিক শান্তুি, স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ সশস্ত্র সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক মাফিয়ারা যাতে জাতীয় নিরাপত্তা, সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলাও অপরিহার্য। তাহলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক মাফিয়া চক্রের অবৈধ ও অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ বন্ধ হতে পারে। প্রয়োজনে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিসরে সন্ত্রাসবাদ, অস্ত্র ব্যবসা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে যে ঐকমত্য রয়েছে, তা আরও জোরদার করার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

শান্তিচুক্তির ফলে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে যে স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে, তা সামরিক-বেসামরিক-নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাসীদের ভীতি থেকে মানুষ ও জনপদের সকল ইতিবাচক কর্মকাণ্ডকে সুরক্ষা দিতে হবে। এবং উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশ নামে ২৩ (ক) নতুন অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত করা ছাড়াও রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থ নেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, সন্ত্রাস ও রক্তপাতের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। তা করতে হবে চলমান শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তার চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, এমনটিই মনে করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সামাজিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ।

   

ভালোবাসার প্রতিদান দিতে জানেন শেখ হাসিনা : স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রংপুর
বক্তব্য রাখছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

বক্তব্য রাখছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মানুষের জন্য ভালোবাসা ও দরদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় পুঁজি। প্রধানমন্ত্রী ভালোবাসার প্রতিদান দিতে জানেন। বাংলার মানুষ তাকে ভালোবাসে। সে কারণেই তিনি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের হলরুমে শনিবার (সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ওলামা লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বাংলার মানুষ অন্তর থেকে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন। সেজন্য তিনি আরও বহুদিন মানুষের সেবা করে যেতে পারবেন। সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যাবেন উচ্চতার শিখরে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সম্পদ আছে, প্রাচুর্য আছে, মানবসম্পদ আছে, সবকিছুই আছে। তারপরও কেন আমরা দেশটাকে ঠিকঠাকভাবে গড়ে তুলতে পারব না? আমরা যদি দেশটাকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে নতুন প্রজন্মের জন্য নানান সুযোগ-সুবিধা দিতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন সেটা আমরা গড়তে তুলতে পারব। তখন আমাদের বিদেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। আসুন সবাই মিলে শেখ হাসিনার সঙ্গে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম ফারাজীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, বিভিন্ন অনুদানের চেক বিতরণ ও স্থানীয় সরকার দিবসের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন।

;

বরিশালে জাপা প্রার্থীর সমর্থনে গণসংযোগ



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপুর সমর্থনে দিনভর ব্যাপক গণসংযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এ গণসংযোগ করা হয়।

ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে দিনভর গণসংযোগ শেষে বিকেলে জাহাপুর শিলনদিয়া রাস্তার মাথা বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম বিপলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক হাসানাত খান তরুণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাওলাদার, যুব সংহতির নেতা এনামুল হক কবির, ইউপি সদস্য হাসান লিয়া, ইউনিয়ন ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি হাওলাদার প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপুর মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় গোলাম কিবরিয়া টিপুকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জোর দাবি করেন।

গণসংযোগ ও পথসভায় জাতীয় পার্টির সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।

;

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণে আইডিএর প্রস্তাবনা



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) কাছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্বের পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমে আসবে বলেও জানান তিনি। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যক্রম ও সেবা প্রদান এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। এটা থামাতে হবে। আমাদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে সরকার আন্তরিক। বিআরটিএর সবসেবা একযোগে পেতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দেশবাসী সুফল পেতে শুরু করেছে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। আরও বেশি সচেতন ও সাবধান হতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের সবাইকে নিজ থেকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। 

তিনি বলেন, সভায় অনেকে অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নেই। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে। এখানে বাস ও ট্রাক টার্মিনাল থাকাটা জরুরি। বাস ও ট্রাক টার্মিনাল করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

বিআরটিএ’র সেবা সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ এখন ঘরে বসে বিআরটিএ’র সেবা নিতে পারছেন। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ’র অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র একবার বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য গেলেই হবে।

সড়ক পরিবহণ ও সড়ক বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সওজের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের উপ সচিব (সমন্বয় ও প্রশিক্ষণ অধিশাখা) নীলিমা আফরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরে বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। একইভাবে সেবা কার্যক্রম নিয়ে সর্বশেষ অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় ও জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মালেক, বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁঞা ও  চট্টগ্রাম বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপনক মো. জুলফিকার আলী।

 
;

২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম বান্দরবান
২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি আটক

২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ উপজাতি মহিলা মাদককারবারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ মোশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ জন উপজাতি মহিলাকে পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের তৈরি  ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে।             

আটক হওয়া দুই উপজাতি মহিলারা হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের বাইশফাঁড়ী গ্রামের জয় তংচংগার স্ত্রী মায়া তংচংগা (১৮), একই গ্রামের রাংগাইয়া তংচংগ্যার মেয়ে জয়েন মালা তংচংগ্যা (১৫)।

উল্লেখ্য, উক্ত এলাকার কাছাকাছি মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা থাকাতে ঐ এলাকার অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ইয়াবা ব‍্যবসা করে আসছে বলে জানা গেছে। 

সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।

 

 

;