বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩ দিনে ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা টোল আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগের তিন দিন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৬টি গাড়ি । এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত সোমবার ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ওই দিন রাত ১২টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫৬০টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা। এর মধ্যে পূর্ব প্রান্ত থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ২৪ হাজার ৮১৭টি গাড়ি এবং বিপরীত দিক থেকে ১৭ হাজার ৭৪৩টি গাড়ি পার হয়েছে।

পরের দিন মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এই ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ সময় সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ৩৬ হাজার ৪৯১টি গাড়ি উত্তরবঙ্গের দিকে যায়। আর পশ্চিম প্রান্ত থেকে পার হয় ১৮ হাজার ৯৯৭টি গাড়ি।

ঈদ ঘিরে এই সময়ে উত্তরবঙ্গের দিকে বে‌শি প‌রিবহন সেতু পার হয়েছে জানিয়ে প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর এটিই ছিল এক দিনে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়।

এর আগে গত বছরের ৭ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৩ হাজার ৫৯৫টি গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছিল। ওই দিন টোল আদায় হয়েছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৭০০ টাকা।

   

সরিষাবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) পৌর এলাকার বাউশী বাঙালি পাড়া রুকনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ অস্ত্র উদ্ধার করে।

সরিষাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মাহমুদুল হাসান বিষয়টি বার্তা২৪.কম কে নিশ্চিত করেছেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল পৌর শহর বাউশী বাঙালি পাড়ার মোতালেবের ছেলে রুকনের রুকনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে তার বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান রুকন।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, রুকনের বসত ঘরের আলমারির থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। সেখানে তিনি এসব লুকিয়ে রেখেছিলেন। রুকনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

;

২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে বাংলাদেশ: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিতে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকার বলে জানান তিনি।

শনিবার (১১ মে) সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দেশের প্রথম জিআই পণ্য মেলা উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর করে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হচ্ছে। তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে ২০৪১ সালের আগেই আমরা পৌঁছে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্যে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ২৫ লাখ শিক্ষিত ব্যক্তির চাকরির সংস্থান কোনক্রমেই সম্ভব নয়, তবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। কেউ কর্মহীন থাকবে না। এ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পাবলিক-প্রাইভেট, সরকারি-বেসরকারি, স্থানীয়-জাতীয়-আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসংখ্য উদ্যোগ, প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

পলক আরও বলেন, দেশে লোকসানে থাকা ডাকঘরকে লাভজনক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নয় হাজার ৯৭৪টি ডাকঘরের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ই-পোস্ট সেন্টারে পরিণত করা হচ্ছে। আধুনিক ভবন তৈরি এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে প্রত্যেক ডাকঘর এক একটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত হচ্ছে। শুধু চিঠির লেনদেন নয় ব্যাংকিং, লজিষ্টিকস্, ই-কমার্স, গ্রোসারি-শপ, ডিসপেনসারী কার্যক্রমও পরিচালিত হবে ডাকঘরে। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসার ঘটাতে ডাকঘর আধুনিকায়নের এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

;

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে আরও এক কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে আরও এক কৃষকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে আরও এক কৃষকের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে রুবেল মিয়া (২৫) নামের আরও এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঁঝরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল মিয়া ঝাঁঝরি দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে যান রুবেল মিয়া। এর মাঝে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মাঝে ঝাঁঝরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, শনিবার সকালে বজ্রপাতে রুবেল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথার এক অংশ পুড়ে গেছে বলে জেনেছি।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামে বজ্রপাতে আহম্মেদ মল্লিক (৬০) নামের এক কৃষক নিহত হন। এ নিয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ব্জ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হলো।

এদিকে, শনিবার সকালের বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে তনু খাতুন (৩০) নামের এক নারী মারাত্মক আহত হয়েছেন। অবচেতন অবস্থায় তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। তার জ্ঞান না ফিরলে ও অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

;

লিগ্যাল এইডে ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অসচ্ছল বিচার প্রার্থীদের ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে জাতীয় আইনগত সতায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড)।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জন সরকারি খরচায় আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৬ মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সেবার (এডিআর) মাধ্যমে লিগ্যাল এইডে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩টি।

এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮টি মামলায়। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন, দেশের ৬৪টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।

সরকার ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল তারিখকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করেন। সকল মানুষের বিচার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়। এবার ১২তম দিবসটি পালিত হয়েছে।

;