‘আউশ ও আমনের ওপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আউশ এবং আমনের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে

আউশ এবং আমনের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর বলেছেন, এ বছর বোরো উৎপাদনের পর আউশ এবং আমনের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। দেশে যেন দুর্ভিক্ষের মতো কোনো অবস্থা সৃষ্টি না হয়, মানুষ যেন খাদ্য কষ্টে না ভোগে, সেজন্যই এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রতিবছর আমনের উৎপাদন বাড়ছে এবং গত বছর আমনের উৎপাদন ১.৫ কোটি টনের বেশি পৌঁছায়। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নতুন নতুন উদ্ভাবিত জাত, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারের সঠিক নীতি কৌশল। আমন মৌসুমে স্বল্প মেয়াদী জাত সময়মতো চাষ করলে বোরো ধান লাগানোর পূর্বেই মূল্যবান সরিষা চাষ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসি’র সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো: আব্দুল লতিফ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন।

এই কর্মশালায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ও সিএসও ড. খোন্দকার মো: ইফতেখারুদ্দৌলা এবং কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবীদ হায়াত মাহমুদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান দেওয়ান।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়া আয়োজিত এ কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুষ্টিয়া ও পার্শ্ববর্তী ৫টি জেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বীজ ও সার ডিলার, মিলার ও কৃষক প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩’শ জন অংশগ্রহণ করেন।