যানজটে বিপর্যস্ত বরিশাল শহর, দুর্ভোগে নগরবাসী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতু সড়ক যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন আনলেও সংকীর্ণ মহাসড়ক বরিশালসহ ছয় জেলাবাসীকে মারাত্মক দুর্ভোগে ফেলেছে।

এর মধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর মধ্যে থাকা ১২ কিলোমিটারে দ্রুতগামী যানবাহনের চাপ চার মোড় দিয়ে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। আর এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটাসহ দক্ষিণের ছয় জেলার মহাসড়কে গাড়ি চলাচল কয়েক গুণ বাড়লেও বাড়েনি সড়কের প্রশস্ততা। ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে। এরপর ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২০৫ কিলোমিটার মহাসড়কই অপ্রশস্ত।

এ অপ্রশস্ত মহাসড়কে যানবাহনের চাপের কারণে ওই সব এলাকাবাসীকে সড়ক পারাপারে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এর মধ্যে যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও সড়কের বাঁকে দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই এক থেকে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশাল নগরবাসী। মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার রয়েছে নগরীর মধ্যে। এ কারণে নগরীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে যানবাহন প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পার হতে সময় লেগে যায়। তিনটি সড়কের মোড় এবং বাস টার্মিনালের গাড়িও মহাসড়কের ওপর থাকায় বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ ক্ষেত্রে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উভয় প্রান্ত থেকেই এ যানজট লেগে থাকে। আর তা সামাল দিতে বেসামাল অবস্থা হয় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওই স্থান অতিক্রমকালে দূর-দূরান্তের গাড়ি ছাড়াও নগরবাসীকেও ফেলে দুর্ভোগে।

সেখান থেকে বের হয়ে নগরীর চৌমাথা এলাকা পার হতে আবারও যানজট। মহাসড়কটি চারটি সড়কের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সারাক্ষণ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন আটকা পড়ছে। এছাড়া ওই চৌমাথা এলাকায় রয়েছে একটি বাজারও।

সেখানে মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় দুই পাশের দুই সড়কের মুখেই গড়ে তোলা হয়েছে থ্রিহুইলার ও অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড।

এ কারণে সেখানে যানজট তীব্র হয়। এছাড়া সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রেখেছে এ মোড়টিকে। যার ফলে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষকে ওই মোড় পার হতে কিছু সময় ব্যয় করতে হয়। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছে বৃদ্ধ এবং শিশুদের।


দ্রুত মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ কারণে সেখানে ত্রিমুখী ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাতে স্থানীয় প্রশাসনের সামান্যতম টনক নড়াতে পারেনি।

চৌমাথা থেকে সাগরদী আমতলার মোড় এলাকা অতিক্রমকালে আবারও জট। তিনটি সড়কের মোড় হচ্ছে এটি। বিশেষ করে ওই মোড় অতিক্রম করে একদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল নৌ-বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকার যাতায়াতের পথ। যার কারণে ওই স্থানেও জট নগরবাসীকে দুর্ভোগে ফেলেছে।

আমতলার মোড় অতিক্রম করার পরই আবারও বড় ধরনের জট বাধে রূপাতলী চার রাস্তা মোড়ে। ওই মোড়ের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড। সেখানেও সড়কের ওপর বাস রেখে যাত্রী উঠানামা এবং সেখান থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, কুয়াকাটা, পিরোজপুরসহ ১৬টি রুটের উদ্দেশ্যে বাস চলাচল করে। এ কারণে ওই মোড়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ওই চারটি মোড়ে স্বাভাবিক দিনগুলোর যানজট নগরবাসী থেকে শুরু করে যারা যাতায়াত করেন তাদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ ছয় লেন থেকে আসা গাড়িগুলো অপ্রশস্ত মহাসড়কে আসার সঙ্গে সঙ্গে গতি কমে যায়।

তার মধ্যে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চারটি মোড়ে মহাসড়কের গাড়ি এবং নগরীর অভ্যন্তরীণ গাড়িতে বড় ধরনের জট লেগেই থাকে। আর বিশেষ দিনগুলোতে এ জট আরও ভয়াবহ হয়।

সমাজকর্মী কাজী মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন সভা-সেমিনার এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই চার মোড়ে ওভারব্রিজ অথবা আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলন্ত সিঁড়ি দেওয়ার জোর আবেদন জানানো হচ্ছে।

কিন্তু সেই আবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছলেও তারা কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। এছাড়া নগরীর মধ্যে ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ। সেই থেকে মুক্তি পেতে বাইপাস সড়কও প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র নগরীর ওই চার মোড় নয়, ভাঙ্গা থেকে শুরু করে কুয়াকাটা পর্যন্ত একই অবস্থা। ছয় লেন সড়ক থেকে যখন বড় বড় গাড়িগুলো অপ্রশস্ত সড়কে এসে পড়ে তখন তার গতি মন্থর হয়ে আসে। এতে করে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

যার দুর্ভোগ পোহাতে হয় ওই এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে গাড়িতে থাকা লোকজনকে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব অপ্রশস্ত সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে। তা হলে পদ্মা সেতুর শতভাগ সুফল এ অঞ্চলবাসী ভোগ করতে পারবে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, নগরীর সীমান্তবর্তী এলাকা গড়িয়ার পাড় থেকে দপদপিয়া ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভাঙ্গা থেকে ছয় লেন মহাসড়কও করা হবে।

ইতোমধ্যে নগরীর মধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের প্রশস্ততা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

   

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;