বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ডা. আধানম গেব্রিয়েসুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ ও বৈঠক হয়।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে তাদের এই সাক্ষাৎ হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর নাতনি, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরো ডেভলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা নিউইয়র্কে পৌঁছান। তাদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
সাধারণ পরিষদের ৭৮তম আসরের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সদর দফতরে। এবারের সম্মেলনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি, জলবায়ু সংকট, অর্থায়নসহ বৈশ্বিক সংকটগুলো শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পারে। অন্যান্য সরকারপ্রধানদের পাশাপাশি নিউইয়র্কে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ উপলক্ষে পুরো ম্যানহাটান বিশেষ করে জাতিসংঘ সদর দফতরকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে আনুষ্ঠানিক কর্মর্সূচির প্রথম দিনটি শুরু করেছেন বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিনি বেশ কয়েকটি সভা ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। সকাল থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক। এতেও যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি একথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাসেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ড. ইউনূস সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ভ্যাটিকানের সহায়তা কামনা করেন।
ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, ভ্যাটিকান সিটির আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিভাগের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
শস্যভান্ডার খ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা। তবে সরু বা চিকন চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারিতে মোটা চালের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। চালের দাম বাড়ায় চালকল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন ভোক্তারা।
নওগাঁ পৌর খুচরা চাল বাজার সূত্রে জানা যায়- স্বর্ণা-৫ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা। মোটা চালের দাম বাড়লেও স্থিতিশীল সরু চালের বাজার। সরু চাল কাটারিভোগ ৬৫-৬৮ টাকা, জিরাশাইল ৬৪-৬৫ টাকা, ব্রি ২৮ ও ২৯ চাল ৫৬-৬০ টাকা এবং সুবর্ণলতা ৫৫-৫৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে আউশ মৌসুমের নতুন চাল পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৭ টাকা কেজি।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১২টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব জেলাগুলোতে এখন মানুষকে ত্রাণ হিসেবে চাল দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে চাহিদা বেড়েছে মোটা চালের। স্বর্ণা-৫ মোটা চাল হিসেবে পরিচিত। এ জাতের ধান আমন মৌসুমে আবাদ করেন কৃষকরা। গত আমন মৌসুমে এ ধান উৎপাদন হয়। তবে বছরে শেষ সময় হওয়ায় বাজারের সবররাহ কমেছে। অপরদিকে বন্যার কারণে মোটা চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে।
ক্রেতারা জানান, ধান-চালের জেলা হওয়ার পর সারা বছরই বাজার ঊর্ধ্বগতি থাকে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর তাদের সমস্যা পড়তে হয়। তাদের আয় রোজগার কম। অভিযোগ করে বলেন, চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মজুত গড়ে তুলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। পরে দাম বাড়লে তারাই লাভবান হন। এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।
নওগাঁ পৌর খুচরা চাল বাজারের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, পাইকারিতে চালের দাম বাড়লেও খুচরা বাজারে এখনো বাড়েনি। আমাদের কাছে যেসব চাল রয়েছে তা অবিক্রিত। এসব চাল বিক্রির পর পাইকারি মোকাম থেকে কিনতে হবে। এরপর খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, দেশের প্রায় ১২টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব জেলাগুলোতে খাদ্যঘাটতি হয়েছে। ওইসব জেলার মানুষকে সহযোগিতা করতে ত্রাণ দিচ্ছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে মোটা চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। তবে সরু চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি বলেন, আউশ মৌসুমের নতুন ধান ১১শ থেকে ১১৫০ টাকা মন কিনতে হচ্ছে। এছাড়া পুরোনো ধানের বাজারও ঊর্ধ্বগতি। ১৪৫০ টাকা থেকে ১৫৫০ টাকা মণ। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চাল উৎপাদন করতে খরচও বেশি পড়ছে। তবে সহসাই চালের দাম কমবে না বলে না মনে করা হচ্ছে।
আলোচিত ও সমালোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, একজন আরেকজনকে উস্কে দিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। দুটি কারণে আদালত চত্বরে আমাকে মারপিট করা হয়েছে। একটি হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে ও আরেকটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায়।
তিনি বলেন, গত রোববার দুইটি রাজনৈতিক (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) দলের নেতাকর্মীরা আমাকে মারপিট করেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতি করে নয়, নাটক সিনেমায় ভাইরাল হয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা বলেছেন আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য নাটক সাজিয়েছি। এ ধরণের মিথ্যা, গুজব ছড়ানো হয়েছে। এই কথার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, একটি দলের কিছু বহিস্কৃত নেতারা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। হাসিনা সরকার পতনের সময় আমি সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। তারপরও আমার উপর হামলা করা হলো। আমার ইমেজকে নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় ৫ থেকে ৭ জন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে অতর্কিত হামলা চালান। এই ঘটনার পর রবিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, হিরো আলমের ওপর বিএনপির কেউ হামলা করেনি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপি ও মারপিটের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।
খানা খন্দে ভরা দয়াগঞ্জ মোড় থেকে গেন্ডারিয়া যাবার নতুন সড়কটি। প্রায় দুই দশক আগে নির্মাণ হলেও অর্ধ দশক ধরে রাস্তাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এনিয়ে নানা ব্যক্তি ও সরকারি দফতরে ধর্না দিয়েও পাচ্ছেন না প্রতিকার।
সরেজমিনে গিয়েও পাওয়া গেছে এর সত্যতা। রাস্তার একটি পাশ যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত থাকলেও বাকি অংশটি নানা দোকানপাট, ট্রাক, লেগুনা পার্কিং ও রিকশার গ্যারেজ করে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিন দেখা যায়, দয়াগঞ্জ রেল পারাপারের রাস্তার একপাশে দিয়ে চলছে যানবাহন, অন্যপাশটি মাটি ফেলে সমান করা হচ্ছে। রোড ডিভাইডারটি ঠিক করতেও কাজ করছে কয়েকজন শ্রমিক। এই কাজটি করছে ঢাকা থেকে যশোর নির্মানাধীন রেললাইনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার আওতায় শুধু রেললাইন পারাপার হবার অংশটুকুর কাজ হবে বলে জানায় এসময় কর্মরত শ্রমিকরা।
রেললাইনের সঙ্গে লাগোয়া এই সড়কটির রেললাইন ঘেষা লেনটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং, ময়লা, দোকান ও রিক্সার গ্যারেজ দিয়ে। আরেকটি লেন উম্মুক্ত থাকলেও সেটি হলো খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও থেকে পিচ সরে গিয়ে এই পথের অস্তিত্বও বিলুপ হয়ে গেছে। সে জায়গাগুলোতে মাটি ফেলে করা হচ্ছে যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য।
যানবাহন চলাচলের উম্মুক্ত পাশটি যে শুধুই যানবাহন চলাচলের জন্য ব্যবহার হচ্ছে তা নয়। বরং রাস্তার অনেকটা অংশ দখলে রেখেছেন পাশে থাকা বিভিন্ন দোকান মালিকেরাও। সেখানে রিক্সা ঠিক করা থেকে, মোটরসাইকেল মেরামত, দরজার গ্রিল তৈরি সহ নানা কাজে সড়কটিকে দখলে রেখেছেন তারা।
জানা যায়, প্রতিদিন চকবাজার ও বাদামতলীর পাইকারি বাজারে চলাচল করার জন্য পণ্যবাহী শত শত ট্রাক সড়কটি ব্যবহার করে। নদীর ওপারের মানুষ ও গেন্ডারিয়ায় বসবাসরতদের সায়দাবাদ হয়ে ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে সড়কের অনেকাংশ দখল ও খানাখন্দ হয়ে থাকায় দ্রুতগতিতে চলতে পারে না কোনো যানবাহনই।
এছাড়া বৃষ্টি হলে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। খানা খন্দে ভরা এই সড়ক তখন রূপ নেয় ভয়াল জলসমুদ্রে। জায়গায় জায়গায় গর্ত থাকায় যানবাহন চলাচল হয়ে পড়ে অসাধ্য তাই বাধ্য হয়েই অনেকটা ঘুরে সড়ক ব্যবহারকারীদের যেতে হয় নিজ নিজ গন্তব্যে।
খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে লেগুনায় করে গুলিস্তান থেকে গেন্ডারিয়ায় আসা রিপন বার্তা২৪.কম কে বলেন, নানা কাজেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আজ বাবাকে নিয়ে এক কাজে গুলিস্তান গিয়েছিলাম। এখন আসতে আসতে রাস্তার এমন অবস্থায় কোমর ব্যথা হয়ে গেছে। লেগুনার স্ট্যান্ডে ধরে রেখে হাতও ব্যথা হয়ে গেছে।
প্রায় ২০-২২ বছর ধরে এই এলাকায় লেগুনা চালান মোহাম্মদ রমজান খান। সড়কটি শেষ কবে ভাল দেখেছেন মনে করতে পারলেন না তিনিও। কতক্ষণ স্মৃতি হাতরিয়ে বললেন, অনেক দিন ধরেন তো রাস্তার অবস্থা খারাপ। কিন্তু কেউ তো কাজ করতে আসে না।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিনের ভোগান্তির কথা জানিয়ে মোহাম্মদ রমজান খান বার্তা২৪.কম কে বলেন, বর্তমানে খুব কঠিন (খারাপ) অবস্থায় আছে, বৃষ্টি হইলে এই এলাকায় মানুষ বাস করতে পারে না এমন পরিস্থিতি হয়। খুবই খারাপ অবস্থা। আমাদের দোলাইপাড় দিয়ে ঘুরায়া যাইতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখের পরে ছাত্রদের নিয়া আমরা সেনাবাহিনীর কাছে বলার পরে গতকাল থেকে মাটি দিয়ে খালি সমান করতেছে। কোমর পর্যন্ত ভাঙ্গা, দুনিয়ার পানি। পল্টি খাইয়া কত গাড়ি নষ্ট হইয়া পইরা রইছে। এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি আইলে একটা রিক্সাও এই এলাকা (সড়ক) দিয়ে যাইতে পারে না।
এই অভিযোগ শুধু রিপন বা রমজান খানের একার নয়। বরং এই সড়কে চলাচলকারী প্রতিটি ব্যক্তির অভিযোগ একই। ঢাকার মধ্যে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, দ্রুত সড়কটি ঠিক করতে যেনো যথাযত ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
দোলাইপাড় হাই স্কুলের শিক্ষার্থী আসিফ। তার বাসা নদীর ওপারে হাসনাবাদ এলাকায়। এই সড়ক ব্যবহার করেই প্রতিদিন যেতে হয় স্কুলে। তবে রাস্তার বেহাল দশায় যাতায়াতে সমস্যা হয় তার। এই নিয়ে গেন্ডারিয়া থেকে লেগুনায় উঠার সময় কথা হয় তার সঙ্গে।
আসিফ বার্তা২৪.কম কে বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা, ধুলাবালিতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কাপড়চোপড় ময়লা হয়ে যায়, চুল আঠা আঠা হয়ে যায়। ঝাকি খাইতে খাইতে জীবন শেষ। কিন্তু রাস্তা ঠিক হচ্ছে না, জানিও না কবে ঠিক হবে। কিন্তু স্কুলে তো যেতেই হয়। এইভাবেই যাই।
জনভোগান্তি লাগবে সড়কটি কবে ঠিক করা হবে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন বার্তা২৪.কম কে বলেন, পদ্মা রেলের কাজ রেলওয়ে করেছে। তারা এই কাজ করার সময় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সে কারণে তারাই এটি ঠিক করে দিবে। ইতোমধ্যে পদ্মা রেললাইনের পিডির সাথে আমাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কথা হয়েছে, তারা বলেছে দ্রুতই রাস্তাটি তারা ঠিক করে দিবে।
কতটুকু ঠিক করবে এমন প্রশ্নের জবাবে এই প্রকৌশলী বলেন, পুরো রাস্তাটাই তারা ঠিক করে দিবে। ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের তারা জানিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যেই চলাচলের উপযোগী করে তুলবে সড়কটি।
সড়কের অনেকাংশ দখল হয়ে আছে, দখলমুক্ত করতে কি ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে হারুন বলেন, আমাদের সড়কের জায়গা যেটুকু আছে সেটুকু দখলমুক্ত করতে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন, জনগণের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দিতে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।