মোহাম্মদপুরে ধারাবাহিক ছিনতাই; পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা গার্ডেন সিটি হাউজিং এলাকায় সশস্ত্র কিশোর দলের ধারাবাহিক ছিনতাইয়ের ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত থেকে ধারাবাহিক অভিযানে তাদের মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, তিনটি চাপাতি ও দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, লেগুনা চালক মোঃ আকাশ (১৯), ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রেতা মোঃ নয়ন (২০), ডানো কোম্পানীর ভ্যান গাড়ির ড্রাইভার মোঃ সজল ইসলাম (১৯), প্রত্যয় বাসের হেলপার মোঃ আবু কালাম (২১), অটোরিক্সা চালক মোঃ আরিফ (১৯), আজিম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কর্মী মোঃ সজীব (১৯), বাসের রং মিস্ত্রী মোঃ কবির (২৩), রাজমিস্ত্রী মোঃ নাসির (১৯), এবং লেগুনা চালক মোঃ সুজন (২০)।
রবিবার রাত ১০ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল।
তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা ৪০ ফিট রাস্তা, ফিউচার হাউজিং, রাজধানী হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, গ্রীন সিটি ও ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত আসামীদের সনাক্ত করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষনে দেখা যায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৩০ মিনিটে ৩০-৩৫ জন জনকে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তুরাগ নদীর তীরবর্তী ওয়াকওয়ের দিকে যেতে দেখা যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের প্রতিপক্ষ একজনকে মারার জন্য তারা ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে তাদের কয়েকজন ওয়াকওয়েতে থাকা পথচারীদের মারধর ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাদের মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ফেরার পথে কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের নাম প্রকাশ করেছে। আসামীদের দেওয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামী গ্রেপ্তার ও বাকি মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে।