ভোট গ্রহণে প্রস্তুত রংপুর বিভাগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
ভোট গ্রহণে প্রস্তুত রংপুর বিভাগ, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোট গ্রহণে প্রস্তুত রংপুর বিভাগ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ভোট। সারাদেশের মতো রংপুর বিভাগের আট জেলাতেও ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ছয় স্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে নেওয়া হয়েছে পুরো বিভাগকে। উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ বিভাগের আট জেলায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মোট ২১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটগ্রহণে স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপার, সিল ও ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানোর কাজও শেষ হয়েছে। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে নিজ নিজ কেন্দ্রের জন্য সরঞ্জামাদি গ্রহণ করেন।

রংপুর বিভাগের ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৪ জন ভোটারের ভোটগ্রহণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৭৩ হাজার ৪১৩ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে ৮ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ১১৬ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৪৯২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২২ হাজার ৯৩৩ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৫ হাজার ৮৬৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করার পর তাদের এক সপ্তাহব্যাপী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি কর্পোরেশন) আসনে ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিমে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি সবগুলোতে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দেবেন ভোটাররা।

ভোটগ্রহণের জন্য রংপুর বিভাগের ৪ হাজার ৪৯২টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৮৩১টি ভোট কক্ষের জন্য ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার সেনা সদস্যসহ ৭২ হাজার ৪৯০ জন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ। এ ছাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ৭১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং ২৭০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বিচার বিভাগের অধীনে ১৪টি নির্বাচন তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/29/1546082584927.jpg

রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, রংপুর বিভাগের আটটি জেলার ৩৩টি সংসদীয় আসনে এবার ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৭ লাখ ৬২ হাজার ২৩৯ এবং নারী ভোটার ৫৮ লাখ ২৩২ হাজার ২৫ জন। রংপুর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৫ জন, পঞ্চগড়ের ২টি আসনে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৬ জন, দিনাজপুরের ৬টি আসনে ২২ লাখ ৬ হাজার ৪৪০ জন, নীলফামারীর ৪টি আসনে ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৮ জন, লালমনিরহাটের ৩টি আসনে ৯ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৮ জন, কুড়িগ্রামের ৪টি আসনে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন এবং গাইবান্ধা জেলার ৫টি আসনে ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪৫ জন ভোটার রয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের ৫৪টি উপজেলায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে ৪ হাজার ৪৯২টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১ জন করে ছাড়াও প্রায় দেঢ় হাজার অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে আরও অতিরিক্ত ১ জন করে সর্বমোট ৫ হাজার ৯৯২ জন অস্ত্রধারী পুলিশ। প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ একজন আনসার এবং অস্ত্র লাঠিসহ ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসারসহ সর্বমোট ৪৯ হাজার ৪১২ থাকবে। এ ছাড়া কেন্দ্র প্রতি একজন করে মোট ৪ হাজার ৪৯২ জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিভাগের রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড, ২৭টি পৌরসভার ২৪৩টি ওয়ার্ড এবং ৫৮টি উপজেলার ৫৩৬টি ইউনিয়নে মোট ৮১২টি ওয়ার্ড/ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ৩০ জন সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ২টি ওয়ার্ড/ইউনিয়ন মিলে একটি করে গাড়িতে ৫ জন সেনা সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি সিটি/পৌরসভা/উপজেলায় বিজিবির ৩ প্লাটুন করে মোট ৮ হাজার ৮৬০ বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যারা প্রতিটি সিটি/পৌরসভা/উপজেলায় ৫ ভাগে বিভক্ত হয়ে মাঠে থাকবেন। রংপুর বিভাগে প্রায় ১ হাজার ২০৪ জন র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যারা প্রতিটি সিটি, পৌরসভা ও উপজেলায় ১৪ জন করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব স্ট্রাইকিং ফোর্সকে পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনার জন্য ৩টি করে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড মিলে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ২৭০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগে ৭১ জন জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৭১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মাঠে কাজ করবে। এ সময় তারা নির্বাচনী অপরাধসমূহ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৮৯ এর সেকশন ১৯০ এর সাব সেকশন-১ এর অধীনে আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনা করবেন।

এ ছাড়া এই বিভাগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচন পূর্ব ও পরের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে ১৪টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের দায়িত্বে আছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ এবং সহকারী জজ মর্যাদার বিচার বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

   

আমে বাজার সয়লাব, কতটুকু নিরাপদ?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মধুর মাস। জৈষ্ঠ মাসের আজ চারদিন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ফল। দেশীয় ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলেরও সমাহার। তবে ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমেই রয়েছে দেশীয় ফলের কদর। আর এই কদর থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব ফলে ফরমালিন মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফলের দোকানেই বিদেশি ফলের পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে দেশীয় ফল। দেশীয় আমের মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে সাতক্ষীরা গোবিন্দভোগ। এ আমের পাশাপশি রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। দেশীয় আমের সাথেই রয়েছে ভারত থেকে সংগ্রহ করা আম। যে আমগুলো রাজবাড়ীর বাজারে এসেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগে।

এতো আগে বাজারে ভারতীয় আম আসায় ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- বাজারে সয়লাব আমগুলো কতটুকু নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাদের ভাষ্য- যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসা ফল না কেনায় শ্রেয়। এতে অপরিপক্ব কিংবা ফরমালিন মিশ্রিত থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই বেশি।

কথা হয় বালিয়াকান্দির মেছুয়া ঘাটার বাসিন্দা নজরুল মোল্লার সাথে। তিনি জানান, পরিবারের জন্য ফল কিনতে দোকানে এসেছিলেন। দোকানে  আম দেখে বেশ লোভ হয় তার। দোকানদারের কথার ওপর ভরসা করে তিনি চড়া দামে কিনে নেন সাতক্ষীরার আম। বাড়ীতে নিয়ে কেটে দেখেন আমের ভিতরের বীজটা অপরিপক্ব। আমের স্বাদ পানসে। কোন মিষ্টি নেই।  তখন তার মনে খটকা লাগে- আমের মধ্যে বীজটা অপরিপক্ব হলে আমের বাইরের দৃশ্য এতো চাকচিক্য কেন?

নজরুল মোল্লার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা বলি এক ফলের দোকানদারের সাথে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা আম সংগ্রহ করেন যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে। পাইকারির আড়ৎ থেকে তারা যেভাবে সংগ্রহ করেন সেভাবেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। যদি কিছু মিশিয়ে আমগুলো রঙিন করে তাহলে এর সকল দায়ভার আড়তদারদের।

এই সময়ে বাজারে থাকা আমগুলো কতটুকু নিরাপদ- এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ী জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে কোন ফলই প্রথম দিকে বাজারে আসলে সেটা না কেনায় ভালো। কারণ প্রথম দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব ফল বাজারে আমদানি করে। কিছু দিন পর কিনলে সেটাতে ঝুঁকি কম থাকে। এ বিষয়ে আপনার দপ্তরের ভূমিকা কি- এমন প্রশ্ন করলে এই কর্মকর্তা জানান, তারা নিয়মিত ক্রেতার সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকারের পর যোগাযোগ করা হয় কৃষি বিপণন দপ্তরের সাথে। রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আকমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, রাজবাড়ীতে উল্লেখযোগ্য তেমন আম উৎপাদন হয় না। চাপাই এবং সাতক্ষীরার আমই রাজবাড়ীতে বেশি পাওয়া যায়। এখন বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে সেটা কতটুকু নিরাপদ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আপনি নিরাপদের প্রশ্নটা তুললেন সেহেতু বিষয়টি দেখে বলতে হবে। আমরা দ্রুতই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বাজারে গিয়ে যাচাই করবো। এ বিষয়ে কৃষি বিপণী আইন-২০১৮ বিধিমালা-২০২১ একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে। এই আইনের ধারা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারজাতকরণ করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন ৯ মে, গোবিন্দভোগ- ১১ মে, হিমসাগর- ২২ মে, ল্যাংড়া-২৯ মে এবং আম্রপালীর বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ জুন।

;

‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ তাপসকে উদ্দেশ করে খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ‘কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চাই না’ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসসিসি'র সাবেক মেয়র এবং ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাঈদ খোকন।

এ সময় একে অপরকে দোষারোপ না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এ সব কথা বলেন।

‘মেয়র মো. হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. সাঈদ খোকন বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু, আমাদের সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকজনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা না করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, সামনে ডেঙ্গুর যে ভয়াবহতা আসছে, সেটিকে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা বরং একে অপরকে দোষারোপ না করি! দোষারোপের রাজনীতি না করে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমরা একটি সুন্দর, নিরাপদ ঢাকা চাই। আমাকে কর্তৃপক্ষ যখনই ডাকবে, আমি তখনই হাজির হয়ে যাবো।

বর্তমান ডিএসসিসি মেয়রকে উদ্দেশ করে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দুই, তিনদিন আগে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে আমি কষ্ট পেয়েছি!

আমরা গত বছর (২০২৩) দেখেছি, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখের বেশি ছিল। সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শ ৫ জন। পত্র-পত্রিকাতেও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল। বর্তমান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ যে কথা বলেছে, সেটির সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের কোনো মিল নেই।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে ছিলাম। ২০১৯ সালে থেকে ডেঙ্গু বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে আমি দক্ষিণ সিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও আমি ডেঙ্গু আক্রান্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারিনি। কিন্তু আমি চেষ্টা না করে বিদেশে চলে যাইনি। আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

;

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন সরকারি কর্মচারীরা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি ও বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ৩য় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি'র সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতনস্কেল প্রদানের পর বিগত ১০ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ঔষধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ সুবিধা ৫% থেকে ৩০% উন্নতি করা এবং অবিলম্বে জাতীয় ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণার বিকল্প নাই।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১ম জাতীয় বেতন স্কেলের ন্যায় ২০ ধাপের পরিবর্তে ১০ ধাপে বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা, কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী রেশনিং পদ্ধতি চালু, সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে সকল পদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, সকল ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম গ্রেড প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা চালু টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রদান, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপ ব্লক না রেখে নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট চালু রাখতে জোড় দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আগামী ২১ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ থেকে ৩০ মে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ ও দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ এবং ১ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আরও উপস্তিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রফিকুল ইসলাম মামুন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নূরনবী, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে'র সেলিম মোল্লা, মুগদা মেডিকেল কলেজের মনিরুল ইসলাম, ক্যান্সার হাসপাতালের তাপস কুমার সাহা, মাহবুব, কুষ্ঠ হাসপাতালের মো. রায়হান উদ্দিন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মফিজুল ইসলাম পিন্টু, জাতীয় আর্কাইভের মনির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোফাজ্জল হোসেন, বিএসটিআই'র ইব্রহিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, বিএসএমএমইউ'র সিরাজুল ইসলাম, শেখ রাসেল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আনোয়ার হোসেন, মৎস অধিদপ্তরের আরিফুল ইসলাম, লিপি আক্তার, মৃত্তিকা সম্পদ অধিদপ্তরের হাদিউজামান, ইবনে ফারুক, টেমো'র আরিফুল ইসলাম, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কামরুন্নাহার, গণপূর্তের রেখা, মোহাম্মদ আলী, রেজিস্ট্রি অফিসের রুবি, কিডনি হাসপাতালের সাইদুর রহমান, বিএসইটি'র সাজেদুল ইসলাম, নিপোর্ট'র মোজাম্মেল হক, বিআইডারটিএ'র সাব্বির রহমান, ঢাকা জজ কোর্টের আসাদুজ্জামান পিয়াল, সিজিএম কোর্টের আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের জহিরুল ইসলাম, শেবাকৃবি'র নূর-ই মোফাজ্জল, বক্ষব্যধির শাহজাহান, ঢাবির কবির, বিজি প্রেস'র ইলিয়াস হোসেন, খামারবাড়ির ইমরানসহ ঢাকা মহানগরীর সকল দপ্তরের নির্বাচিত কর্মচারী প্রতিনিধিরা।

;

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেলে দুই ভাইয়ের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘরভাড়া নিয়ে সেখান থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। আজ শনিবার ভোরে বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে ৬ জন শ্রমিক ধান কাটতে ছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমিরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

বীর বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কালিহাতী থানার এসআই রাজীব জানান, নিহতের স্বজনেরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;