কুয়াকাটার ২শ বছরের পুরাতন নৌকা!
সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় সন্ধান পাওয়া ২শ বছরের পুরাতন নৌকাটি যথাযথ ভাবে সংস্কার ও সংরক্ষণ না করায় তা নষ্ট হচ্ছে। এতে করে হতাশ হচ্ছে নৌকাটি দেখতে আসা পর্যটকরা। তবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কুয়াকাটায় এই প্রাচীন নৌকা সংরক্ষণের পাশাপাশি একটি জাদুঘর তৈরির দাবি জেলাবাসীর। এতে করে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করে তারা।
২০১২ সালে সমুদ্র সৈকতের অব্যাহত ভাঙনে বালু ক্ষয়ের ফলে সন্ধান মেলে ৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের কাঠের তৈরি একটি নৌকার। ধারণা করা হচ্ছে ২শ বছরের আগে রাখাইনরা এই নৌকায় করেই কুয়াকাটায় এসে বসতি গড়েছিল। কালের বিবর্তনে রাখাইনদের নানা স্মৃতি হারিয়ে গেলেও বর্তমানে এই নৌকাটি এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী বহন করছে। সে সময়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নৌকাটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সাগর থেকে উদ্ধার করে কুয়াকাটার বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে একটি টিনশেডর নিচে সংরক্ষণ করে। তবে দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে শুকিয়ে নৌকাটি নষ্ট হচ্ছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল প্রাচীন নৌকাটি পরিদর্শন করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণের কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
তবে কুয়াকাটার পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এই নৌকাটিকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি একটি জাদুঘর স্থাপনের দাবি জেলাবাসীর। এই জাদুঘরে উপকূলীয় এলাকায় ব্যবহৃত বিভিন্ন নৌকাকে স্থান দেয়ার দাবি করেছে তারা।
এতে করে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন–জীবিকা ও নৌকা নির্ভর অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে পারবে বলে মনে করেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বাড়বে বলেও মনে করেন তারা।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান মোহন জানান, কুয়াকাটায় একটি নৌকা জাদুঘর তৈরি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে কুয়াকাটায় সংরক্ষণ করা প্রাচীন নৌকাটি দেখতে এখন নিয়মিতই পর্যটকরা ভিড় করছে।