টিকে থাকার সক্ষমতাও কেন নেই টেলিটকের



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টিকে থাকার সক্ষমতাও কেন নেই টেলিটকের

টিকে থাকার সক্ষমতাও কেন নেই টেলিটকের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক ২০০৫ সালে যখন যাত্রা শুরু করে, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কোম্পানিটির একটি সিম ছিল সোনার হরিণের মতো। টেলিটকের সিমে অন্য যেকোনো অপারেটরের চেয়ে কম টাকায় কথা বলা সম্ভব ছিল। সাথে প্রি-প্রেইড সিমের দাম ছিল মাত্র তিন হাজার টাকা। সেই সময়ে অন্য মোবাইল অপারেটরের দামও ছিল অনেক বেশি।

সবমিলিয়ে টেলিটকের একটি সিম পেতে টেলিটকের বিক্রয় কেন্দ্রে থাকতো উপচে পড়া ভিড়, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও এই সিম পাওয়া ছিল দু:সাধ্য।

যে আশা নিয়ে অপারেটরটি যাত্রা শুরু করেছিল, তা অচিরেই নিরাশায় পরিণত হয়। যত সময় গড়িয়েছে ততই টেলিটকের অবস্থা খারাপ হয়েছে। আর তাইতো ১৮ বছরেও এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযেগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তথ্য বলছে, চারটি মোবাইল অপারেটরের মধ্যে ৬৪ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক নিয়ে সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে টেলিটকের অবস্থান। যেখানে গ্রামীণফোন ৮ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার, রবি ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার, বাংলালিংক ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। দেশে মোট গ্রাহক সংখ্যার ৪ শতাংশের কম গ্রাহক রয়েছে টেলিটকের।

সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানে টেলিটকের সিম ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি, চাকরির আবেদনের ফি, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফি টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।

কম দামে ভালো অফার এবং শিক্ষার্থীদের জন্যও আকর্ষণীয় অফার দেওয়া হয়। এসবের পরেও গ্রাহক আকর্ষণ করতে পারছে না টেলিটক। বরং উল্টো গ্রাহক কমছে।

১৮ বছরেও কেন লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারলো না, সেই প্রশ্নের উত্তরও নেই কারো কাছে। যখনই কেউ নতুন মন্ত্রী হিসেবে আসেন তখন টেলিটকে লাভে আনার কথা বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন। দু’দিন পরে সেই অঙ্গীকার আর থাকে না। প্রতিষ্ঠানটি যেখানে ছিল সেখানেই থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো অবদমনও ঘটে।

সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানসমূহকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানসমূহ লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

অন্যান্য মন্ত্রীদের তুলনায় প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণাটি ব্যতিক্রমী ছিল। জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটককে লাভে আসার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট একটি ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন।

টেলিটকের ব্যবসার মূল ভিত্তি রাষ্ট্রীয় সুযোগ ও সুবিধা। গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়ে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এখন অসংখ্য অভিযোগ গ্রাহকদের।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা। বিটিআরসি পাওনা আছে একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটক পাওনা ১৪১ কোটি টাকা।

সম্প্রতি সরকারের রাজস্ব বিভাগ টেলিটককে সব সরকারি দেনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যেভাবে দেনায় টেলিটক ডুবে আছে, তাতে তাদের টিকে থাকার সক্ষমতাও নাই। বর্তমান আর্থিক অবস্থায় তাদের পক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেনা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। দিন শেষে হয়তো সরকারকেই এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

বেসরকারি খাতে একচেটিয়া ব্যবসা রোধ করা ও বাজারে বৈষম্য কমাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের কল্যাণে সেবা দিয়ে থাকে। এই দুটি কারণেই মূলত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখা হয়। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অদক্ষ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের জন্য বোঝা ছাড়া অন্য কিছু নয়। বরং এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সুবিধাভোগী কিছু আমলা, যারা এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থাকেন।

   

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বাড়াতে কৃষক সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলারঝিরি জবিরাম কারবারি পাড়া হলরুমে ১০০ জন কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্পের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা নুম্যামং মার্মা ও তুলা চাষিরা।

এই সময় প্রধান অতিথি তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। পার্বত্যাঞ্চলের মাটি তুলার সঙ্গে মিশ্র চাষে উপযোগী। পাহাড়ের অনাবাদি ও জুমে মিশ্রচাষে সম্ভাবনার ফসল তুলা। এটি চাষ করে এখানকার চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। আলীকদম উপজেলা থেকে প্রায় বছরে ৩ টন তুলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি ৯৫ টাকা বিক্রি করছেন চাষীরা। 

;

কেএনএফ'র বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিলো বম সোশ্যাল কাউন্সিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে পাহাড়ের কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সম্প্রদায়ের সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভার পর ভিডিও বার্তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ কেএনএফের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন।

সংগঠনের সভাপতি লালজারলম জানিয়েছেন কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াগুলোতে এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে টিকতে না পেরে ২০০-এর বেশি বম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে।

এ অবস্থায় আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইতোমধ্যে ২০০ যুবক প্রতিরোধে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ আরো জানিয়েছে কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে এবং আলোচনার জন্য সরকারের দোয়ার সব সময় খোলা রয়েছে।

ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বমসহ বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

রাসায়নিক মিশ্রিত আম ও জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ৭২০ কেজি রাসায়নিক মিশ্রিত আম এবং ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত ৪০৯ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আশাশুনি মৎস্যকাটি থেকে আসা মাছ ভর্তি ৫টি ট্রাক ও ২টি ইঞ্জিন আটক করেন তারা। আটকের পর পরীক্ষা করে ওই ট্রাকগুলো থেকে ১৭ ক্যারেট জেলি মিশ্রিত বাগদা চিংড়ী এবং ৩১ ক্যারেট রাসায়নিক মিশ্রিত আম জব্দ করা হয়।

চিংড়ির ওজন প্রায় ৪০৯ কেজি এবং আমের ওজন ৭২০ কেজি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আম ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং দুই চিংড়ি ব্যবসায়ীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসিত কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাকগুলো আটক করেছি। রাসায়নিক মিশ্রিত আম এবং ক্ষতিকর জেলি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। আমগুলো ট্রাক দিয়ে পিষে এবং চিংড়িগুলো নদীতে ফেলে বিনষ্ট করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আম ও মাছের সুখ্যাতি রক্ষার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

নির্মাণাধীন ভবন মালিককে অপহরণ, কন্ট্রাক্টরসহ গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে নির্মাণাধীন ভবনের মালিকে অপহরণের অভিযোগে ভবনের কন্ট্রাক্টরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার খানাতুয়া এলাকার মনগাজী বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার চারজন হলেন ভবনের কন্ট্রাক্টর মো. সবুজ আলাউদ্দিন (৩৫), মো. লিটন (৩৫), রুবেল হোসেন বাদশা (২১) ও আবদুল রহমান বাদল (২০)। তারা সবাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম হাসান ও আলাউদ্দিন পূর্ব পরিচিত। হাসানের নির্মাণাধীন একটি ভবনের কন্ট্রাক্টর আলাউদ্দিন। কাজের সুবাধে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফেসবুক মারফত হাসানের সঙ্গে এক লোকের পরিচয় হয়, যিনি তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইউরোপের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। বিষয়টি আলাউদ্দিনকে জানালে তিনিও হাসানকে দিয়ে ওই লোককে কিছু টাকা পাঠান। কিন্তু পরে ওই লোক তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই হাসানকে অপহরণ করে সে টাকা আদায় করার পরিকল্পনা ছিল আলাউদ্দিনের।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, আলাউদ্দিন হাসানকে তার বাড়িতে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লায় নিয়ে আটকে রাখেন। পরে হাসানের ভাগিনাকে কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে এবং এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে তারা তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।

তিনি আরও জানান, পরে হাসানের স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে আলাউদ্দিনসহ তার তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;