চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বাড়ছেই
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/22/1708608120171.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডর অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার যেন বাড়ছেই। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হওয়া ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাতেও অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ১৪৫ জন পরীক্ষার্থী। ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৫২ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ জন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এসএসসি বাংলা (আবশ্যিক) ১ম পত্র পরীক্ষায় ৫টি জেলার (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ২১৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৪৭ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৮ জন শিক্ষার্থী। মোট অনুপস্থিত ছিল ৮০৯ জন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলা (আবশ্যিক) ২য় পত্র পরীক্ষায় ১ লাখ ২৫ হাজার ১৪৭ জনের মধ্য়ে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৩১ জন পরিীক্ষার্থী। অর্থাৎ মোট অনুপস্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮১৬ জনে।
এরপর মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইংরেজি (আবশ্যিক) ১ম পত্র পরীক্ষায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৯ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিতির সংখ্যা আরও বেড়ে হয়েছিল ১১৩৩।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিনও অনুপস্থিতির হার আরও বেড়ে যায়। এ দিন ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ১৪৫ জন পরীক্ষার্থী।
অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, পরীক্ষার্থীরা কেন পরীক্ষা দিতে আসছে না, এর সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না। তবে, আমরা যতটুকু জেনেছি, অনেকেই ধারণা করেছিল যে, শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। কিন্তু এবছর আর সে সুযোগ রাখা হয়নি। সম্পূর্ণ সিলেবাসের প্রস্তুতির অভাবে অনেকেই পরীক্ষা না দিয়ে থাকতে পারে। তবে, পরীক্ষা যারা দিচ্ছে না, তাদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাটা বেশি। কেননা, দুইজন মেয়ের কথা আমরা জেনেছি, যারা স্বামী ও অভিভাবকদের বাধার কারণে তারা পরীক্ষা দিতে পারছে না। আমরা সেই ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত সবগুলো পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা নকলের ব্যাপারে যথারীতি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করছি।