ভাসানচরে বিস্ফোরণ: চমেকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আরও এক শিশু মারা গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪ জনে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চমকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই শিশুর নাম মো. সোহেল (৫)। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আজিজুল হকের ছেলে। 

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন দগ্ধ সোহেল নামের আরও এক শিশু মারা গেছে। শ্বাসনালীর ৫২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। 

এর আগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চার বছর বয়সী মোবাশ্বেরা মারা যাওয়ার পর সন্ধ্যায় মারা গেছে রবি আলম নামের পাঁচ বছরের আরও একটি শিশু।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার দিন শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ওই বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ শিশুসহ ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাসেল নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেদিন চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, চিকিৎসাধীন দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে জোবাইদা (২৫) শরীরের ২৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের (২৪) ৮ শতাংশ, মো. সোহেল (৫) ৫২ শতাংশ, রবি আলমের (৫) ৪৫ শতাংশ, রুশমিনার (৩) ৫০ শতাংশ এবং মোবাশ্বেরার (৪) ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে মোবাশ্বেরা ও রবি আলম মারা গেল। এখন সোহেল ও রুশমিনার অবস্থাও খারাপের দিকে।