ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মার হাইম চরে গভীর রাতে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বিলাসবহুল দুই যাত্রীবাহী লঞ্চ কীর্তনখোলা ১০ ও প্রিন্স আওলাদ ১০’র সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে লঞ্চ দুটির সম্মুখভাগের বিভিন্ন অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চের মধ্যে এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে সক্ষম হলেও এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ নামে অপর লঞ্চটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে রাতভর নোঙর করে রাখা হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০৬২ পিস ইয়াবা, ৯১ পুরিয়া হেরোইন ও ৪৩৯ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের নামে থানায় ১১ মামলা হয়েছে বলেও জাননো হয়।

ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ৭/৮ টি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের সিংপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, রোববার সকালে ৭টার দিকে সিংপাড়া আন্ডারপাসে মাওয়ামুখী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস সামনে থাকা কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা দেয়। একই সময় পেছনে থাকা একটি মাইক্রোবাসসহ এনা, সেবা ও গোল্ডেন লাইন পরিবহনের আরও তিনটি যাত্রীবাহী পরিবহনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন। এ ঘটনায় একজন মাইক্রোবাসচালকে গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলোকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার হয়েছে। এসময় এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় প্রায় ৪০ মিনিট সড়কে প্রচুর জ্যামজটের সৃষ্টি হয়।

টানা কয়েক দিন ধরে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। হঠাৎ হিমেল হাওয়া বৃদ্ধির ফলে উত্তরের হিম শীতল বাতাসের কারণে ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। এতে বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। বেশী বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।

আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ জেলা থেকে হিমালয় পর্বত অনেক কাছাকাছি হওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। ফলে কনকনে শীত অনুভূত হয়।

এদিকে উত্তরের হিমেল হাওয়া গতকালকের চেয়ে আজকে কিছুটা কমেছে, বেড়েছে কিছুটা কুয়াশাও তবে কমেনি শীতের তীব্রতা। দিন ভর সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সাথে আবারও শুরু হয় শীতের তীব্রতা। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজের সন্ধানে বের হন, ঠিক এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশী শীত, কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। ফলে কনকনে শীতে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। আর অনেকে কাজে যেতে পারলেও বেশীক্ষণ কাজ করতে পারছে না। এছাড়া পরিধানের মোটা কাপড়ের অভাবে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই এই মুহুর্তে শীতবস্ত্রের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, উত্তরে হিমেল হওয়ার কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে এ জেলায়। আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও দুই-একদিনের মধ্যে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।