যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষ হবে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
-
-
|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষ হবে সেনাবাহিনী বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে শনিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট (বিআইআর)-২০২৪ তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলেছে, যাতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ বাহিনী সক্ষম হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বেশ কিছু পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি করেছি।
সশস্ত্র বাহিনীর ভালো কাজের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য ভূঁয়সী প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশাল অবদান রেখে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যায়, তাদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে।
তিনি বলেন, তার সরকার ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলছে, যা জাতির পিতা কর্তৃক গৃহীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে প্রণীত হয়েছিল।
বিশেষ করে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নে অংশ নিয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় সশস্ত্র বাহিনী ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্ন হিসেবে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, তার সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না। আমরা যথাযথ মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াব।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মতো বাংলাদেশও এর প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এক ইঞ্চি (পতিত) জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে।
