আমরা অভাবী মানুষ, যেনোই রাইত হেনোই কাইত



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ও খালা, ও চাচি বেইল গেছে গা। যাইয়াম গা। যাই কিছু বেছোইন লইয়্যাইন। মেশিন ভাঙা, সাইকেল ভাঙা, বই-খাতা, পুরান লোহা, নষ্ট ব্যাটারি, টিন ভাঙা, ছিঁড়া জুতা, পেলাস্টিকের মাল যা আছে, লইয়্যা আইন। বাড়ি ঘর পরিষ্কার করোইন, আনাচে-কানাচে কতো কিছু পইড়্যা রইছে। লইয়্যা আইন। সব নগদ টেকা দিয়া কিনবাম, বাকি নাই।

আঞ্চলিক ভাষায় রেকর্ডকৃত এই ছন্দগুলো ভ্যানগাড়িতে মাইক বসিয়ে বাজানো হচ্ছে। আর চালকের আসনে বসে থাকা চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি ভ্যানগাড়ি নিয়ে ছুটে চলছেন সড়ক ধরে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের ইসলামাবাদ এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়।

হাতে ইশারা দিলে ভ্যানচালক গাড়ি থামায়। পরিচয় দিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। এ প্রতিনিধিকে তিনি জানান তার নাম সাহাব উদ্দিন (৪৮)। বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের মইন্যাপাড়া গ্রামে। বাবা মৃত মো. সিদ্দিক আকন্দ। পেশায় তিনি একজন ভাঙারি (পরিত্যক্ত জিনিস) ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্যানগাড়ি নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভাঙারির মালামাল সংগ্রহ করেন।

গাড়ি নিয়েই হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা শুরু করেন সাহাব। তিনি জানান, তার বাবা ছিলেন একজন দরিদ্র বর্গাচাষি। অভাবের কারণে পড়াশোনা হয়নি। তাই জীবিকার তাগিদে ১৫ বছর বয়সেই রিকশা চালানো শুরু করেন সাহাব। কিন্তু এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। তাই এই পেশায় এসেছেন।

সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমগোর এদিকে অনেক মাইনষ্যে ভাঙারির ব্যবসা করত। হেগোর লগে কথা কইয়্যা জানবার পারি ব্যবসাডায় লাভ মন্দ না। রিকশা চালাইতে খুব কষ্ট হইত তাই এই ব্যবসায় নাইম্যা পড়ছি। পরথম পরথম মাল কিনার সময় মুখে চিৎকার কইর‌্যা ডাকতে গলার মইধ্যে বেদনা করত। তাই আমি ও গেরামের এক পোলা বুদ্ধি কইর‌্যা নিজেরাই ছন্দ মিলাইয়্যা কথা মোবাইলে রেকর্ড কইর‌্যা মাইকে বাজানো শুরু করি। এহন আর কষ্ট হয় না। মাইকের আওয়াজও যায় মেলা দূর।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547269599960.jpg

কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, সাহাব একবার বাড়ি থেকে ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হলে দুই সপ্তাহের আগে বাড়ি ফেরে না। এই সময়টা তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভাঙারির মালামাল কেনেন। পরে ময়মনসিংহ শহরে এনে বিক্রি করেন। ঘুরতে ঘুরতে যেখানে রাত হয় সেখানেই ভ্যানগাড়ি রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। ক্ষুধা লাগলে অল্প টাকায় খাবার কিনে খেয়ে নেন।

সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘দুই-তিন দিন হইল আপনেগোর এলাকায় আইছি। লোহা, টিন ভাঙা মাল বিশ টেকা, পেলাস্টিকের মাল দশ টাকা কেজিতে কিনতিছি। পুরান বইখাতাও প্রতি কেজি দশ থেকে ১৫ টাকায় কিনি। হারাদিন ভ্যানগাড়িত কইর‌্যা গেরামে-গঞ্জে ঘুইর‌্যা দুই হাজার টেকার মাল কিনবার পাড়ি। সদরে (ময়মনসিংহ শহর) বেইচ্যা লাভ হয় ৩-৪শ টেকা। হেইডা দিয়াই সংসার চালাই।’

দাম্পত্য জীবনে সাহাবের মা-স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে শরীয় হাফেজ হয়েছে কিছুদিন আগে। মেজ মেয়ে শিমুলের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে শাপলা স্থানীয় মাদরাসায় আরবি পড়ে।

এরইমধ্যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। সাহাব এই প্রতিনিধির সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসেন হাতেম আলী রোড এলাকায়। মাইকের ডাক শুনে ব্যাগ ভর্তি প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত জিনিস নিয়ে ভ্যানগাড়ির সামনে আসেন স্থানীয় সাংবাদিক মো রইছ উদ্দিন। জিনিসগুলো পাল্লায় ওজন করে সাহাব বলেন, ‘ভাই দুই কেজি মাল হইছে, এই লন বিশ টাকা।’

রইছ উদ্দিন বলেন, ‘টাকা লাগবে না। এগুলো আপনাকে ফ্রি দেয়া হল। আপনার ব্যতিক্রমী মাইকিং শুনে আমি এখানে এসেছি।’

জবাবে সাহাব বলেন, ‘আমরা অভাবী মানুষ, জীবনে ব্যতিক্রমী বলে কিচ্ছু নাই। যেনোই রাইত, হেনোই কাইত।’ এই বলেই মাইক বাজিয়ে ভ্যানগাড়ি নিয়ে ছুটে চলে সাহাব। অন্ধকার সড়কে ধীরে ধীরে মিলে যেতে থাকে তার মাইকিংয়ের শব্দ।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;