কৃষকলীগ নেতাকে হত্যার পর গাছে ঝুঁলিয়ে রাখার অভিযোগ, আটক ৩
![ছবি: বার্তা ২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Mar/05/1709630638642.jpg)
ছবি: বার্তা ২৪.কম
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সাদেক মণ্ডল (৫৫) নামে এক কৃষকলীগ নেতার ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে হত্যার পর গাছে ঝুঁলিয়ে রেখেছে প্রতিপক্ষ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের কাকনি গ্রাম থেকে ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদেক মণ্ডল ওই গ্রামের আরজ আলী মণ্ডলের ছেলে।
সাদেক মণ্ডল কাকনি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন কাকনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক তালুকদার।
তিনি বলেন, মরদেহ যখন পুলিশ উদ্ধার করে তখন আমি দেখেছি তার জামার বোতাম ছেড়া ছিল ও শরীরে অনেক ধুলাবালি লেগে ছিল। এছাড়া তাকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসী ভাড়া করা হয়েছিল, তার প্রমাণ আছে। এতেই বুঝা যায়, সাদেক মণ্ডলকে হত্যার পর গাছে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার (৪ মার্চ) বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরেননি সাদেক মণ্ডল। সকালে বাড়ির পাশে গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার বাবা আত্মহত্যা করেনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আমার চাচা আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন তাকে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাহফুজ সরকার বলেন, সাদেক মণ্ডলের তার ভাই আনোয়ার মণ্ডলের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। তবে, মিমাংসা হয়নি।
মরদেহ বহনকারী অটোরিকশাচালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ নেয়ার জন্য গাড়িতে উঠানোর সময়ই মরদেহের মাথার পেছনে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছি।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন মণ্ডল (৪৫), তার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও নাতি আজাদ সজল (২১)।
ওসি আরও বলেন, পরিবার যেহেতু হত্যার দাবি করছে, তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে, ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।