ওসমানী মেডিকেল কলেজে কর্মচারীকে মারধর, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ গেইটে কর্মরত (দারোয়ান) মোহাম্মদ আলী নামের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (১০মার্চ) সকাল থেকে কর্মবিরতিতে যান মেডিকেল কলেজের কর্মচারীরা। তাদের দাবি মানা না হলে কাজে ফিরবেন না বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই দাবিতে কর্মচারীরা কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
আন্দোলনরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
তবে, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপিত সাইফুল ইসলাম। তার দাবি শনিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো। এসময় একজন ছাত্রীর মোবাইল ফোন মোহাম্মদ আলী চুরি করেছেন বলে কয়েকজন ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে জানালে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেই। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ওসমানী মেডিকেল ক্যাম্প পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রোববার ভোররাত ৪টার দিকে নাইটগার্ড মোহাম্মদ আলীকে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগের সাইফুল।
কর্মবিরতি পালনকালে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারিছ আলী বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ গেইটে কর্মরত মোহাম্মদ আলী নামের এক দারোয়ানকে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মারধর করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এই ঘটনার বিচার দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
তিনি বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোমবার সকাল দশটার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিবেন বলে বলেছেন। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আগে কাজে যোগ দেবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি দু-পক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। আমরা সোমবার সকালে বসে এটার সমাধান করে দেবো। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।