ফেনীতে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি জাতীয় পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণসহ নানা অভিযোগে ৬ দোকানিকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৭ মার্চ) শহরের বড় বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ফেনীর সহকারী পরিচালক (অ. দা.) মোহাম্মদ কাউসার মিয়া।
বিজ্ঞাপন
ভোক্তা অধিকার অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দুপুর থেকে শহরের বড় বাজারে সবজির দোকান, খেজুরের দোকান ও মিষ্টান্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি জাতীয় পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় শরিফ মিষ্টি মেলাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় আমির হোসেনের সবজি দোকান, আজমির হোসেনের সবজি দোকান, জামান রোডে মিজান ব্রাদার্স, জে বি রোডে আইয়ুবের খেজুরের দোকান, ও নেছারুদ্দিনসহ প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (অ. দা.) মো: কাউসার মিয়া বলেন, অভিযানে দোকানিদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিভিন্ন দাবি আদায়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত শিল্পনগরী গাজীপুর। বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, আন্দোলনসহ কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। এরই মধ্যে অনেকটাই স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের টঙ্গী, জয়দেবপুর ও শ্রীপুর পূবাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। ওইদিন কারখানায় ভাঙচুর ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ওইদিন জেলার বিভিন্ন এলাকার মোট ২৫টি কারখানা একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব কারখানায় একদিনের বন্ধে নোটিশ টাঙানো দেখা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী এলাকার এমট্রানেট গ্রুপ নামে কারখানায় ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা । একই সাথে যোগ দেয় পিনাকি গ্রুপ, ড্রেস ম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরাও।
একই দিনে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার হাই ফ্যাশন নামে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে পাশ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হামলার শিকার হন হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
এছাড়াও জয়দেবপুর নতুন বাজার এলাকার এসএম নীটওয়্যার লিমিটেড, অ্যাসরোটেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে ১৪ দফা দাবি আদায়ে উত্তেজিত হয়ে কারখানার প্রধান গেটে ইট ছুঁড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসব এলাকায় কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বর্তমানে যে কারখানাগুলোতে সমস্যা হচ্ছে তা থেকে অন্যান্য কারখানায় যাতে শ্রমিক বিক্ষোভ ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ২৫টি কারখানা একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে যৌথ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তার বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপনসহ ৯০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু,সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ কুন্ডু মিটুল, সরদার আলমগীর হোসেন আলম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অচিন চক্রবর্ত্তি, নড়াইল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মলয় কুন্ডুসহ আওয়ামীলীগও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৯০ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সদর থানায় মামলা নং-১০। মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলা বাহিরগ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ মোস্তফা আল মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট ২০২৪ দুপুরে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, লাঠি, শর্টগান,বন্দুক, পিস্তল, হাতবোমাসহ মারাত্বক অস্ত্রা নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে চৌরাস্তার থেকে চিত্রানদীর পূর্ব পাড় পর্যন্তু বেআইনি সমাবেশ করে। ওই সময় নাকশী বাজার হতে মালিবাগ হয়ে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখের শেখ রাসেল সেতুর পূর্ব পর্যন্ত পৌঁছালে আসামিরা জোটবদ্ধ হয়ে গুলিবর্ষণ করে। এসময় গুলিতে সদর উপজেলার পলইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম গুরুতর যখম হয়।
এছাড়া বোমার আঘাতে অনেকে আহত হয়। তাদের ইট-পাটকেলেও অনেকে আহত হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বগুড়ায় চাঁদা না দেয়ায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে আকিল হোসেন রানা(৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। এ সময় তার স্ত্রী রোজিনা বেগমও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের জয়পুরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
রানা জয়পুরপাড়া পশ্চিম পাড়ার এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে ও পেশায় একজন পুরাতন লোহা ব্যবসায়ী।
বগুড়া পৌরসভার ১৭ নং ওযার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত রোববার ভাড়া নিয়ে রিকশাচালকের সাথে রানার বিরোধ হয়। এ সময় রানার প্রতিবেশী ইনছান ও তার এক বন্ধু সাগর, রানার পক্ষ নিয়ে রিকশাচালককে মারধর করে। ওই রিকশাচালক ঘটনাটি জয়পুরপাড়ায় বসবাসকারী তার জামাইকে জানায়। রিকশাচালকের জামাই পরদিন ইনছানকে ডেকে চড় থাপ্পড় দেয়।
মঙ্গলবার রাতে রানা তার স্ত্রীসহ একই এলাকায় দাওয়াত খেয়ে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছাকাছি পৌঁছালে ইনছান ও সাগরের সাথে দেখা হয়। এ সময় ইনছান জানায় তার (রানা) পক্ষ নিয়ে রিকশাচালককে মারধর করে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে মারধরের শিকার হয়। এ কারণে রানার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তারা রানার পেটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় স্ত্রী রানাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ঘটনার পর পরই ইনছান ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি।
রাঙামাটিতে ভারতীয় অবৈধ সিগারেটের রমরমা ব্যবসা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করায় প্রতিবেদক আলমগীর মানিকের ওপর হামলা চালিয়েছে রিয়াজুল হাকিম রাজু নামের এক বখাটে। জানা গেছে, তিনি রাঙামাটি নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। হামলার সময় তার সঙ্গে রাজুর চাচাতো ভাই ফারুকুল ইসলাম ইমনও উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ১০ মিনিটের সময় রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের এসপি বাংলো সংলগ্ন এলাকায় আলমগীর মানিকের নিজ বসতঘরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আলমগীর মানিকের দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারী রাজু কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকিতে সবার মাঝে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি শহরে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রথমসারির গণমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অতি সম্প্রতি রাঙামাটিতে ভারতীয় পণ্যের রমরমা ব্যবসা; কোটি টাকার সিগারেটসহ আটক-১ শিরোনামে নিউজ প্রকাশ করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় শুল্কবিহীন ভারতীয় সিগারেটের রমরমা ব্যবসাসহ এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে জনৈক অবৈধ সিগারেট ব্যবসায়ী দিদারকে বক্তব্যের জন্য ফোন দিলে প্রতিবেদকের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফারুকুল ইসলাম ইমন ও রিয়াজুল ইসলাম রাজু আলমগীর মানিকের বাসায় উপস্থিত হয়।
এসময় কেন দিদারকে ফোন করা হয়েছে এবং দিদারকে চিনস কিনা প্রশ্ন করেই বিভিন্ন ধরনের কটুক্তিমুলক কথা বলতে থাকে। এতে করে আলমগীর মানিক প্রতিবাদ করলে নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল হাকিম রাজু আলমগীর মানিকের গায়ের ওপর ওঠে আসার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে প্রতিহত করতে এগিয়ে গেলে তিনি ধাক্কা দেন।
ঘটনাস্থলে আলমগীরের আরো দুই সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাদের বাধায় রাজু ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় “মানিক সবর কর দেখেলইয়ুম তুরে” এই হুমকি দিয়ে চলে যায়। রাজুর এহেন আচরণ আলমগীর মানিকের সিসিটিভিতে রেকর্ড রয়েছে। বিগত সরকার পতনের পর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার এখনো ৩৫ দিন না পেরোতেই ছাত্রদল নেতার এহেন আচরণ তাদের ভবিষ্যত নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতেই আলমগীর মানিকের বাসায় হামলার ঘটনাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলীকে মৌখিকভাবে মুঠোফোনের মাধ্যমে অবহিত করা হলে তিনি এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে লিখিত অভিযোগ থানায় দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় ছাত্রদল নেতা কর্তৃক সাংবাদিকের বাসায় হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, রাঙামাটি নগর ছাত্রদলের আহবায়ক খায়রুল ইসলাম জানান, আমাদের দলীয় হাইকমান্ড নেতাকর্মীদের উচ্ছৃঙ্খল করতে নিষেধ করেছেন। এই নির্দেশনার পরেও যদি কেউ এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটায় তার বিরুদ্ধে দলীয় হাই কমান্ডের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।