মুক্তির সংগ্রাম স্থির বিষয় না, ১৯৭১ সালে শেষ হয়নি: সাকি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তির সংগ্রাম কোনো স্থির বিষয় না, ১৯৭১ সালে তা শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জোনায়েদ সাকি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এই দেশের নাগরিকদের জন্য সমতার চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতন্ত্র একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

তিনি আরও বলেন, সরকার এই রাষ্ট্রকে আমাদের স্বাধীনতার চেতনার বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে। জনগণ লড়াই করে যাচ্ছে। এই ৫৪ বছরে এসেও ওই মুক্তির সংগ্রামে শহীদের যে ঋণ, সেটাকে ধারণ করে এখনও ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এই লড়াইয়ে বিজয়ী হবে। যেমন ১৯৭১ সালে আমরা বিজয়ী হয়েছি।

বিজ্ঞাপন

জোনায়েদ সাকি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেইটা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে এই দেশে যে ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, তা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি করা হয়েছে। মানুষের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুযোগের সমতা সৃষ্টি করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে নাগরিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটার জন্য যে অর্থনীতি ব্যবস্থা, আইন বিধি-বিধান, সেগুলো তৈরি করতে হবে। সেজন্য লড়াই করছি।

তিনি বলেন, সবসময়ই গণবিরোধী শক্তি ছিল। ১৯৭১ সালে যেমন গণবিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এখনও দেখি, বাংলাদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। পুরো রাজনৈতিক সংগ্রামটাই এমন। মুক্তির সংগ্রাম কোনো স্থির বিষয় না। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে কারা মুক্তির সংগ্রাম করেছেন, আর কারা শত্রুর জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন, এটা পরিষ্কারভাবে ঠিক করতে হবে। ৭১ সালের চেতনা ২৪ সালে এসে তারাই ধারণ করে যারা এই মুহূর্তে মুক্তির সংগ্রাম করছে। যারা এই মুহূর্তে ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, দেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করছে, তারা মুক্তি সংগ্রামের চেতনার লোক না।

এ সময় তার সঙ্গে গণসংহতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।