সাভারে ৫ গাড়িতে আগুন: অভিযোগ সওজের দিকে!
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Apr/02/1712051569916.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
ঢাকার অদূরে সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তেলবাহী লরি উল্টে আগুন লেগে ৫ গাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দুর্ঘটনাস্থলে নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও আশপাশের কোথাও চোখে পড়েনি কোন সাইন ও মার্কিং।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোরপুল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সড়কের মাঝে থাকা বোল্ডারে চাকা উঠে গেলে উল্টে যায় তেলবাহী লরি। সেখান থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ার পর আগুন ধরে যায়। এই আগুন ছড়িয়ে যায় আশপাশের আরও ৪টি গাড়িতে। এতে পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি তরমুজ বোঝাই ট্রাক, একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার।
প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুল ইসলাম বলেন, বোল্ডারের কারণে প্রথমে তেলের গাড়ি উল্টে যায়, পরে আগুন লাগে। তারপরে অন্যান্য গাড়িতে আগুন লাগে। কাজ চলছে এমন কোন নিশান নেই এখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি নিশানা থাকলে এমন ঘটনা হয়ত ঘটতো না।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের সার্কেল এএসপি রাজিউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে সওজের কাজ চলছিল। সড়কে ডিভাইডার দেওয়ার জন্য সওজ যে বোল্ডারগুলো রেখেছিল তার সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্যাংক লরিটা উল্টে যায়। সেখান থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত।
ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন ৪ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে ইউ-টার্ন নির্মাণ করার জন্য বড় বড় পাথর (বোল্ডার) বসানো ছিল। সেই পাথরে গাড়ির চাকা উঠে গেলে লরি উল্টে গিয়ে তেল ছড়িয়ে পড়ে। কাজ চললেও সড়কে কোন সাইন বা মার্কিং ছিল না। যেহেতু ভোরের দিকের ঘটনা চালক অবচেতনভাবে কিংবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায়। তখন এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইকবাল হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তি। তিনি সাভারের হেমায়েতপুরে বসবাস করতেন এবং সিমেন্টের ট্রাকের লোডার হিসেবে কাজ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নজরুল নামে আরেক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- হেলাল (৩০), সাকিব (২৪), আ. সালাম (৩৫), মিলন মোল্লা (২২), আল আমিন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫) ও মিম (১০)। তাদের মধ্যে হেলাল ও সাকিবের অবস্থা গুরুতর।
এ বিষয়ে সওজের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ ও ঢাকা উপ-বিভাগ ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।