হাছান মাহমুদের সঙ্গে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ জেরাপেট্রাইটিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের ক্যালিথিয়ায় 'স্টাভরোস নিয়াকো ফাউন্ডেশন কালচারাল সেন্টারে' সম্মেলনের পাশাপাশি এ বৈঠকে ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন, কৃষিখাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানি, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নৌপরিবহন, নবায়নযোগ্য এবং বিকল্প শক্তি উৎপাদন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেন তারা।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন এবং বলেন, ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলা গ্রিস সরকারের অগ্রাধিকারের অন্তর্ভুক্ত এবং ঢাকা সফর এই দূতাবাস উদ্বোধনের একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।

ড. হাছান মাহমুদ গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানসম্পন্ন বাংলাদেশি পণ্য আমদানি সহজতর করা ও এ বিষয়ে গ্রিক ব্যবসায়ীদের উৎসাহদানের আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় অভিবাসন ও চলাচল বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রিসে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির বসবাসে বৈধতা প্রদানের জন্য গ্রিক সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সমঝোতা স্মারকের দ্বিতীয় অংশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করেন ও উপযুক্ত কৌশল খোঁজার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।বাংলাদেশি পেশাজীবীদের পরিশ্রমী এবং আইন মেনে চলা প্রকৃতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, গ্রিস আগামী দিনে তার কৃষি, পর্যটন, আতিথেয়তা এবং নির্মাণ খাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে।

পাশাপাশি নৌপরিবহন খাতে দুই দেশের মধ্যে অর্থপূর্ণ সহযোগিতা পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে বর্ণনা করে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রণয়নেও একমত হন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পরিবেশগত পরিবর্তন ও জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জ বিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া হেসুস মন্টেরোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্ব ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

দুই মন্ত্রী বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা, সবুজ শক্তি, পরিবেশগত সমস্যা এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সম্মত হন।

   

'অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করতে পারে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করতে পারে'

'অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করতে পারে'

  • Font increase
  • Font Decrease

অপতথ্য রোধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ অংশীদার হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টারে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইন্টিন আয়োজিত 'বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সমস্যা নয়। সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে যেকোন সমালোচনা করলে সেটা সরকার স্বাগত জানায়। যখন পরিকল্পিতভবে অপতথ্যের প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন থামানোর জন্য সাংবাদিকতার অপব্যবহার করা হয়, অপতথ্য প্রচারের জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটিই সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা বন্ধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ একসাথে অংশীদার হয়ে কাজ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাথে সাথে সমাজের সর্বস্তরে অপতথ্যের অস্তিত্ব বিরাজ করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই কার্যকর, যখন এর ব্যবহার করা হয়। অপতথ্যের বিস্তৃতির মাধ্যমে যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়, তখন এটি অত্যন্ত নেতিবাচক হয়। এটি সমাজে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং জনগণের ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে আমাদেরক সতর্ক থাকতে হবে। অপতথ্য প্রতিরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরাফাত বলেন, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ। আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করেছি, জীবন উৎসর্গ করেছি এবং একটি দেশ তৈরি করেছি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলবো তখন সেটা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপব্যবহার না হয়। যখনই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করবো, তা যেনো গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হয়, অপব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন এবং গণমাধ্যমের দ্রুততার সাথে বিকাশ হয়েছে। সরকারের যদি গণমাধ্যম্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে থাকতো তাহলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইতো না। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকারের একটি উদাহরণ।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার জলবায়ু ও পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে একশো বছরের পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তার ২১০০ সালে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী না হলেও, বাংলাদেশ এর অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে, তাই যারা এর বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদেরকে সরকার মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষা পক্ষে প্রতিবেদন বা সাংবাদিকতা সরকার অবশ্যই স্বাগত জানাবে। কারণ ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী আগামী একশো বছরে দীর্ঘমেয়াদে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, ভূমি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ নিয়ে সরকার কাজ করছে।

আরাফাত বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার আমরা পরিবেশের সুরক্ষা দিতে চাই। যারা এর বাইরে অন্য কিছু করবে তাদের ব্যাপারে সাংবাদিকরা সঠিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সেটাকে সরকার স্বাগত জানাবে। কারণ এটি পরিবেশের ব্যাপারে সরকারের কেন্দ্রীয় অঙ্গীকারের সাথে সংগতিপূর্ণ। সরকার শুধু উন্নয়নে বিশ্বাস করে না বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে, যা পরিবেশগত সুরক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে মৌলিক সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যে কোনো ধরনের সমালোচনা সব সময় স্বাগত জানাবে এবং দেশের যেকোনো প্রান্তের প্রতিবেদক বা সাংবাদিককে সুরক্ষা দেবে। সত্য ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এমনকি সরকারের সমালোচনা করলেও সেটি সরকার প্রশংসা করবে ও স্বাগত জানাবে।

প্যানেল আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক।প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন আর্টিকেল নাইন্টিন-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম।

প্যানেল আলোচনার পূর্বে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উসরাত ফাহমিদা।

;

আমিরাত সফর বাতিল করেছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী শুক্রবার (৩ মে) থেকে রোববার (৫ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করার কথা ছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর।

সফর‌টি বা‌তিল করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রবাসী কল‌্যাণ মন্ত্রণালয়।

এ‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে, শেখ তাহনুন বিন মোহাম্মদ নাহিয়ানের মৃত্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে। আমিরাতের শোকের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন। প্রতিমন্ত্রী এখন যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন। তিনি আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় ফির‌বেন।

প্রবাসী কল‌্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিমন্ত্রীর আগামী শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের কথা ছিল।

;

টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ থেকে পড়া বেল কুড়িয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাজিব আলম রাজিব (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পংভাদ্রা গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজিব ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলম মিয়ার ছেলে। সে ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন।

এদিকে গত ২৯ এপ্রিল গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গা গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন প্রবাসী লুৎফর রহমান। এ খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ৪ দিনের মাথায় আরেকটি খুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ও পরিবারের বরাত দিয়ে নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলীম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমের সাথে মো. আজহারের বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সীমানায় একটি বেল গাছের বেল মাটিতে পড়লে আজাহরের বাড়ির লোকজন বেলটি নিয়ে যায়। এ নিয়ে আজাহার ও মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিব আলম রাজিব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ৭জন। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। এরা হচ্ছে, মৃত কলিমুদ্দিন ছেলে মো. আজাহার ও পলাশ, পলাশের ছেলে রুবেল, আজাহারের ছেলে শান্ত, রুবেলের মেয়ে বৃষ্টি ও আজাহারের স্ত্রী শিল্পী বেগম।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. রাজিব আলম রাজিব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, ছুরি উদ্ধারসহ ৬ জন কে আটক করা হয়েছে। আটকদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচন: সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি পাংশা নাগরিক সমাজের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর পাংশায় সন্ত্রাসমুক্ত, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে পাংশা উপজেলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি উপস্থাপন করা হয়।

মাঝবাড়ি জাহানারা বেগম ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় পাংশা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার চাঁদ আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নিখিল কুমার দত্ত, নাগরিক সমাজের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক মুক্তার হোসেন এবং মাসুদ রেজা শিশির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পাংশাতে নির্বাচন মানেই এক আতঙ্কের নাম। নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়েছে। এরই মাঝে কুষ্টিয়া ও পাবনা থেকে সন্ত্রাসী আনার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। র‌্যাব উপজেলার বলরামপুর থেকে বকুল নামে এক সন্ত্রাসীকে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত বকুল ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ হাসান ওদুদের সমর্থক বলে জানতে পেরেছি।

নির্বাচনে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাংশার উন্নয়নে যে ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন, যে প্রার্থী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন বক্তারা। নির্বাচনের দিন ভোটের পরিবেশ যেন সুষ্ঠ ও সুন্দর থাকে সেজন্য নির্বাচনের কমিশনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

মতবিনিময় সভায় নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ পাংশার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;