রক্তের দাগ মুছে ফেলা এই পন্টুনেই ঝরে ৫ প্রাণ



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
রক্তের দাগ মুখে ফেলা এই ১১ পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ/ছবি: নূর এ আলম

রক্তের দাগ মুখে ফেলা এই ১১ পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

সদরঘাটের ১১ নাম্বার পন্টুন। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নোঙর ভেড়ানো লঞ্চগুলো সারি সারি বাধা। রক্তের দাগ নেই; নেই প্রাণ ঝরে যাওয়ার কোনো চিহ্নও! পাশেই মাত্র কয়েক হাত দূরে বিএইডাব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বক্স। এ সময় ঘাটে নোঙর ফেলতে যাওয়া এম.ভি অভিযান-৩ নামের একটি লঞ্চকে নির্দেশনা দিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।

অথচ এই পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে প্রাণ যায় ৫ জনের। মুহূর্তেই বিষাদের রূপ নেই ঈদের দিনের বিকেলটা। পন্টুনে পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহগুলো ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। বিষাদ ছেয়ে যায় গোটা দেশে।

তবে এই প্রাণের বিনিময়ে এখন সদরঘাটে যেন শৃঙ্খলা ফিরেছে। লঞ্চ শ্রমিকরা জানালেন, কয়েকদিন আগেও ঘাটে লঞ্চ নোঙর করতে এতো তৎপরতা দেখা যায়নি। এখন নিয়ম মেনে নোঙর করানো হচ্ছে লঞ্চগুলোকে।


আর মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) সেই দৃশ্য দেখা গেলো সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে। চিরচেনা ভিড় নেই। ঘাটে সারিবদ্ধভাবে বাধা লঞ্চগুলো। মাঝেমধ্যে দুই একজন যাত্রী এলেও নির্ধারিত সময় না হওয়ায় ছাড়ছে না কোনো লঞ্চ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌযান কর্মী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, পদ্মা সেতু হবার পর থেকে এমনিতেই সদরঘাটে যাত্রীর আনাগোনা নেই। দুই ঈদে কিছু যাত্রী হলেও এবার ঈদের দিনে অনাকাঙ্ক্ষিত যে দুর্ঘটনা ঘটলো তাতে মানুষ আরও ভয় পেয়েছে। একেকটা রশি অন্তত ৮/১০ মণ ওজনের হয়ে থাকে। এই রশি সহজে ছিঁড়ে যাওয়ার কথা না। তবে সেদিন যেই রশি ছিঁড়ে গেছে তা কিছুটা দুর্বল ছিলো, তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটার কথা না। এছাড়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করা (বিআইডাব্লিউটিএ) এর কর্মকর্তাদের সারাবছর খুঁজে পাওয়া যায় না। পাঁচটা মানুষ মারা গেছে, এখন তারা প্রতিদিন এসে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে এটা ঠিক আছে কিনা? ঐটা ঠিক আছে কিনা কতো কি! তবে আমি লঞ্চের চালকের কোন দোষ দেখি না। যাত্রী নিতে লঞ্চ ঘাটে আসবে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এখানে অন্য লঞ্চের সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেটা তো আগে ঘাটের লোকজন দেখার কথা ছিলো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এর সদরঘাটের অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের এক কর্মচারী বার্তা২৪.কম’কে জানান, সবাই প্রধান কার্যালয়ে মিটিংয়ে গেছেন।


নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায় বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগ কোনভাবে এড়াতে পারে না। একটা লঞ্চ কখন ঘাটে ভিড়বে বা ছাড়বে, কোথায় নোঙর করবে তা দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের। ঘটনার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণেই মূলত এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। যদি এম.ভি ফারহান ৪ লঞ্চটিকে ঘাটে ভিড়তে না দিতো বা অপেক্ষা করতে বলতো। অথবা অন্য লঞ্চ দুটির রশি একটু ঢিল করে দিতো তাহলে হয়তো এই পাঁচটা জীবন বাঁচানো যেতো। ঘটনার পূঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষেই জানা যাবে কার দোষ ছিলো।

সেদিন যা ঘটেছিল...

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে সেদিন ( ১১ এপ্রিল ) ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নোঙর করে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে অন্তত ৫জন যাত্রী মারা যায়। নিহতদের মধ্যে ১ জন নারী, ১ জন শিশু ও ৩ জন পুরুষ ছিলো।

সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এমভি তাশরিফ ৪ ও এমভি পূবালী ১ লঞ্চ দুটি রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুই লঞ্চের মাঝ দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকতে গেলে এমভি তাশরিফ ৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় পাঁচ হতভাগ্যের।

   

উপজেলা নির্বাচন: সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি পাংশা নাগরিক সমাজের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর পাংশায় সন্ত্রাসমুক্ত, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে পাংশা উপজেলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি উপস্থাপন করা হয়।

মাঝবাড়ি জাহানারা বেগম ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় পাংশা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার চাঁদ আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নিখিল কুমার দত্ত, নাগরিক সমাজের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক মুক্তার হোসেন এবং মাসুদ রেজা শিশির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পাংশাতে নির্বাচন মানেই এক আতঙ্কের নাম। নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়েছে। এরই মাঝে কুষ্টিয়া ও পাবনা থেকে সন্ত্রাসী আনার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। র‌্যাব উপজেলার বলরামপুর থেকে বকুল নামে এক সন্ত্রাসীকে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত বকুল ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ হাসান ওদুদের সমর্থক বলে জানতে পেরেছি।

নির্বাচনে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাংশার উন্নয়নে যে ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন, যে প্রার্থী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন বক্তারা। নির্বাচনের দিন ভোটের পরিবেশ যেন সুষ্ঠ ও সুন্দর থাকে সেজন্য নির্বাচনের কমিশনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

মতবিনিময় সভায় নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ পাংশার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মহিলা লীগ নেত্রীর মোটরসাইকেল শোডাউন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি শহরের বিভিন্ন সড়কে সর্মথকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেন।

তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেলাই মেশিন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি ২০০৮ এর এর সংশোধনী (২০১৩) অনুযায়ী বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।

তবে নির্বাচনী আচরণবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমর্থকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন তিনি। এসময় দেখা যায়, শোডাউনের সামনে মোটরসাইকেলে বসে আছে। সর্মথকরা তার পিছনে লাইন ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন। এসময়ে তারা উচ্চস্বরে মোটরসাইকেলের হর্ণ বাজায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

এবিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ভাবেই কোন প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন করার সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে সেটি অবশ্যই আচরণ বিধি লঙ্ঘন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিবেন৷

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির ক্যাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আবু সাঈদ বাদশা (৫২) ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন (৪৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু সাঈদ বাদশা শহরের নতুন কোর্টপাড়া (টালিপাড়া) এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন উপজেলার হরিপুর শালদাহ এলাকার আব্দুল হাই খানের ছেলে এবং কুষ্টিয়া পৌরসবার সাবেক প্যানেল মেয়র টিটু কমিশনারের ছোট ভাই।

আবু সাঈদ বাদশা পেশায় কনফেকশনারী দোকানদার ছিলেন এবং মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন সাংবাদিকতা করতেন। তিনি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য ও দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল ও দৈনিক স্বর্ণযুগের উপদেষ্টা ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে দু'জনেই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সাঈদ বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে একজন মারা যায় এবং একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে। তিনিও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

;

সিলেটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কানাইঘাটে বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক বর্গাচাষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নে শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত বর্গাচাষী দক্ষিণ কুয়রেরমাটি মৃত আব্দুস সালামের ছেলে বাবুল আহমদ (৪৮)। এছাড়াও বজ্রপাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত বাবুল আহমদের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদিপ বিশ্বাস (২০)।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাবুল আহমদ স্থানীয় শফিক হাওরে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় তার সাথে ছিল ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাস। হঠৎ করে প্রচণ্ড বজ্রপাত এসে তাদের উপর পড়লে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ধানকাটা জমি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত ফাহিম ও প্রদীপ বিশ্বাসকে সিলেট এমওজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের মরদেহ কানাইঘাট থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দজল মুমিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সাহাবউদ্দিন জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন বাবুল আহমদ। দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নি:স্ব হয়ে গেছে। এই অসহায় পরিবারের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য তারা আহ্বান করেন। 

;