উপজেলা নির্বাচন

প্রথমধাপে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ১৪ প্রার্থী



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুত্তাপ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১শ ৫০টি উপজেলার মধ্যে তিনটি পদের (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান) বিপরীতে ১২টি উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় ১৪ জন বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইসির (নির্বাচন কমিশন) একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের তালিকায় রয়েছেন, দুই চেয়ারম্যান, তিনজন পুরষ ভাইস চেয়ারম্যান ও সাতজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কেননা, আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। সেইদিন চূড়ান্ত হবে কতটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কতজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলা এবং মুন্সীগঞ্জ সদর এ দুটি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

একইভাবে উপজেলা ভাইস (পুরুষ) চেয়ারম্যান পদে তিনজন অর্থাৎ কক্সবাজার সদর, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ উপজেলায় একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন অর্থাৎ বাগেরহাট সদর উপজেলা, হাতিয়া, বড়লেখা, বালিয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া সদর, মতলব সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় একক প্রার্থী রয়েছেন।

এসব উপজেলায় তিনপদে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টিকলে সবাই একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হবেন।

এদিকে, দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুই দলের কোনো একটি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে নির্বাচন হয়ে পড়ে একপেশে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো চলমান উপজেলা নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা গেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে বাধ্যতামূলক মনোয়নপত্র দাখিল করার বিধান করেছে ইসি। সোমবার ছিল মনোয়নপত্র দাখিল করার শেষ সময়।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে ধাপে ১ হাজার ৮শ ৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬শ ৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭শ ২৪ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ ৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ইসি জানায়, সেখানে চেয়ারম্যান পদে একটি উপজেলায় একজন প্রার্থী ও সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে প্রার্থী রয়েছেন ১৮টি উপজেলায়। আর একজন প্রার্থী দুটি উপজেলায়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থীর দুটি উপজেলা হচ্ছে, সিলেটের বিশ্বনাথ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। দ্বিতীয় ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন, একটি উপজেলা হচ্ছে, নেত্রকোনার কলমাকান্দা। নয়জন করে প্রার্থী হচ্ছেন, কুড়িগ্রামের রৌমারী, নওগার বদলগাছী, নাটোরের নলডাঙ্গা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও পাবনার বেড়া। আর ৮ জন করে প্রার্থী আছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, গোপালগঞ্জ সদর, নওগার মহাদেবপুর, নীলফামারীর ডোমার ও দূর্গাপুর।

এছাড়া ৯টি উপজেলায় যথাক্রমে ৭ জন ও ৬ জন করে প্রার্থী, ১৯টা উপজেলায় ৫ জন, ২২টি উপজেলায় ৪ জন, ৩৪টি উপজেলায় ৩ জন করে এবং ১৮টি উপজেলায় ২ জন করে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলায়, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১২ জন এবং ১০ জন করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, রামগতি ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। আর সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী সিলেটের ঘোড়াঘাট ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়।

দু’দিন প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামী ২৩ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হবে প্রতীক। এর পর থেকেই শুরু হবে টানা ১৫ দিনের প্রচার-প্রচারণা। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। আর দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে আগামী ২১ মে।

   

‘এখানে ৩০ টাকায় চুল ছাঁটা হয়’



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাহারি ডিজাইনের চুল কাটতে মানুষ ছুটে যায় সেলুন বা পার্লারে। তবে রাজধানী, শহর, উপশহর ও গ্রামে চুলের কাটিং মূল্যের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। স্থান, কাল, ও পাত্র ভেদে নির্ধারিত হয় নাপিতের পারিশ্রমিক। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতর সাধারণ মানের সেলুনে দাঁড়ি-গোফ কাটার মূল্য দিতে হয় শত টাকা, আর চুলের ডিজাইন করতে গুণতে হয় কয়েক’শ টাকা। এ সময়ে এসেও মাত্র ৩০ টাকায় মাথার চুলের নান্দনিক ডিজাইন করে দেন লব শীল।

সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সামান্য পারিশ্রমিকে খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে মানুষের মাথার চুল, গোফ, দাঁড়ি সেফ করেন তিনি। তার ভ্রাম্যমাণ সেলুনে চুল কাটার মূল্য ৩০ টাকা, গোফ ও দাঁড়ি সেফ করা হয় মাত্র ২০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে কলাগাছি গ্রামের রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে ভ্রাম্যমাণ সেলুনে কাজ করতে দেখা যায় লব শীলকে।

দাঁড়ি সেফ করতে করতে লব শীল বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমরা পেশায় নাপিত। আমার বাপ দাদারাও এই কাজ করে গেছে, এখন আমিও করছি। আমার দুই ছেলে তারাও এই কাজ বেছে নিয়েছে। বংশ পরস্পরায় আমাদের সবাই এই কাজ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সব পেশাতেই আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগায় এখন আর কেউ খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে, টুলের উপর বসে দাঁড়ি, গোফ, চুল কাটাতে চায় না। এসবের জন্য গ্রামের মানুষ এখন শহরে ছুটে যান। আগের মতো আমাদের আর কাজ হয় না। দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের পূর্বপুরুষদের এ পেশা। তাই বাপ দাদার আমলের পেশা ধরে রাখতে এখনো কাজ করছি। আধুনিকায়নের যুগে এসে আমাদের পেশা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

তিনি বলেন, এখর আর আগের মতো আমাদের আয় রোজগার হয় না। সারাদিনে যা আয় হয় তা দিয়ে পেট চলে না। আমরা খোলা আকাশের নিচে চুল কাটি বলে আমাদের মজুরি মাত্র ৩০ টাকা। গোফ ও দাঁড়ি সেফ করা হয় মাত্র ২০ টাকায়। কিন্তু যখন বাজারে চেয়ারে বসে একই ভাবে চুল কাটে তখন তাদের মজুরি হয় ৭০ টাকা। শুধু পার্থক্য আমরা খোলা আকাশের নিচে আর তারা দোকানের ভেতরে চেয়ারে বসিয়ে চুল কাটে।

তার ছেলেদের এ পেশায় নিয়ে আসছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমার ২ ছেলে। আমাদের পূর্বপুরুষদের পেশা ধরে রাখতে আমি তাদেরও এ পেশায় নিয়ে এসেছি। আমার দাদু এ কাজ করেছে, আমার বাবাও করেছে, এখন আমি করছি আর আমার দুই ছেলেও এ পেশায় কাজ করছে। তবে আয় কম হওয়ায় ছেলেরা এভাবে কাজ করতে চায় না বলেও জানান তিনি।

লব শীলের ছেলে গোলক শীলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখছি বাবা সব মানুষের চুল কেটে আসছে। তাই আমরা দুই ভাই ও বাবার পেশা মাথাই তুলে নিয়েছি। আমরা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসেছি, সেখানে দোকান ভাড়া নিয়ে এ পেশা বহাল রাখেছি। আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরি না। গ্রামে কাটলে ভালো মজুরি পাওয়া যায় না কিন্তু শহরে একটা চুল, দাঁড়ি কাটলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পাওয়া যায়।

;

রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ২

রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে বজ্রপাতের আঘাতে ২ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে জেলার পৃথক স্থানে এই নিহতের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টার সময় রাঙামাটি শহর সংলগ্ন সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয় নজির আহাম্মেদ (৫০) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পরপরই তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত জানিয়েছেন, নজির আহাম্মেদ নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তবে তার শরীরে বজ্রপাতের আঘাতের সদৃশ কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, বজ্রপাতের আঘাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা সদরের বড়াদম মুসলিম ব্লক এলাকায় বাহারজান নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। একই সময়ে একটি গরু মারা গেছে বলে জানা গেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১মে) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহের পর চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের পর গভীর রাতে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম নগর ও আশেপাশের উপজেলায়। সাত ঘণ্টার দুই দফায় মোট ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (১ মে) রাত ৩টার দিকে প্রথম দফায় বৃষ্টি হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে আরও এক দফায় বৃষ্টি হয়। 

এদিকে টানা তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি দেখে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। পাশাপাশি কমেছে গরমের তীব্রতা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রামে আগামী ২৪ ঘণ্টায় থেমে থেমে হালকা ও মাঝামাঝি ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুল বাকের বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'রাত ৩টায় চট্টগ্রামে প্রথম দফায় এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরে সকালের দিকে আরেক দফায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ও বিকেলের দিকে চট্টগ্রামে আরও বৃষ্টির হতে পারে। আগামীকালও থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।'

;