রাঙামাটিতে উপজেলা নির্বাচনে দুই জনের প্রার্থিতা বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাঙ্গামাটি
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে প্রথম ধাপের চার উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে আবেদনকারী ৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে দুই জনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে জেলা নির্বাচন অফিস।

বাতিলকৃত দুই প্রার্থী হলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাজাহান ও জুরাছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রন্টু চাকমা। রাঙামাটির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় মো. শাহাজাহান জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে আপিল করবেন এবং তার প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

রাঙামাটির চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে-১৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে-১৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র অনলাইনের মাধ্যমে দাখিল করেছিলেন।

রাঙামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন মোট ৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ৬ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন মোট ৩ জন।

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় এবারে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আবেদন করেছেন ২ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আবেদন করেছেন ৪ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ৩ জন।

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন সর্বমোট ৩ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন।

রাঙামাটির বরকল উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আবেদন করেছেন ২ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন ২ জন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই বুধবার (১৭ এপ্রিল)। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। পরদিন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরু হবে। প্রথম ধাপের রাঙামাটির চার উপজেলাসহ সর্বমোট ১৫০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে চলতি বছরের আগামী ৮ মে।

   

ভোটে অনিয়ম হলে চাকরিচ্যুত হবেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা: ইসি হাবিব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে জেলে পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি আহসান হাবিব বলেন, সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। যে কোন মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোন প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে উপযুক্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কিন্তু প্রতিরোধ ও প্রতিহিংসা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। সত্য-মিথ্যা সব অভিযোগই তদন্ত করা হবে। মিথ্যা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, যশোরের পুলিশ সুপার প্রণয় জোয়ার্দারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

;

শহরের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণে সুখবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শহরে নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতকল্পে সাশ্রয়ী গৃহ নির্মাণে ২৮৯ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সৌদি আরবের রিয়াদে আইডিবির বোর্ড অব গভর্নরসের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের রুরাল অ্যান্ড প্রি আরবান হাউজিং প্রজেক্ট দ্বিতীয় ধাপ শীর্ষক ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ সই হয়েছে।

ঋণচুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মানসুর মুহতার স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আল জাসস উপস্থিত ছিলেন।

বর্ণিত প্রকল্পটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের পল্লী ও শহরতলী এলাকায় বসবাসরত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতকল্পে সাশ্রয়ী গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান করা হবে। এবং গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

;

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পারমাণবিক শক্তির অ-প্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিশেষ করে জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, ওষুধ ও স্বাস্থ্যখাতে এর প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সদস্য হয়, যা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের প্রথম সদস্যপদের অন্যতম স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং পরমাণু সামগ্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ অবিচল।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখবে।

জাতীয় জ্বালানি দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার ভবিষ্যৎ শক্তির প্রধান সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন উৎস হিসেবে পারমাণবিক শক্তির কথা বিবেচনা করছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশের অতুলনীয় সাফল্য উল্লেখ করে ড. হাছান পারমাণবিক কৃষি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং রেডিও থেরাপির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্যের জন্য পরমাণু বা 'এটমস ফর ফুড' এবং কার্বন নিঃসরণকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বা 'এটমস ফর নেট জিরো' উদ্যোগের জন্য মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির প্রশংসা করেন এবং এমন মহৎ উদ্যোগে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

আইএইএ মহাপরিচালক পরমাণু বিজ্ঞান প্রয়োগকে কাজে লাগিয়ে মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে এজেন্সির টেকসই সহায়তাদান নিশ্চিত করেন এবং ‘অ্যাটম ফর ফুড’ উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিশেষ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততায় এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহায়তার অব্যাহত থাকবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প চালুর সময় আইএইএ  মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভিয়েনায় দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

পানির সংকটে হাহাকার, গোসলও করতে পারছেনা শিশুরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি উত্তর বাড্ডা এলাকায় চরম পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে রান্না করতে পারছেন না গৃহিণীরা। সুপেয় পানির হাহাকার পড়েছে এলাকা জুড়ে। কয়েকদিন ধরে গোসল করতে পারছে শিশুরাও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রমজানের আগে থেকেই পানির সংকট ওই এলাকায়। দিনে একবার পানি আসলেও তা দুর্গন্ধ যুক্ত। ফলে খাওয়ার অনুপযোগী পানি খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে অনেকে। বার বার যোগাযোগ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

সোমবার ( ২৯ এপ্রিল) সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার ও মিশরি পাড়া এলাকায় পানির জন্য হাহাকার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ইব্রাহিমপুর, মণিপুর, মাটিকাটা, নন্দীপাড়া ও সোলমাইদ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পানির অভাবে নাজুক অবস্থা শিশুদের। সারারাত অপেক্ষা করেও পানি না পেয়ে দোকান থেকে কিনে পানি খাচ্ছেন অনেকে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে কলস ও বোতলে করে পরিবারের জন্য পানি আনছে নারী ও শিশুরা।


পানি না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। সুপেয় পানির অভাবে রান্না হচ্ছে না বাসায়। এতে পানির অভাবে নাজুক অবস্থার পাশাপাশি শিশুদের খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা বৃদ্ধ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও।

স্থানীয়রা বলছেন শুধু বাড্ডা এলাকায় প্রায় দুই হাজার বাড়িতে এমন সংকট চলছে ৬ মাস ধরে। বিশেষ করে রমজান মাস থেকে পানির সংকট ভয়াবহ অবস্থায় চলে গেছে। এতে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

উত্তর বাড্ডা মিছরি পাড়া এলাকার আমেনা খাতুন বলেন, কাল সারারাত অপেক্ষা করেছি পানির জন্য। রান্না করতে না পেরে দোকান থেকে কলা রুটি কিনে বাচ্চাদের খাওয়াতে হয়েছে। এভাবে প্রায় ৬ মাস থেকে আমরা ভুগছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঝে মাঝে পানি আসলেও তা দুর্গন্ধ থাকায় খাওয়ার অনুপযোগী। খেলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে সবাই।

একই এলাকার শাহাবুদ্দিন মাসুদ বলেন, পানির অভাবে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। টানা ১ সপ্তাহ ধরে পানি নাই। রাতে পানি আসে কিন্তু খাওয়ার অনুপযোগী। শিশুরা খেতে না পেরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। কয়েক জন শিশু অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাও নিচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রত্যেকটিতে রয়েছে পানির সংকট। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অঞ্চল ৮ এর মিছরি পাড়া, উত্তর সিটির ২১,২২,২৩ নং ওয়ার্ডসহ আশেপাশের এলাকা। এছাড়া অঞ্চল-২ এর নবাবগঞ্জ, ঢুরি আঙুলি লেন, জাফরাবাদ ও কাটাসুর, অঞ্চল-৪ এর বড়বাগ, মণিপুর, আগারগাঁও ও মিরপুর ১২। অঞ্চল-১০ এর ইব্রাহিমপুর, পূর্ব শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১১ এর মদিনা নগর, বাইগারটেক, মাটিকাটা এবং উত্তরা ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর সেক্টরে পানির সমস্যা রয়েছে। জোন-৫ এর গুলশান ১, গুলশান ২ এর ৮৩ নম্বর সড়ক এবং মালিবাগ বাজার রোড এলাকায় ও বাড্ডা এলাকা। অঞ্চল-৬ এর বনশ্রীর এফ ব্লক ও নন্দীপাড়া, অঞ্চল-৭ এর রসুলপুর, পাগলা, শাহী মহল্লা, নুরবাগ, আদর্শনগর, নামা শ্যামপুর, নিশ্চিন্তপুর, দেলপাড়া, শান্তিধারা ও দৌলতপুরেও রয়েছে পানির সমস্যা।

সমস্যা বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম কুমার মন্ডল বলেন , সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি। কেন সংকট। সমাধান ও সরবরাহ এসব বিষয় আমি দেখি না।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার মুখপাত্র এ এম মোস্তফা তারেক বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে কোনো সংকট নেই । জলবায়ুগত কারণে কিন্তু এলাকা ভিত্তিক কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা প্রায় ২০০টি পয়েন্টে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করছি ।

দীর্ঘদিনের সমস্যা এবং সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , দীর্ঘদিনের সমস্যা হলে তো অভিযোগ পেতাম। তাও যদি সংকট থাকে যে ১ টি এলাকার কথা বলছেন সেখান থেকে আসাদের হট লাইন নম্বরে অভিযোগ দিতে বলেন । আমরা আমাদের মোবাইল টিমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিব ।

;