নিরাপদ ট্রেনের অনিরাপদ যাত্রা



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিরাপদ ট্রেনের অনিরাপদ যাত্রা

নিরাপদ ট্রেনের অনিরাপদ যাত্রা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ যানবাহন হিসেবে ধরা হয় ট্রেনকে। বিশালদেহী এ বাহন একসাথে হাজারো যাত্রী নিয়ে ছুটে চলে। তাছাড়া অন্য যানবাহনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভাড়া কম হওয়ায় সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে এ জনপ্রিয়তাও ব্যাপক।

বাংলাদেশে প্রথম রেলপথ ১৮৬২ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা স্থাপিত হয়। তখন বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। একই বছরের ১৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বসূরি ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে জগতি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রসারিত প্রথম রেলপথ চালু করে।

নিরাপদ ও ইকোনমিক হওয়ায় ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বেড়েছে রেললাইনের দৈর্ঘ্য। নতুন নতুন জেলা ও উপজেলা রেলের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। অনেক স্থানে সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইন হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এখনও জনগণের প্রধান বাহন রেলওয়ে। সেখানে বাংলাদেশে রেলওয়ের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনার অভাব আর বছরের পর বছর লোকসানের কারণে বারবার এর উন্নয়ন থমকে গেছে। সম্প্রতি রেলের উন্নয়ন কিছুটা চোখে পড়লেও এর নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও অবহেলিত রয়ে গেছে।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি। টঙ্গীর কাছে মাজুখানে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭০ জন যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও ৪০০ জন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কাছাকাছি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৩ জন নিহত হন ও ২০০ জন আহত হন।

এছাড়া ১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীর কাছে সেতু পার হওয়ার সময় কয়েকটি স্প্যান ভেঙে ৬০ জন, ১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন, ১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারা পার্টির নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে ২৫ জন, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হিলি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী লোকাল ট্রেনকে ধাক্কা দেয় সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস। মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ট্রেনের ৫০ জনের বেশি যাত্রী প্রাণ হারান। এভাবে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রতি বছরই নিরীহ যাত্রীরা প্রাণ হারাচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট রেল পরিবহন ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনার ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্ঘটনার নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।

কারণগুলো হলো:

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, সিগনালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, ইঞ্জিনের সক্ষমতার অতিরিক্ত বগি সংযোজন, রেললাইনে পাথরের স্বল্পতা, ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু, আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, জনবল সংকট এবং নড়বড়ে ট্র্যাক তথা রেললাইনে নিম্নমানের স্লিপার ও ফিশপ্লেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার।

সম্প্রতি এর সাথে নতুন করে দুটি কারণ যুক্ত হয়েছে। গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়া ও ইকোলাইজার বিম ভেঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনা।

চলতি বছরের ৪ মার্চ সিলেট-ঢাকা রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর স্টেশনের কাছেই অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যেতে দেখা গেছে। মার্চ মাসের অপেক্ষাকৃত কম গরমেই যদি রেললাইন বেঁকে যায়, তবে এপ্রিল মে মাসের প্রচণ্ড গরমে ট্রেন যাত্রা কতোটা নিরাপদ হবে তা বিবেচনার বিষয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জামালপুরের তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী যমুনা এক্সপ্রেসের ট্রেনটির ইকোলাইজার বিম ভেঙে যাওয়ার কারণে লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেল সংশ্লিষ্ট উদ্ধার কর্মীরা। এটা যদি সঠিক হয় এর রক্ষণাবেক্ষণের সাথে জড়িতদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নতুবা এক্ষেত্রে তাদের চরম উদাসীনতা লক্ষণীয়।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ, যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। ফলে সবচেয়ে নিরাপদ যান হিসেবে পরিচিত ট্রেনে বাড়ছে ঝুঁকি। অতিরিক্ত তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

আখাউড়া সেকশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তারেক বলেন, রেললাইনে ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহনশীল। কোনোভাবে যদি রেললাইনের তাপমাত্রা ৪৮ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহী ট্রেনকে সর্বোচ্চ ৪০ এবং মালবাহী ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে হবে। অন্যথায় অতিরিক্ত গরমে রেললাইন কোথাও বেঁকে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে রেললাইনের তাপমাত্রা নিয়মিত মনিটরিং ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

   

যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৪৩.৮ ডিগ্রিতে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন (৩০ এপ্রিল) যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জেলার সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তারা তীব্র রোদ ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে-ঘামে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তিনি জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

বৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেই যে তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে, বিষয়টি তা নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ২১ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে জেলায় ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ২টায় সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, দীর্ঘ ২১ বছরের মধ্যে আজ সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি।

এদিকে অসহনীয় গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। তীব্রগরমে তারা কোনো কাজ করতে পারছেন না। গরমে পিপাসা নিবারণে মানুষের ভিড় বাড়ছে শরবত, ডাব ও আখের রসের দোকানগুলোতে। দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট।

গাছের ছায়ায় বসে থাকা ভ্যানচালক ইয়াছিন আলী বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে না। যার কারণে আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এই গরমে চালিয়ে মনে হচ্ছে জীবন বের হয়ে যাচ্ছে।

পৌর দিঘীতে গোসল করতে আসা সবুজ শেখ বলেন, প্রচন্ড গরমে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসও গরম, তাই পুকুরে আসছি গোসল করতে। দিঘীর পানি অনেকটা ঠান্ডা।

;

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।

;

হাসপাতালের জেনারেটর অচল, গরমে হাঁসফাঁস রোগী-স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমেরা মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও স্বজনরা। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও লোডশেডিংয়ের সময়ে তা চালানো হয় না। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনসহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিংয়ের সময়ে ভোগান্তি আরও বাড়ে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হিসেবে ১০ কেভি কিলো ভোল্টের ইঞ্জিনচালিত একটি জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বরাদ্দের পরে সক্ষমতা সম্পূর্ণ সংযোগ ব্যবস্থাসহ নানা জটিলতার কারণে কয়েক বছর পড়ে থাকার পর গত বছরে নাম মাত্র সচল করে ছয় মাসে জ্বালানি খরচ বাবদ ত্রিশ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বর্হিবিভাগ, নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিদ্যুৎ না থাকলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার কথা থাকলেও কয়েকবছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জেনারেটরের যন্ত্রাংশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অসুস্থ রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনরা। তীব্র গরমে হাসপাতালের বিছানায় ঘেমে যেন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মুমূর্ষু রোগীরা। বিশেষ করে অসহায় অবস্থায় পড়েছে শিশু ও ডায়রিয়া রোগী। লোডশেডিংয়ের সময়ে আইপিএসের সাহায্য বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোর শূন্যতা পূরণ করা হলেও মাথার উপর ফ্যান ঝুললেও জেনারেটর সংযোগ না থাকায় ঘুরছে না পাখা। রোগীর স্বজনরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জেনারেটর সংযোগ চালু করার দাবি জানায়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রফিকুল নামে এক রোগীর স্বজন জানায়, আমার ভাতিজা চারদিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগজনিত কারণে ভর্তি আছে। তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। আমি শুনেছি হাসপাতালে জেনারেটর ব্যবস্থা আছে কিন্তু এখানে কখনো চলতে দেখি নাই।

মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আরেক স্বজন রেহেনা বেগম জানায়, আমার মেয়ে শিশু বাচ্চা দুইদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। গরমে অবস্থা খারাপ, ছোট মানুষ গরম সহ্য করতে পারছে না, এখানে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। আর এখানে মানুষ বেশি থাকার কারণে গরম খুব বেশি পড়েছে।হাসপাতালে জেনারেটর চালু করলে আমরা ভালোই থাকতাম। সরকারি হাসপাতালে জেনারেটর নাই, গরমে বাচ্চাকে নিয়ে এসে খুব সমস্যায় পড়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো আল মামুন বলেন, আমাদের হাসপাতালে জেনারেটরের পরিবর্তে আইপিএস দিয়ে আলো সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

;