বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

   

ধরে নিয়ে যাওয়া ১২ জেলেকে মুক্তি দিল আরাকান আর্মি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে উখিয়ার থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১০ জন ও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল সীমান্ত এলাকার ২ জনসহ মোট ১২ জন বাংলাদেশী জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মি (এএ)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উখিয়ার বালুখালীর একটি সীমান্ত পয়েন্টে এসে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আরাকান আর্মি।

১২ বাংলাদেশীকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন।

তিনি বলেন, জেলেরা নাফনদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।

এম গফুর উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল। কারণ রহমতেরবিল সীমান্তে মিয়ানমার অংশে এখন সেদেশের কোনো সরকারী বাহিনী নেই। যারা ছিলো তারা সবাই সংঘাতের সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিলো। এখন রহমতেরবিল সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ওই এলাকাটি আরাকান আর্মির দখলেই আছে। এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে এম গফুর উদ্দিন খবর পেয়েছেন আরাকান আর্মিই জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল বলে জানান।

অপহরণের শিকার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার আব্দুল জলিল নামের এক যুবক জানান, আরাকান আর্মি আমাদের নাফনদীতে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে গেছিলো। জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুপুরের দিকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে সন্ধ্যা ৮ টায় সীমান্তের নাফনদীর বাংলাদেশ অংশের বালুখালীর একটি এলাকায় ১২ জনকে ছেড়ে দিয়ে তারা চলে যায়। আমরা সবাই সুস্থ আছি।আমাদেরকে কোনো মারধর করা হয়নি।

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্তে নাফনদী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

তারা হলেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার রোমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ও দৈংগ্যাকাটা এলাকার হোসাইন আহমদ (৫৫)।

এদিকে ১২ বাংলাদেশী অপহৃতদের পরিবার বুধবার থেকে উৎকণ্ঠায় ছিল। যেকোনো মূল্যে অপহরণের শিকার জেলেদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছিল তাদের পরিবার। এখন তাদের অক্ষত ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারা।

;

পঞ্চগড়ে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিল মাদক ব্যবসায়ী আটক

পঞ্চগড়ে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিল মাদক ব্যবসায়ী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ১৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ আফতাব হোসেন ওরফে পাপ্পু (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজারে তাকে আটক করা হয়।

আটক আফতাব হোসেন ওরফে পাপ্পু রংপুর কতোয়ালি থানার আলমনগর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফতাব হোসেন ৬ বস্তা মরিচ ঢাকা পাঠানোর উদ্দেশে শাপলা এন্টারপ্রাইজ নামে ঢাকাগামী একটি বাসে বুকিং দেয়ার জন্য কাউন্টারে যায়। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটক রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরিচের বস্তা ও ফেনসিডিলসহ তাকে আটকে করে থানায় নেয়।

পুলিশ আরো জানায়, জব্দকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। একই সময় ৬ বস্তা মরিচ জব্দ করা হয়।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, সম্ভবত ফেনসিডিলগুলো ভারত থেকে পাচার করে এনে ঢাকায় নিচ্ছিলো তিনি। আটকের পর তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা’ তাদের জানাতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বগাঁথা লিখে রাখতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলহাজ মো. শাহজাহান কবির, বীর প্রতীকের মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’ ও ‘আমার একাত্তর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাকে অর্থপূর্ণ করতে হলে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যত জানবে তারা ততো বেশি দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিবে।

মন্ত্রী বলেন, শাহজাহান কবির বীর প্রতীক দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা করে ইতিমধ্যে অনেকগুলো বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন; যা অতুলনীয়। বিশেষ করে আজ ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’ ও ‘আমার একাত্তর’ বই দুইটিতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শাহজাহান কবিরের মতো মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

গোলাম আজাদ বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জামুকার মহাপরিচালক জহিরুল ইসলাম রোহেল, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বইয়ের লেখক আলহাজ মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক বক্তৃতা করেন।

এছাড়া এতে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল উপস্থিত ছিলেন।

;

বর্জ্যের স্তুপ থেকে কঙ্কাল উদ্ধার, ব্রেসলেট দেখে স্বামীকে সনাক্তন করলেন স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিখোঁজের ১৯ মাস পর মুরগির খামারের ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী জেসমিন বেগম। স্বামীর হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে সনাক্ত করেছেন জেসমিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ দাশের বাড়ির পাশের বাগান সংলগ্ন মুরগির খামারের ময়লার স্তুপ থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।

কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীর হাতের ব্রেসলেট দেখে তাকে সনাক্ত করেন।

তবে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিস আলী।

এদিকে, এই কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে ও ইসমাইল হোসেনের বন্ধু নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুল (৩৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগেও ইসমাইল হোসেনের মিসিং ডায়েরির সূত্র ধরে র্যাব-৬ এর সদস্যরা নাজমুল হোসেন ওরফে শিমুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক সিরাজ, বাবলু, পীযূষ, নূরসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা বৃহস্পতিবার সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ বাবুর বাড়ির পাশের বাগানের ময়লার মধ্যে একটি মাথার খুলি দেখতে পান। বিষয়টি পাশে ধানকাটা শ্রমিকদের জানালে তারা এসে ময়লা সরিয়ে একটি মানুষের কঙ্কাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জানান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে।

এদিকে, কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতের ব্রেসলেট দেখে লাশটি তার স্বামীর বলে দাবি করেন। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ভীড় করে।

পরে দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে পিবিআই, সিআইডি, ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনোহরপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে ইসমাইল এবং চাচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে নাজমুল হোসেন শিমুল এক সঙ্গে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করাসহ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। হঠাৎ করে ইসমাইল হোসেন নিখোঁজ হওয়ায় তার স্ত্রী জেসমিন বেগম ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিস আলী জানান, কঙ্কাল ও কঙ্কালের হাতের ব্রেসলেট দেখে কঙ্কালটি তার স্বামীর বলে দাবি করেছেন জেসমিন। এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন নামে ইসমাইলের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;