ইয়াবা পাচারের নতুন কৌশল পাকস্থলী



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিকে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি অন্যদিকে পাচারকারীদের নতুন নতুন কৌশল। নৌ-সড়ক পথের পর ইয়াবা পাচারে এবার আলোচনায় এসেছে আকাশপথ ও শরীরের পাকস্থলীতে অভিনব কায়দায় রেখে পাচার করার তথ্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর কারাগারের অভ্যন্তরের মিলছে ইয়াবা। পাচারকারীদের নিত্য নতুন কৌশল নিয়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত ১০দিনে পৃথকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার ১৩০ পিস ইয়াবা। এসময় আটক করা হয়েছে তিন জনকে। পাচারকারীরা কেউ লাগেজে আবার কেউ মামলার ফাইলের ভেতর করে এসব ইয়াবা পাচার করতে চেয়েছিল।

এছাড়াও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গত বছরের ১ ডিসেম্বর নাফিজা আক্তার নামে এক তরুণীকে ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ । সে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক সেজে ইয়াবা পাচার করছিল বলে স্বীকার করে। ৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ১৮০০ পিস ইয়াবাসহ কথিত বাবা-মেয়েকে আটক করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর ১ হাজার ৯২৫ পিস ইয়াবাসহ খোরশিদা করিম নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর মামলার আসামিদের পাকস্থলীতে মিলছে ইয়াবা।

গত কয়েক মাসে ৮ জন হাজতির পাকস্থলী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা। তাদের মধ্যে, গতকাল ১৭ জানুয়ারি মোহাম্মদ শাহজালাল প্রকাশ আব্দুইয়া (১৯) নামে এক হাজতির পাকস্থলী থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় নুরুল হাশেম (১৮) নামে এক হাজতির পাকস্থলী থেকে।

এরআগে হাশেম ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসে। গত বছরের ৫ নভেম্বর শহীদ উল্লাহ নামে এক হাজতির পাকস্থলী থেকে ১ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বেমারন তংচংঙ্গা নামে এক হাজতির পাকস্থলীতে মিলেছে ৯৫০ পিস ইয়াবা।

ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়ার পর সদ্য জামিনে বের হওয়া সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের সুমন (ছদ্মনাম) বার্তা ২৪.কমকে বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পোটলায় ১২ পিস করে ইয়াবা দিয়ে পাচারকারীকে কলা দিয়ে খাওয়ায়। এরপর পাচারকারী আনে কক্সবাজার শহরে। তারপর এটি চলে যায় বিমানযাত্রীর কাছে। সে এটি ঢাকার পার্টির কাছে নিয়ে যায়।

সুমন আরও জানায়, একজন পাচারকারী প্রায় তার পেটে ১২০০ পিস ইয়াবা খেয়ে নিতে পারে। যা এজন পাচারকারীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদি কোন কারণে বেশীদিন পেটের মধ্যে ইয়াবা রাখতে হয় তাহলে পাচারকারীর চোখে কাল দাগ চলে আসে। আমিও খেয়ে পাচার করতাম। প্রতি চালানে ৪০ হাজার টাকা করে দিতো ব্যবসায়ীরা।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নতুন নতুন কৌশলে পাচার অব্যাহত রয়েছে। আত্মসমর্পণ আর ইয়াবা পাচার কখনো একসাথে চলতে পারে না। ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কৌশলে ইয়াবা পাচার করছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।

পিপলস্ ফোরামের মুখপাত্র এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের নজরদারির কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কৌশল পাল্টে পাচারকারীদের ব্যবহার করছে। যেহেতু আত্মসমর্পণের কথা-বার্তা চলছে এমন অবস্থায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের পাচার অব্যাহত রেখেছে। যা আত্মসমর্পণে সঠিক ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আসছে কিনা তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।

মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ইয়াবা বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের চোখে আড়াল করতে পাচারকারী ও ব্যবসায়ীরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। ব্যবসায়ীদের তৎপরতা ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বার্তা ২৪.কমকে বলেন, বিমানবন্দরের যাত্রী সেজে ইয়াবা পাচার শুরু হয়েছে। পুলিশের নজরদারিতে বেশ কয়েকজন আটকও হয়েছে। বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে জানতে চাইলে কক্সবাজার কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশীদ আকন্দ বার্তা ২৪.কমকে জানান, নবাগত হাজতির পাকস্থলীতে আজও ইয়াবা মিলেছে। গত কয়েক মাসে প্রায় ৭ হাজতির পাকস্থলীতে ইয়াবা পাওয়া যায়। যা বিশ্বাস করাও কঠিন। তবে আমরা নবাগত হাজতিদের গতিবিধি লক্ষ্য করছি।

   

ডাকাতি করতে গিয়ে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতিকালে মূল্যবান জিনিসপত্র না পাওয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল্লাহ (২৪), তার সহযোগী মতিন (৩৫), চাঁন মিয়া (২৮) ও আয়নাল (২৫)। গতকাল রোববার রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব ১১ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ভুক্তভোগীর মোবাইলসহ ১টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান, ১টি শাবল, ১টি দা, ২টি রামদা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, এই চক্রটি একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। তারা দিনের বেলায় বিভিন্ন পেশায় থেকে নির্দিষ্ট বাড়ি রেকি করেন। পরে সুযোগ বুঝে ঐ সকল বাড়িতে ডাকাতি করত। গত দুই বছর ধরে এই চক্রটি বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ডাকাতি করে আসছিল। তারা কোন মূল্যবান জিনিসপত্র না পেলে ধর্ষণ-খুনসহ বাসাবাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করতেন।

সোমবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এসব তথ্য জানান।


তিনি বলেন, গত ১৫ মে রাত আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় ডাকাতি কার্যক্রমকালে কোন মূল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আড়াইহাজার থানায় মামলা করলে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ওই গণধর্ষণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।

র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্র এবং চক্রের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ। এই চক্রে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লার নের্তৃত্বে তারা গত ২ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল বলে জানা যায়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরাফাত ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা গত ১৫ মে রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বাড়িতে যায়। সেসময় গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ ও গ্রেফতারকৃত মতিন ঘরের জানালা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ভিকটিম ও তার মায়ের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তারা ভয়ে চিৎকার করলে গ্রেফতারকৃতরা তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা ঘরের দরজা খুলে দিলে গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়া ও গ্রেফতারকৃত আয়নালসহ অন্যান্য সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের মা সহ ঘরে উপস্থিত সকলের হাত,পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা ঘরের ভিতর মূল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে ক্ষোভে ভিকটিমকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় তাদের বাড়ির পাশে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমের মুখ ওড়না দিয়ে পেচিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ভিকটিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রেফতারকৃতরা এই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে ভিকটিম ও তার পরিবারকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন।


র‍্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ এই ডাকাত চক্রের মূলহোতা। সে পূর্বে একটি স্পিনিং মিলে চাকুরির সময় থেকে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ডাকাত চক্রটি গড়ে তুলে। সে ডাকাতি পেশাকে আড়াল করার জন্য ছদ্মবেশে বিভিন্ন সময় নারায়ণগঞ্জের ভুলতা-গাউসিয়া এলাকার বাসের হেলপার ও রিক্সা চালাত।

গ্রেফতারকৃত মতিন গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহর অন্যতম সহযোগী। সে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সে ডাকাতি পেশাকে আড়াল করার জন্য ছদ্মবেশে সিএনজি চালাত। সিএনজি চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির জন্য টার্গেট নির্ধারণ করে ডাকাতির পরিকল্পনা গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহকে প্রদান করতো। এছাড়াও সে তার সিএনজি দিয়ে ডাকাতির পূর্বে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ডাকাতির জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যেত এবং ডাকাতি শেষে চক্রের সদস্যদের সুবিধাজনক স্থানে দ্রুত পৌঁছে দিত। তার বিরুদ্ধে নরসিংদীর মাধবদী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত ৩টি মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়া ও আয়নাল ডাকাত চক্রের অন্যতম সদস্য। তারা ডাকাতি পেশাকে আড়াল করার জন্য ছদ্মবেশে যথাক্রমে বাস ও সিএনজি চালাত। তারা গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহর নের্তৃত্বে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতো। গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও চুরি সংক্রান্ত ৩টি মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আয়নাল এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ সংক্রান্ত ১টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

খিলগাঁওয়ে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধে তীব্র যানজট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। তারা খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচের দুইটি রাস্তাই বন্ধ করে দেয়। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। 

সোমবার (২০ মে) অটোরিকশা বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন অটোরিকশাচালকরা।

অবরোধের শুরুতে পুলিশ আন্দোলনরত রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আন্দোলনরত রিকশাচালকদের লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।


খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তাটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক। তবে, খিলগাঁও ফ্লাইওভারে এখনও তীব্র যানজট।

;

রামপুরায় অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

সোমবার (২০ মে) সকাল ৯টা ২০ থেকে ১০টা ২০ পর্যন্ত রামপুরা বেটার লাইফ হাসপাতাল ও আবুল হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় আড়াই’শ চালক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশাচালকরা।

বিক্ষোভ থেকে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়েছেন। এসময় রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে চালকরা রাস্তা ছেড়ে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সকালে তারা রাস্তায় বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। আমরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।”

কোন আশ্বাসে তারা রাস্তা ছেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ তাদের রিকশা আটকায়, রেকার দেয় এসব অভিযোগ তুলেছিলেন তারা৷ আমরা বলেছি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব সমস্যার সমাধান করে দেব। তখন তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়৷’

আবুল হোলেটের সামনে বিক্ষোভরত চালকরা অভিযোগ করেন, আমরা রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারি না৷ পুলিশ ধরে, টাকা নেয় আবার মাঝে মাঝে ব্যাটারি খুলে রাখে, রিকশা ভেঙে দেয়। এইজন্য আমরা মূল সড়কে উঠি না। ভেতরের রাস্তা বা গলিতে রিকশা চালাই৷ এখন পুলিশ গলিতে গিয়ে রিকশা ধরে। আমরা তাহলে কীভাবে চলব। এভাবে তো জীবন চলে না। এটার একটা বিহিত হওয়া দরকার। এই সময় সমবেত অন্য চালকরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।

সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের এক ঘণ্টার বেশি সময় সড়কে ছিলেন। পরে তারা পুলিশের আশ্বাসে উঠে যায়৷ তখন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও তারা উঠে যাওয়ার পর রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এ দিকে রামপুরা থেকে আন্দোলনরত রিকশা চালকরা খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় গিয়ে জড়ো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, ‘কিছু অটোরিকশা চালক খিলগাঁও রেলগেটে জড়ো হয়েছে। আমরা সতর্ক আছি। বড় কিছু ঘটে নি।’

;

আশুগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. এরশাদ মিয়া (৩০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অটোরিকশা চালক মারা যান৷

নিহত এরশাদ মিয়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের জসিম মেম্বার বাড়ির বজলু মিয়ার ছেলে।

হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পেশায় অটো রিকশা চালক এরশাদ মিয়া সন্ধ্যার সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন৷ পরে পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় এরশাদকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদের মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, হাসপাতালে এক অটোরিকশা চালক মারা গেছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

;