হাঁস পালনে বদলে গেছে ভরসার দুঃখময় জীবনগল্প



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী ভরসা/ছবি:বার্তা২৪

হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী ভরসা/ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের ভরসা মিয়া। যাকে গ্রামের সবাই হাঁস ভরসা নামেই চিনেন। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হতে না পারলেও তিনি দারিদ্রতার কষাঘাত পেরিয়েছেন। হাঁস প্রতিপালনে বদলে গেছে ভরসার দুঃখময় জীবনগল্প। ফকিরান দেরহালিয়া গ্রামের আত্মপ্রত্যয়ী হাঁস খামারি হিসেবে সাড়া ফেলেছেন এ যুবক।

 

ভাঙারির ফেরি ব্যবসার সামান্য আয়ে ভরসার সংসার যখন বেসামাল। তখনই স্থানীয় ঈমাম ইদ্রিস আলী ও গোবিন্দগঞ্জের খামারী বন্ধু মন্টু মিয়ার পরামর্শে ৫০০টি হাঁস দিয়ে শুরু হয় ভরসার হাঁসের খামার। প্রথম দফায় সাফল্য;  লাভের মুখ দেখার পর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১২ সালে মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকায় শুরু হয় ভরসা মিয়ার হাঁস পালনের গল্প। এসময় পরামর্শ দাতাদের সহযোগিতায় কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁস প্রতিপালনে ঝুঁকে পড়েন তিনি। দিনের দিনের পর তার খামারে বাড়তে থাকে হাঁসের সংখ্যা। বছরের পর বছর বাড়ে বার্ষিক আয়ও। বর্তমানে হাঁসের খামারের পাশাপাশি পাঁচটি গরু দিয়ে শুরু হয়েছে গরুর খামার।

হাঁস প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে এভাবেই সাফল্যের সিঁড়ি খুঁজে পান আটত্রিশ বছর বয়সী ভরসা মিয়া। শুধু যুবকরাই নন, এমন ঈর্ষনীয় সাফল্যের জন্য ভরসার এই হাঁস-খামার দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন নানা বয়সী বেকার মানুষ। অনেকেই উৎসাহিত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন ভরসার মত খামার গড়ার প্রত্যয় নিয়ে।

৫০ হাজার টাকায় শুরু করা ৫০০ হাঁসের খামার থেকে পরিশ্রম আর একাগ্রতাই হাঁসের পাশাপাশি ভরসা আজ গরুর খামারে উন্নতি করেছে। খাঁটি ক্যাম্বেল, জিংডিং ও মাংসের জন্য বিদেশি বেলজিং প্রজাতির হাঁস রয়েছে তাঁর খামারে। এরমধ্যে এপ্রিল থেকে আগস্ট এবং অক্টোবর থেকে  ডিসেম্বর এ দুই মৌসুমে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস প্রতিপালন করেন ভরসা।

এছাড়া ডিমের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ হাঁস আলাদাভাবে খামারে রয়েছে। অক্টোবর মৌসুমে হাঁসের উৎপাদন কম থাকায় এসময় বেশি দামে হাঁস বিক্রি করে মুনাফা পেয়ে থাকেন। ২৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকা দরে তিন প্রজাতির বাচ্চা হাঁস সংগ্রহ করে দুই মৌসুমে সেগুলো প্রতিপালন করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। এতে প্রতিটি হাঁসে একশ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। এখন সংসার ও সন্তানের লেখাপড়ার খরচ বাদে হাঁসের খামার থেকে প্রতিমাসে ভরসার আয় হচ্ছে প্রায় বারো হাজার টাকা। স্বামী-স্ত্রীর যৌথ প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রমের কারণে হাঁসের পাশাপাশি গরুর খামারে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে পরিবারটি।

এদিকে হাঁসের খামারে ভরসার বদলে যাওয়া সাড়া ফেলেছে হরিদেবপুরের ফকিরান দেরহালিয়া গ্রামে। ভরসাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ গ্রামের নুর আলম, মোরসালিন, হারুন মিয়া, আয়নাল হকসহ অন্তত দশ জন এখন হাঁসের খামার গড়েছেন। তাঁদেরও অনেকেই এখন স্বাবলম্বী।

এক সময়ের গরু ব্যবসায়ী বৃদ্ধ আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে ভরসা মিয়া। ছয় সন্তানের মধ্যে ভরসা পরিবারের দ্বিতীয় ছেলে। ভরসা বাদে বাকি তিন ছেলে কৃষিকাজ, কোর্টের মহুরী ও গরু ব্যবসা করেন। আর ভাঙারি ব্যবসায় সংসারে হতাশা নেমে আসা ভরসা এখন সফল হাঁস খামারী। স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই আছেন ভরসা মিয়া।

ভরসার এলাকার গ্রামবাসী চান্দু মিয়া ও হাবিব জানান, প্রত্যেক দিনই ভরসা হাঁসের পাল নিয়ে মাঠে আসে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাঁস নিয়ে পড়ে থাকেন। সন্ধ্যা হলে ভরসা সাথে সাথে হাঁসগুলো সারিবদ্ধভাবে খামারের দিকে যায়। এদৃশ্য দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে এবং ভরসার সাফল্যের কথা শুনে ফিরে যায়।

এ ব্যাপারে ভরসা মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারি কোন সহায়তা পাইনি। যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণও নেয়ার সুযোগ হয়নি। তারপরও মনোবল ও সাহস ছিল। সাফল্যের পেছনে নিজের উদ্যম আর পরিশ্রমসহ এলাকার ইদ্রিস আলী ঈমাম, বন্ধু মন্টু মিয়া এবং পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ সহযোগিতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বেকার যুবক যারা, কর্মসংস্থানে সুযোগ না পেয়ে হতাশ, তাদের উচিত পশুপাখি পালন করা। খামার গড়ে তোলা। এতে ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব। এসময় ঋণ পরিশোধ এবং খামার সম্প্রসারণে সরকারি সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ভরসা মিয়া চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে এমন আশ্বাসের কথা জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে মানুষ সফল হতে পারে তার দৃষ্টান্ত ভরসা মিয়া। ভরসার মত আরও কোনো যুবক যদি এরকমভাবে এগিয়ে আসে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

   

ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে দু’শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে দু’শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে দু’শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে গর্ত খুঁড়ে এক নারীসহ দু’শিশুর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচরের নয়াপাড়া এলাকা থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।

ত্রিশাল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো কামাল হোসেন জানান, বিকেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় একটি গর্ত খুঁড়ে দুই শিশু ও এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে হত্যার পর মরদেহগুলো এখানে গর্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। ওই এলাকায় এখনও পুলিশের অভিযান চলছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ত্রিশাল থানায় নেওয়া হয়েছে।

;

গণপূর্তের কাজ গুণগত মান বজায় রেখে অর্থ সাশ্রয়ের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলমান গণপূর্ত অধিদফতরের নির্মাণ কাজে গুণগত মান বজায় রেখে অর্থ সাশ্রয়ী করার সুপারিশ করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি'র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্থায়ীয় কমিটির সভাপতি শরীফ আহমেদ। বৈঠকে কমিটির সদস্য এম. আবদুল লতিফ, মো. মজিবর রহমান (মজনু) ও আবদুল হাফিজ মল্লিক অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প এবং আবাসন পরিদফতরের সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটি সরকারি আবাসন পরিদফতরের বাসা বৃদ্ধি করে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরকারি বাসা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপতিসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় আহত এক ইউপি সদস্য গোপাল চন্দ্র চৌধুরী (৫৫) মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৬টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গোপাল চন্দ্র চৌধুরী মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ।

জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় মাথায় গুরুতর আহত গোপাল চন্দ্র চৌধুরী।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যান তিনি।

খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানান বলেন, শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন আমাদের ইউপি সদস্য গোপাল চন্দ্র চৌধুরী। পরে আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৬টার দিকে নগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

;

চসিকে সংযুক্ত হল ৪০ ময়লার কন্টেনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি আনয়নের লক্ষে চিটাগং ড্রাই ডক লিমিটেড (সিডিডিএল) থেকে ৪০টি ময়লার কন্টেনার কিনেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন৷

মঙ্গলবারর (২১ মে) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের রাস্তার সম্মুখে (বিন্নাঘাস এলাকা) চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে কন্টেনারগুলো হস্তান্তর করেন সিডিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. বেনজীর মাহমুদ৷

এছাড়া, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ব্যবস্থাপক মো. মফিজ উদ্দিন চসিকের ৪টি বর্জ্য অপসারণে ব্যবহৃত গাড়ি সংস্কার করে চসিক মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেন৷

অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিচ্ছি। এজন্য আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠান সিডিডিএল থেকে উন্নতমানের ৪০টি উন্নতমানের কন্টেনার কিনেছি এবং বিআরটিসি থেকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত গাড়ি সংস্কার করছি৷ এর ফলে পরিচ্ছন্ন কাজের মান বাড়বে, বাঁচবে চসিকের ব্যয়৷

'চসিকের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের গতি বাড়াতে নানামুখী কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। তবে, নগরবাসী পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম চাইলেও এসটিএস স্থাপন করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের বাধা প্রদান করেন। এজন্য আমরা ব্যয়বহুল হলেও আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস করতে চাচ্ছি। বিদ্যমান দুটি ল্যান্ডফিল্ড পূর্ণ হয়ে আসায় ৫০ একর জায়গা ক্রয়ের চিন্তাও করছি। এছাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাব পেয়েছি। প্রস্তাবগুলো আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।'

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, কাউন্সিলর নুরুল হক, নিছার উদ্দিন মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, সহকারী প্রকৌশলী নাসিরুদ্দিন রিফাত, রুবেল চন্দ্র দাশ, সিডিডিএলের পক্ষে ক্যাপ্টেন আল আমীন চৌধুরী, ক্যাপ্টেন এম টি সাগর, ক্যাপ্টেন সাইফুল মুলক।

;