তাপদাহ থেকে বাঁচতে ঢাকার সবুজায়নে প্রয়োজন সমন্বিত বৃক্ষরোপণ



সাদিকুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানী ঢাকা, ছবি: পিক্সাবে

রাজধানী ঢাকা, ছবি: পিক্সাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। বেড়েই চলেছে সূর্যের তেজ। অবিরাম তাপপ্রবাহে ঢাকার জনজীবনে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা; তখন ঢাকায় সবুজের গুরুত্ব অনুভূত হচ্ছে।

নগর বনায়ণ বিশেষজ্ঞরা  বলছেন, রাজধানী ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে ‘অতি নগরায়ণ’ করতে গিয়ে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে তারা বলছেন, বৃক্ষরোপণের জন্য একটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজন। যা দীর্ঘদিন ধরে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে অবহেলিত। তার ফলাফল এখন সবার কাছে স্পষ্ট— ব্যাপক বক্ষরোপণ সত্ত্বেও ঢাকাকে সবুজায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে নগর বনায়নের জন্য ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকায় জায়গার প্রকট সংকট রয়েছে।

চলমান তাপপ্রবাহে অনেকেই বড় পরিসরে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরুর জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে বৃক্ষরোপণ করলেই হবে না তার ‘সঠিক পরিচর্যাও’ হওয়া উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘বৃক্ষরোপণের পর চারা গাছ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম পানি দেওয়া এবং পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। যদি গ্রীষ্মের এমন তাপে গাছ রোপণ করি তবে বর্ষা পর্যন্ত সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘কিন্তু, বাস্তবতা হলো মানুষ বৃক্ষরোপণের কথা বলে কিন্তু তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন না।’, বলেন তিনি।  

জসিম উদ্দিন বলেন, পরিপক্ক গাছ সূর্যের তাপশক্তিকে বাধা দেয় এবং আর্দ্রতাকে বাষ্পীভূত করে পরিবেশের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে।

এদিকে, সবুজায়ন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন দাবি করে গত ১০ বছরে তারা ঢাকা শহরে ২০ লাখের বেশি গাছ রোপণ করেছে। যদি এ বিষয়ে তাদের কাছে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। সেই সঙ্গে রোপণ করা গাছগুলো সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেয়েছিল কিনা- তারা নিজেও জানে না।  

তারা জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কিছু সংস্থা বিভিন্ন সময় নতুন চারা রোপণ করে। কিন্তু, সেই গাছগুলো অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়। এসব কারণেও ঢাকা সবুজায়ন হয় না বলে মন্তব্য করেন তারা।

তারা আরও যোগ করেন, একইভাবে, পরিপক্ব গাছ কেটে ফেলে কংক্রিটের দালান-কোঠা, বাজার, রাস্তা এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি করেছি। বলা যায়— দিনে দিনে গাছ কাটার মতো একটি বেআইনি কাজ  'স্বাভাবিক' হয়ে উঠেছে।

‘ঢাকা সিটিতে শহুরে সবুজ স্থানের বর্তমান অবস্থা এবং ঐতিহাসিক পরিবর্তন: একটি রিমোট সেন্সিং ড্রাইভেন অ্যাপ্রোচ’ শিরোনামের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঢাকা শহর ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তার ৫৬ শতাংশ গাছপালা হারিয়েছে এবং এর শহুরে আচ্ছাদন ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ক্রমহ্রাসমান সবুজায়ন ঢাকা শহরের গড় গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বৃদ্ধির  অন্যতম কারণ।

১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার ওপর তাপপ্রবাহের ফ্রিকোয়েন্সি এবং সময়কাল বাড়ছে।

'আন অ্যানালাইসিস অফ ল্যান্ড সারফেস টেম্পারেচার অব দ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়া ইন দ্য ল্যান্ডস্যাট ইমেজ অ্যাপ্লায়িং বাই ল্যান্ড সারফেস টেম্পারেচার' শীর্ষক আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৮ এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ভূমি পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মার্চ মাসে ২.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মে মাসে ৩.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। গবেষণাটিতে সর্বাধিক নির্মাণকাজ চলে এমন অঞ্চলগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য হারে উষ্ণতা বাড়ার প্রবণতা শনাক্ত করা হয়েছে।

সবুজায়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, ঢাকায় নতুন চারা রোপণের জন্যও জায়গাও পাচ্ছে না। শহরের ৮০ শতাংশেরও বেশি এখন বিল্ট-আপ এলাকা হিসাবে ম্যাপ করা হয়েছে।

দেশের স্বনামধন্য পরিবেশ সংস্থা গ্রিন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনির মতে, ঢাকায় বছরে ৫০ হাজার চারা রোপণের জায়গারও অভাব রয়েছে।

ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছাড়া, বৃক্ষরোপণের জন্য সরকারি মালিকানাধীন কোনো জমি অবশিষ্ট নেই। সরকারি মালিকানাধীন জমিগুলো বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে; যারা মাঝে মাঝে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাছ লাগায়। তবে বৃক্ষরোপণ নিয়ে তাদের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো সমন্বয় নেই।

রাস্তার মাঝখানের জায়গার মালিকানা সিটি করপোরেশনগুলোর। বন নগরায়ণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শহুরে বনায়ন ও তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলো ভূমিকা রাখতে পারে।

কিন্তু এখানে কি করতে হবে?

বনায়নের একমাত্র উপযোগী রাস্তার মাঝামাঝি জায়গায় গাছ লাগানোর জন্য টেন্ডারে কাজ করে সিটি করেপারেশনের ঠিকাদাররা। কিন্তু সেখানে শুধু সৌন্দর্যবর্ধন করা গাছ দেখা যায়। আর এই গাছপালা ক্ষণস্থায়ী এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচও বেশি।

এসব গাছের পরিবর্তে, ঢাকায় বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা কমাতে এবং জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে এমন ছাউনিযুক্ত গাছের প্রয়োজন, বলছেন গ্রিন সেভারস আহসান রনি।

রনি মনে করেন, রোপণের আগে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গাছ নির্বাচন করা উচিত। তিনি ঢাকার জন্য ঔষধি ও ফলের গাছের সুপারিশ করলেও সতর্কতামূলক বৃক্ষরোপণের ওপর জোর দেন। উদাহরণস্বরূপ, পলাশ, শিমুল, ডুমুর এবং অন্যান্য গাছ, যেগুলোতে পাখির ঝাঁক আশ্রয় নেয়।

তিনি বলেন, ‘আমি রাস্তার মাঝামাঝি বা ফুটপাতে কৃষ্ণচূড়া (ডেলোনিক্স রেজিয়া) লাগানো পছন্দ করিনা কারণ এই সংবেদনশীল গাছটি কাটার কারণে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’

রনিকে সমর্থন করে উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক জাসিম মনে করিয়ে দেন, চারা রোপণ, পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত তাদের বেঁচে থাকা এবং শহুরে বনায়ন তৈরি করা সবই বিজ্ঞানের অংশ। তাই বন বিভাগের ছত্রছায়ায় (বন বিশেষজ্ঞদের একমাত্র সরকারি শাখা), নগর কর্তৃপক্ষের সকল স্টেকহোল্ডার এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিশেষজ্ঞদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।

জাসিম আরও বলেন, এ প্ল্যাটফর্মটি ঢাকা শহরের ২৫ শতাংশ অঞ্চলের প্রয়োজনীয় সবুজায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ সেট করতে বাধ্য করবে। যদি তা হয়  তবে আমরা ১০-১৫ বছর পরে সহনীয় গ্রীষ্ম দেখতে পাব।

বন বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন অধ্যাপক জাসিমের ‘সুপারিশকে ইতিবাচক’ মনে করেন।

সাজ্জাদ বলেন, ‘শহরের জমির মালিকানা বিভাগটি প্রযুক্তিগত দক্ষতার সঙ্গে ঢাকার নগর বনায়নে নেতৃত্ব দিতে পারে। কাঙ্ক্ষিত সবুজায়ন নিশ্চিত করতে নগর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় প্রয়োজন।’

   

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে(আইএসডি) গুলির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (০৮ মে) দুপুর ২টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহসান গ্রুপের মালিকের সন্তানের দেহরক্ষীদের বন্দুক থেকে গুলি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আইএসডি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জোর প্রচেষ্টাও চলছে। কিন্তু এ ঘটনায় অন্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আইএসডি স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক জানান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন বন্দুকধারী দেহরক্ষীদের প্রবেশাধিকার থাকবে? এটা তো দেশের আইন বহির্ভূত। গুলিটা আমার সন্তানের শরীরেও আঘাত হানতে পারতো। অথবা অন্য কোনো ছাত্রছাত্রী আহত-নিহত হলে, এর দায় কে নিতো? আইএসডি স্কুল এবং বসুন্ধরা আবাসিক কর্তৃপক্ষের উচিত, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ভিআইপি'র দেহরক্ষীকে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা।

গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, দুইটা গাড়িতে বাচ্চাদের নিতে এসেছিল। একটা গাড়িতে গানম্যান/বডিগার্ড ছিল। তাদের বন্দুক থেকে বের হওয়া অপ্রত্যাশিত গুলিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

;

ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত সুপারিশসহ বিলের উপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮মে) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিল উপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।

সংসদে উপস্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলে উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত ‘সচিব’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ শব্দসমূহ এবং ‘সচিবের’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরো যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ইহার মাধ্যমে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরখাস্তকালীন সময়ে ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোনো আইনগত জটিলতা থাকিবে না।

এতে আরো বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে। গ্রাম আদালত পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত ও কার্যকর হবে। এছাড়া বিলে ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব’ নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

;

দাগনভূঞায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. আরাফাত (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত নয়টার দিকে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর (৫ নম্বর ওয়ার্ড) এর আজিজ উল্যাহ হাফেজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৮মে) বুধবার বিকালে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত আরাফাত একই এলাকার আমির উদ্দিন মোল্লা বাড়ির মো. লোকমান হোসেনের ছেলে। সে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করত। তিন ভাইয়ের মধ্যে নিহত আরাফাত সবার ছোট।

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন রাত নয়টার দিকে আরাফাত তার ভাইসহ ওই গ্রামের আজিজ উল্যাহ হাফেজের বাড়ি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক মোটরের সুইস দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বপন আরাফাতের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আরাফাত নামে এক যুবকের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

;

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে না পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন।

উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি কেন ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এগুলো তাদের লোক-দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা নিয়ে মন্তব্য চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন।

;