নওগাঁয় ঝরে যাচ্ছে আম, চিন্তায় চাষিরা 



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহের কারণে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ; তেমনই ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। ফলে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আম চাষিদের কপালে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় এবছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে; যা গতবছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরজেমিনে রোববার ( ২৮ এপ্রিল) বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা। গাছে গাছে আমের গুটির খরা। রোদের তীব্রতায় গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর আম বাগানে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর চলতি মাসে প্রায় ১৫ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি। এতে পানি সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছে না। ফলে এদিকে আম চাষে যেমন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের আমচাষি রউফ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম ছিল মুকুল। যে মুকুল এসেছিলো সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচর্যা করা হয়। মুকুল বের হওয়া শেষ হলে আমের গুটি আসে। কিন্তু গুটি আসার পর অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে গাছে আম টেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

একই এলাকার আরেক আমচাষি আসিফ বলেন, বাগানের আম রক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হবে। সব মিলিয়ে আম চাষিরা এবছর বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, সাপাহার উপজেলা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোন বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

যেসব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সেসব বাগানগুলোতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সরকারের কাছে দাবি বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

   

ভারী বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দিন মেগাসিটি ঢাকার বাতাসে বাড়ছে দূষণ। বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা ‍উন্নতি হয়। শনিবার (১১ মে) ভারী বর্ষণেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থাতে রয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ভারতের দিল্লি।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। আর ১৬৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, ১৪৫ স্কোর নিয় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহরের স্কোর ১৪২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;

যশোরে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্র খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যশোরে নুর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার (১১মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর আকবরের মোড় বারেক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুর হোসেন ওই এলাকার নজরুল মোল্লার ছেলে ও  আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ছাত্র।

নিহতের স্বজনেরা জানান, শুক্রবার (১০মে) শংকরপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলোযোগ বাধে। যা স্থানীয়রা মিমাংশার চেষ্টা করে তবে দুপক্ষের মধ্যেই রেশ থেকে যায়। শনিবার রাতে শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার পচা, কানা রনি, রিয়াদ, মনিরসহ আরও কয়েকজন যুবক এসে নুরকে চাকু মেরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এ সময় আশপাশের লোকজন নুরের চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে নুরুকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করে। খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে নুরের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মুলত একটি ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে শক্রতা শুরু হয়। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।'

;

আজ বিশ্ব মা দিবস



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মা’ আমাদের জীবনের সবথেকে মধুর শব্দ এবং নিঃস্বার্থ বন্ধনের ডাক। আমরা যতবার মা বলে ডাকি, ততবারই প্রশান্তির আঁচলে ঠাঁই পাই। যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসা নির্দিষ্ট দিন কিংবা সময়কে ঘিরে প্রকাশ করার মতো নয়; তবুও মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেই আমরা বছরের একটা দিন মাকে উৎসর্গ করি। সারাবিশ্বেই এই দিনটি নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার (১২ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মা দিবস’। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মা দিবসটি কীভাবে শুরু হয়েছিল?

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে আধুনিক যুগে ১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে ‘মাদার্স ডে’ বা মা দিবস পালিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতেন। অ্যান ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ। অ্যানের একটি মেয়ে ছিল, যার নাম  আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস।

একদিন ছোট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন, 'আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ তার মায়ের জন্য একটি দিন উৎসর্গ করুক। কারণ মায়েরা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।

মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় আনা মারিয়াকে। অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি। তার পর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন।

এরপর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশই অন্যদিনকে উৎসর্গ করেছে মায়েদের জন্য। সাধারণত মার্চ কিংবা মে-তেই পালিত হয় 'মাদার্স ডে'।

জানা যায়, ১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মায়েদের স্বীকৃতির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ছুটির দিন চালু করে। এক বছর পরে প্রায় প্রতিটি রাজ্যই উদযাপনের দিনটি চিহ্নিত করে । ১৯১৪ সালে প্রেসিডেন্ট উড্রউইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবসের জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করেন।

একজন মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ থেকে শুরু করে আমৃত্যু নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন। মায়ের এই ভালোবাসা একটি অনবরত স্রোত যেখানে কখনও ভাটা পড়ে না। মায়ের ভালোবাসা অমূল্য। তাইতো মায়ের এই অসীম ও অতল ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের সম্মানে নিজেদের নত করেন গোটা পৃথিবীর সন্তানেরা। 

;

মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার যুবকের কিডনি অক্ষত আছে: চিকিৎসক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারে চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের যুবক সেলিম মিয়ার (৪৫) দুটি কিডনি অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শনিবার (১১ মে) রাতে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা.সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ।

এর আগে গত বুধবার (৮ মে) পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে অসুস্থ অবস্থায় মিল্টন সমাদ্দারের আ্শ্রম চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিম মিয়া ঈশ্বরফগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের হাসিম উদ্দনের ছেলে।।

সেলিমের পরীক্ষা -নিরীক্ষা করেন নগরীর প্রান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা.সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ। তিনি বলেন রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে তার শরীলে কোনো অপারেশন হয়নি। দুটি কিডনি ঠিক আছে যে জায়গায় কিডনি থাকে সে জায়গায় কাটা দাগ বা ক্ষত থাকায় সন্দেহ হয়েছিলো।হয়তো রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তাকে আটকে রাখার জন্য কোনে কিছু দিয়ে বেঁধে বা বেল্ট পরিয়ে রাখার কারণে ক্ষত বা কাটা দাগের মত হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেলিম প্রায় ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঢাকায় মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যাড কেয়ারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখে পরিবার শনাক্ত করে। ঢাকা গিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে। কিন্তু বাড়ি নিয়ে আসার পর সেলিমের পেটে বড় কাটা দাগ থাকা সন্দেহ হয়। পরিবারের দাবি সেলিম মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও পেটে কোনো কাটা দাগ ছিলো না।

 

;