বরিশালে সাবান চুরির সাজানো মামলায় ৭ দিনের কারাভোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র একটি সাবান চুরির ঘটনায় সাজানো মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও প্রধান আসামি হয়ে সাতদিন কারাভোগ করতে হয়েছে মোস্তফা কামালকে।

বরিশাল নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মোজাফফর খলিফার ছেলে মোস্তফা কামালকে কারাগারে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের দুই দফার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তড়িঘড়ি করে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, সাবান চুরির ঘটনায় মারামারিটা মোস্তফা কামাল নাকি তার লোকজন দিয়ে করিয়েছেন। সে কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তফাকে দেখিনি।

ওই মামলায় সাতদিন কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে রোববার সকালে মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে মামলায় আমি হাজতবাস করেছি, সেই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। পুলিশ প্রশাসন এজাহার গ্রহণের আগে সরেজমিন তদন্ত করলে আমাকে কারাভোগ করতে হতো না।

মোস্তফা কামাল অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে জমিজমা দিয়ে অনেকদিন থেকেই আমার বিরোধ চলে আসছে।

ওই বিরোধের জের ধরে আমার জমি দখলের জন্য থানা পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে সাবান চুরির ঘটনায় সৃষ্ট মারধরের ঘটনায় আমাকে প্রধান আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সেই সাজানো মামলায় পুলিশ কোনো ধরনের তদন্ত না করেই গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠায়।

১৫ এপ্রিল জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি (মোস্তফা কামাল) দেখতে পান, বোরহান উদ্দিন তার জমি দখল করে আদালতের দুই দফা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দ্রুতগতিতে ভবন নির্মাণ করে আসছেন।

জানা গেছে, ২৪ মার্চ নগরীর কাশিপুর আনসার অফিসের উল্টো দিকে নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকেরা পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যান। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা রুবেলের রেখে যাওয়া সাবান শ্রমিকেরা নিয়ে যান। পরে রুবেল এসে সাবান খুঁজে না পেয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এসময় কয়েকজন শ্রমিক মিলে রুবেলকে মারধর করেন। খবর পেয়ে রুবেলের বাড়ির লোকজন এলে পাল্টাপাল্টি মারামারির ঘটনা ঘটে।

সাবান চুরি থেকে মারামারির ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বোরহান উদ্দিন শ্রমিক আলমগীরকে দিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করিয়েছেন। ওই মামলায় মোস্তফা কামালকে প্রধান আসামি করা হয়। পুলিশ মামলার অভিযোগের তদন্ত না করেই এজাহারভুক্ত করে ঈদের আগ মুহূর্তে মোস্তফাকে গ্রেফতার করে।

অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন বলেন, জমিতে নিষেধাজ্ঞা আছে কি না সেটা দেখবে আদালত। মোস্তফা গংরা আমার নির্মাণাধীণ ভবনের শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে মালামাল নিয়ে গেছে। এ কারণে আমার শ্রমিক আলমগীর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, মারামারিটা নাকি মোস্তফা কামালই তার লোকজন দিয়ে করিয়েছেন। সে কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার এসআই (উপপরিদর্শক) সুমন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অন্যান্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, তদন্ত শেষেই অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হেনস্তা হবে না।

   

'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'

'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সরকার পোশাক শিল্পকে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে না, সমাজ পরিবর্তনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনেও এ খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এখাতে প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান এবং বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

নড়াইলের লোহাগড়ায় ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশায় ছুরিকাঘাতে ফয়সাল মুন্সী (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। 

সোমবার (১৩ মে) রাতে লক্ষীপাশা এলাকার মারকাজুল মাদরাসার উত্তরপাশের সড়ক থেকে পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফয়সাল লোহাগড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের আহমেদ মুন্সীর ছেলে। সে পেশায় ইজিভ্যান চালক। তবে ঘটনার সময় ফয়সাল ভ্যান চালাচ্ছিল কিনা বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়রা পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় কিশোরের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। তবে কী কারণে কে বা কারা ফয়সাল মুন্সীকে হত্যা করেছে তা প্রাথমিক পর্যায়ে জানা যায়নি।

এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

;

'স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় সহযোগিতা করতে চায় ফ্রান্স'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় সহযোগিতা করতে চায় ফ্রান্স'

'স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় সহযোগিতা করতে চায় ফ্রান্স'

  • Font increase
  • Font Decrease

স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে ফ্রান্স সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি ম্যাসদুপুই সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে ফ্রান্সের স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস কর্তৃক বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি উঠে আসে। সাক্ষাৎকালে, তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বন্ধু-প্রতীম দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং অকৃত্রিম বন্ধু।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফর ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে।

চলতি মাসে ফ্রান্সের প্রযুক্তি উৎসব মেলায় বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেলায় বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। মেলায় ফ্রান্সের ১২০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে তিনি জানান।

;

আদালতে এসে ঢলে পড়লেন বাবুল আক্তার, হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম আদালতে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে আসামির কাঠগড়ায় বেঞ্চে বসা অবস্থাতেই অসুস্থায় ঢলে পড়েন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। কারাগারে ফেরার জন্য তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য তাকে প্রিজন ভ্যানেই ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয়নি।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামির কাঠগড়ায় তিনি যে বেঞ্চে বসা ছিলেন, সেখানে ঢলে পড়েন। সেখানে পুলিশ ও স্বজনেরা তাকে প্রাথমিক সেবা দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সুস্থ বোধ করেন। বাবুল আক্তার কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, সাক্ষী হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত আগামী বুধবার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় তাকে যখন কারাগারে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ, তিনি প্রিজন ভ্যানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি মাইক্রোবাসে করে তাকে কারাগারে নেয়ার দাবি করেন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, বাবুল আক্তার হঠাৎ আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বলে জেনেছি। অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নাপা খেতে চেয়েছিলেন। পরে আমরা বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে সুস্থ বোধ করায় তাকে আবার ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়।

বাবুল ক্তারের আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জ্বর থাকায় বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে না নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

;