পটুয়াখালীতে ভোটের আনন্দে রমরমা আইসক্রিম ব্যবসা
প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। একাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে এলাকায়।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে বসে বিভিন্ন খাবারের দোকান। তবে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে কম দামে আইসক্রিম পাওয়ায় অনেকেই কিনে খেয়েছেন। বেশির ভাগ দোকানে পাওয়া গেছে ৫ টাকা ও ১০ টাকা দামের আইসক্রিম। কমদামি এসব আইসক্রিম কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেটা অবশ্য অন্য ব্যাপার। ভোটের আনন্দে সে চিন্তা কারো মাথাতেই ছিল না।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে কমলাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ক্রোকমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গরমে তৃষ্ণা মেটাতে কম দামের এসব আইসক্রিম কিনছেন শিশু, কিশোর, যুবকসহ সবাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিরুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই ভোট দিতে আসছিলাম। ছেলে বায়না করলো আইসক্রিম খাবে। তাই কিনে দিতে বাধ্য হইছি’।
৭ বছরের শিশু তামিম জানালো, বাড়ির পাশে ভোটকেন্দ্র হওয়ায় ঘুরতে এসেছে। বাবার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে দুটো আইসক্রিম কিনে খেয়েছে।
আইসক্রিম বিক্রেতা আনোয়ার গাজী বলেন, ‘আমার ১৫ বছরের এই ব্যবসায়ী জীবনে আজ সর্বোচ্চ বেচাকেনা করেছি। সকাল থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আশা করি, আরো হাজার দেড়েক বিক্রি হবে’।
নির্বাচনি মেডিকেল টিমের মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়া রহমান বলেন, ‘এসব আইসক্রিমগুলো কোনোমতেই স্বাস্থ্যসম্মত না। আর আমরা সব ভোটারদের অনুরোধ করেছি, যাতে দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার পরে যাতে সরাসরি ঠান্ডা কিছু না খান। আমাদের তিন সদস্য বিশিষ্ট টিম সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে’।
ভুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৯ জন, সাধারণ সদস্য ২৫ জন এবং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৮ ও সাধারণ সদস্য ২৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।