নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে, কোনো কিছু নরম হবে না। শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন, করা হবে, যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, হতে হবে। এর কম করা যাবে না, আর কেউ কম করলে, গাফিলতি করলে তাকেও ছাড়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে শুধু সেনাবাহিনী ছিল। আর উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরাও থাকবেন।’

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচন করেছি গত ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনটি গোপালগঞ্জে যেমন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা যে রেকর্ডটি করেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের, সেটি আমরা ধরে রাখতে চাই।

তিনি আরও জানান, উপজেলায় নির্বাচনে যাতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সুষ্ঠুভাবে যাতে ভোট গণনা হয়, সুষ্ঠুভাবে যাতে ফলাফল ঘোষণা করা যায় এবং জনগণ যাকে ভোট দেবেন, তিনিই যেন নির্বাচিত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যেন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট আদায় করতে না পারেন বা ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন।

গণমাধ্যমকে সব কথা বলা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘পূর্বে আমরা দেখেছি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সবসময় ভোটের হার বেশি থাকে। আমি কোথাও বলিনি যে, শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পড়বে। তবে কিছু গণমাধ্যম এমনটা প্রচার করেছে। অনেকে আবার এ নিয়ে কলামও লিখেছেন। এজন্য আমি গণমাধ্যমকে ভয় পাই।’

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত কমিশন ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) কিনেছিলেন, এটার কিছু সমস্যা ছিল। ইভিএমগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এটার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে লোকবল, অর্থ এবং সংরক্ষণের যে স্থান প্রয়োজন, সেসব আগের প্রজেক্টে ছিল না। ফলে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে ইভিএমগুলো ভালো আছে, তার ভিত্তিতে আমরা নয়টি জেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছি।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

   

লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু: অভিযোগ গ্রহণ মানবাধিকার কমিশনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে হাসপাতালের লিফটে ‘৪৫ মিনিট’ আটকে থেকে রোগীর মৃত্যু শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ করেছে।

সোমবার (১৩ মে) কমিশনের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক স্বাক্ষরিত পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। লিফটের ভেতরে আটকে পড়া রোগীর স্বজনেরা লিফটম্যানদের কল দিলে উদ্ধার না করে তারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১২ মে, ২০২৪ তারিখ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই রোগী হলেন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৩)।

মমতাজের মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, আমার মা সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সকাল ছয়টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে হাসপাতালের ১১ তলা থেকে ৪ তলার হৃদ্‌রোগ বিভাগে নেওয়ার কথা বলে। লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, আমার মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিনজন লিফটম্যানের নম্বরে কল দিই। তাঁরা গাফিলতি করেন। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।’ শারমিন আক্তারের দাবি, ‘৪৫ মিনিট তারা ভেতরে অবস্থান করেছেন। উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের উদ্ধার করে। শারমিনের অভিযোগ, দায়িত্ববোধহীন লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণেই তাঁর মা মমতাজ বেগমের মৃত্যু হয়েছে।

গৃহীত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির আশায় হাসপাতালে এসে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত লিফটে আটকে থেকে মৃত্যুর অভিযোগটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। ওঠানামা করার জন্য লিফট একটি অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র, নিয়মিতভাবে যার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালের উক্ত লিফট নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা হয় কিনা তা কমিশনের নিকট বোধগম্য নয়।

এছাড়া, বারবার ফোন করার পরেও কেনো লিফটম্যানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি তা নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক মর্মে কমিশন মনে করে।

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, উল্লিখিত ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক কাদের অবহেলায় লিফটে ৪৫ মিনিট আটকে থেকে রোগীর মৃত্যু হলো তা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর-কে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে জেলা প্রশাসক, গাজীপুর ও সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়- বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য করা হয়েছে।

;

সেবা না পেয়ে ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুরের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক অফিসের হেল্পডেস্কে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে সুশান্ত কুমার দাস (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১২টায় ওই বৃদ্ধ এ ঘটনা ঘটায়। পরে তাকে পুলিশ আটক করেছে। তবে এ ঘটনার পর হেল্পডেস্কের দায়িত্বরতরা বা জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

আটককৃত সুশান্ত কুমার দাস সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার হরিহরপুর গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সুশান্ত দাস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক শাখার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এসময় তার মুখে শোনা গেছে “হেল্পডেস্ক থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। কেউ আমার কথা শুনে না, উত্তর দেয় না। বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। তার পরেও কোনো সমাধান নাই। সেই হেল্পডেস্ক থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। আমি রাখব না এই হেল্পডেস্ক।” এমন কথা শেষ হতে না হতেই ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পারিবারের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালে থেকে সুশান্ত কুমার দাস জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচ তলায় হেল্পডেস্ক শাখায় সহযোগীতা চান। কিন্তু আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপন করেন হেল্পডেস্কের দায়িত্বরতরা। এভাবে তিনি ১১ বছর ধরে হেল্প ডেস্কের বারান্দায় ঘুরাঘুরি করছেন। রাগে ক্ষোভে এমনটা করেছেন বলে ধারণা তার পরিবারের লোকজনের।

এ ঘটনার পর ডিসি অফিসের হেল্পডেস্ক ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন ভাঙচুর করেছে তা এখনোই বলা যাবে না। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

;

রংপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর মহানগরীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলা থেকে পড়ে আনারুল ইসলাম (২৭) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিক নগরীর নজিরেরহাট চন্দনপাট এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার (১৩ মে) সকালে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের করণজাই রোড নিউ সেনপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের সহকর্মী শ্রমিক রুবেল, মোস্তাফিজ ও নাসির জানান, আমরা ওই ভবনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছি। অন্যদিকের মতো আজকেও কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে নীচে নেমে দেখি আনারুল পড়ে আছে। বালুর বস্তা উঠা নামা করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু। এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ভবন মালিকদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে। ভবনটি স্থানীয় কয়েকজনের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ্ আলম বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।তবে অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

;

রংপুরে  চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে  চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৭

রংপুরে  চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীতে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে নগরীর পরশুরাম থানাধীন বুড়িরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান এলাকার ফজলুল হকের ছেলে নাইমুল হক নাঈম (৩০),  গনেশপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ওয়াদুদ আলী (৩৩), গুড়াতি পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪০), মুন্সিপাড়া মমদেল কমিশনারের গলির তরিকুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২৬), দেওডোবা ডাঙ্গীরপাড় এলাকার দিলদার হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন কাকন (২৭), রাধাবল্লভ এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে জুবায়ের আলম সিদ্দিকী (৩০) এবং কেরানীপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৩)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন গুড়াতিপাড়ার মৃত আবু তালেবের ছেলে তৌহিদ (৩০)।

তাজহাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, তাজহাট থানাধীন আশরপুর সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেইন গেটের পশ্চিম পাশে হাফিজ আল আসাদ নামে এক ব্যক্তি তার নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন। শনিবার (১১ মে) বিকেলে অভিযুক্তরা সেখানে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং বিভিন্ন হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে আসেন। এ ঘটনায় হাফিজ আল আসাদ থানায় অভিযোগ দিলে কোতোয়ালি ও পরশুরাম থানা পুলিশের সহায়তায় রোববার রাতে বুড়িরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তৌহিদ নামে একজন পলাতক রয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, অভিযুক্তরা নিজেদের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

;