কেন টিকতে পারছে না প্রাইভেট এয়ারলাইন্স?



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে ভারতের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইন্ডিগো। আজ তাদের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ৩৫৪টি। ভারত প্রায় দেড়শ কোটির জনসংখ্যার দেশ, ওখানকার মার্কেটও বড়। তাই তাদের সঙ্গে তুলনাটা ন্যায্য নাও মনে হতে পারে। আমাদের চেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ ও ছোট মার্কেট ভিয়েতনামের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ভিয়েতজেট প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৬ বছরে এখন ৭৭টি উড়োজাহাজের বহর তৈরি করেছে।

এবার বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবচেয়ে বৃহৎ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ২৪টি। আর যদি দেশের বেসরকারি খাতের এয়ারলাইন্সের দিকে তাকাই তাহলে মিলবে ধারাবাহিক ব্যর্থতার চিত্র।

১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম বেসরকারি এয়ারলাইন্স অ্যারো বেঙ্গল। যদিও তারা ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায় দুই বছর আগে। ফ্লাইট চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। একে একে এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইন্স, রয়েল বেঙ্গল এবং বেস্ট এয়ার যাত্রা শুরু করে। সবগুলো এয়ারলাইন্সই বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে সবাই অর্থ সংকটকে উল্লেখ করেন। দেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ১৩টি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স অনুমোদন পায়। এর মধ্যে দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ চালু হয় ২০০৭ সালে। খুব দ্রুততার সাথে একের পর এক উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করে বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করে সাড়া ফেলেছিল তারা। এরপর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিও হয় এটি। তবে শেষ পর্যন্ত সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালে রিজেন্ট এয়ার, ২০১৩ সালে নভোএয়ার ও ২০১৪ সালে ইউএস-বাংলা যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত টিকে আছে নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা ও ২০২২ সালে চালু হওয়া এয়ার অ্যাস্ট্রা।

যাত্রী বাড়ছে

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, ২০২৩ সালে দেশের বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেছেন, এক কোটি ৭৪ লাখ যাত্রী। যাদের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী। অন্যদিকে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৫ লাখ। আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথের যাত্রী সংখ্যা হবে দ্বিগুণ।

এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদন বলছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুই রুটেই ২০২২-২৩ অর্থবছরে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বেড়েছে ৩২ শতাংশ।

সবগুলো পরিসংখ্যানই বলছে, আকাশপথে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তারপরেও কেন দেশের বেসরকারি খাতের এয়ারলাইন্সগুলো টিকে থাকতে পারছে না। তা অনুসন্ধানে নেমে পাওয়া গেছে নানা কারণ।

কেন প্রতিযোগিতায় টিকছে না

বিশেষজ্ঞদের মতে, আকাশপথে যাত্রী বাড়ায় বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো এই চাহিদা পূরণে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পারতো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার অভাবে তা হয়নি। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোকে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস। এয়ারলাইন্সগুলো বিমানবন্দরে খুচরা যন্ত্রাংশ রাখতে না পারার কারণে ফ্লাইট সূচিও ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে হয়।

এয়ারলাইন্সগুলোর অভিযোগ, বিমানের নির্দিষ্ট ওয়্যারহাউজ সুবিধা ছাড়াও হ্যাঙ্গারও রয়েছে। যে কারণে সার্ভিসিং ও খুচরা যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো পিছিয়ে পড়ছে। সেই সাথে নিয়ন্ত্রণমূলক ত্রুটি, অত্যধিক পরিমাণে শুল্ক, জেট ফুয়েলের উচ্চ মূল্য বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দিচ্ছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেওয়া অযৌক্তিক পৃষ্ঠপোষকতাও এর পেছনে দায়ি।

সারচার্জ বেসরকারি খাতের এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে একটি আতঙ্ক। দীর্ঘ এই সময়ে যেসব এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়েছে এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল সারচার্জ। তাছাড়া জেট ফুয়েলের উচ্চমূল্য, অযৌক্তিক হার ট্যাক্স, বিশেষ করে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেনারেটর, বিভিন্ন ধরনের এলসিডি প্যানেল, ককপিটে ব্যবহৃত কম্পিউটার ডিসপ্লেসহ বহু যন্ত্রাংশ অত্যন্ত উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়। এসব যন্ত্রাংশের জন্য ১৫ থেকে ১৫০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়।

অনেক ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসায়ের মতো মনে করে এই খাতে বিনিয়োগ করে। কিন্তু এয়ারলাইন্স ব্যবসা কিছুটা জটিল। শুরুতে একটি বা দুটি উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। পরবর্তীতে যখন সি চেকের সময় আসে তখন যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন হয় তা সময়মতো করতে পারে না মালিকপক্ষ। তখন উড়োজাহাজ বসিয়ে রেখে লোকসান গুনতে হয়। সেই সাথে যাত্রীরা ওই এয়ারলাইন্সের প্রতি আস্থা হারাতে থাকে।

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি খাতের এয়ারলাইন্সগুলোতে দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে, তা অস্বীকার না করার কোনো সুযোগ নেই। তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়। সরকার ও বেবিচকের সহযোগিতারও অভাব রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরনের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ার নজির রয়েছে। তাছাড়া শুরুর দিকে অনেক এয়ারলাইন্সকে পার্কিং চার্জ, অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ মওকুফ করা হয় যাতে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, এয়ারলাইন্স ব্যবসা সহজ নয়। অনেকেই ভাবেন এটি লাভজনক ব্যবসা। সঠিক উড়োজাহাজ নির্বাচন, রুট প্ল্যানিং লাগবে। সেই সাথে দক্ষ ব্যবস্থাপনা।

তাছাড়া শুরুতে হয়তো একটি উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে এই উড়োজাহাজ যখন মেজর চেকে যায়, তখন বড় অঙ্কের টাকা প্রয়োজন হয়। ওই সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে ব্যর্থ হন।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে পার্কিং এবং বিমান চলাচল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চার্জ অনেক। বিভিন্ন কারণে এসব চার্জ বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না গেলে এয়ারলাইন্সগুলোকে ইন্টারেস্টসহ সেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

   

'কর্নেল-মেজরসহ মিয়ানমারের আরও ১৩৮ বিজিপি আশ্রয় নিল বাংলাদেশে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
'কর্নেল-মেজরসহ মিয়ানমারের আরও ১৩৮ বিজিপি আশ্রয় নিল বাংলাদেশে'

'কর্নেল-মেজরসহ মিয়ানমারের আরও ১৩৮ বিজিপি আশ্রয় নিল বাংলাদেশে'

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে নতুন করে ১৩৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। যাদের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং ২ জন মেজর রয়েছে। তাদেরও অতীতের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী এবং সেনা সদস্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে সেভাবেই ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১২ মে) বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠকের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, মিয়ানমারও তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আগ্রহ রয়েছে।

সর্বশেষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

;

বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে সাদা কাফনে বাড়ি ফিরল ইতি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে সাদা কাফনে বাড়ি ফিরল ইতি

বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে সাদা কাফনে বাড়ি ফিরল ইতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় মাস আগে মেহেদি রাঙা হাতে রঙিন শাড়ি পড়ে বাবার বাড়ি থেকে বরের হাত ধরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন ফারিয়া হাসান ইতি (২৫)। আর ছয় মাস পর গত শনিবার (১১ মে) রাতে ইতি বাবার বাড়িতে ফিরেছেন সাদা কাফনে মোড়ানো লাশ হয়ে।

ফারিয়া হাসান ইতির বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের সতীষা মহল্লায়। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. আব্দুর রশিদ।

গত শুক্রবার (১০ মে) রাজধানী ঢাকার সাভার এলাকার একটি বাসা থেকে ইতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতির স্বামী শাকিরুল হক শুভকে আটক করেছে পুলিশ।

শুভ ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের বালুয়াপাড়া মহল্লার গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠানের ছেলে।

ইতির বাবা মো. আব্দুর রশিদের অভিযোগ, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়ের লাশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে নির্মমভাবে আঘাতের পর হয়তো ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে বা হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। আমার মেয়ে মরতে পারে না।

ইতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার ওসি শাহ জামান। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্বামী মো. শাকিরুল হক শুভকে (৩০) আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর শুভর সঙ্গে ইতির বিয়ে হয়। ইতি সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর তার স্বামী ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী চাকরির সুবাধে সাভারের তালতলা বেকারি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ইতি হাসপাতালে উিউটি শেষ করে বাসায় ফেরেন। সকাল ১০টার দিকে ইতি তার মা পারভীন আক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি তার মাকে জানান, আমি কী এখানে থেকে মরব; না চলে আসব? তখন তার মা ইতিকে জানান, তোদের কী হয়েছে? তখন কোনো কিছুই বলে নাই।

এরপর ওর বোনকে ফোন দিয়ে কারণ জানতে চাই, তখনো কিছু বলে নাই। এরপর হঠাৎ আমার মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই, এই চিৎকারই, শেষ কথা, মেয়ের কণ্ঠের শেষ চিৎকার। এরপর থেকে মেয়ের ফোন বন্ধ, মেয়ের জামাই শুভর ফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করে নাই।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেয়াই (শুভর বাবা) ফোন দিয়ে বলেন, মেয়ের কী অবস্থা একটু খোঁজ নেন, তখন আমরা বলেছি, মেয়ের ফোন বন্ধ, জামাইতো কল রিসিভ করে না। এরপর শুভর নম্বরে কল দিলে সে রিসিভ করে, প্রথমে আমরা কেমন আছি এসব জিজ্ঞাস করে। তারপরে বলে ইতি আর নাই! সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

শুভর বাবা গোলাম মোহাম্মদ খান জানান, আমি প্রথম শুনেছি আমার পুত্রবধূ ইতি অসুস্থ। পরে জানলাম সে আত্মহত্যা করেছে। ঘরের দরজা ভেঙে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘরে ভাত-মাছ-মাংস রান্না করাছিল কেউ কিছু খায়নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্ভবত বিরোধ চলছিল।

এদিকে ইতির মৃত্যুতে শোক বইছে এলাকাজুড়ে। ছুটেছে এসেছে ইতির বান্ধবীরাও। কয়েকদিন আগে বিয়ের মেহেদি রাঙা সেই হাত, বিয়ের শাড়ি আর স্মৃতিময় ঘটনা বলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

ইতির বান্ধবী তাসফিয়া জাহান উর্মি জানায়, ইতি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের একটা মেয়ে। সে স্কুলজীবনে আমাদেরকে নানা পরামর্শ দিতো। সে মৃত্যুর পথ বেছে নেবে বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ইতির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতে গৌরীপুর পৌর শহরের সতিষা গ্রামের বাবার বাড়িতে এসে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাতেই তার লাশ বাবার বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

;

বিএনপি এখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচন বর্জন করার পর তাদের অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের পর বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির উপর নির্ভর করা শুরু করেছে। তারা ক্ষণে ক্ষণে এখন বিদেশিদের কাছে যায়, কবে যে তারা তাবিজ-দোয়ার উপর ভর করে সেটাই আমার প্রশ্ন।

রোববার (১২ মে) বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুব সুন্দর করে দেশ পরিচালনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে চৎমকার জানিয়ে এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন। এই সম্পর্কে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন ডোনাল্ড লু।

এসময় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা আ'লীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হেরে যাওয়া মানে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

 

;

৬ বিজ্ঞান ক্লাব পেল জাদুঘরের অনুদান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী কাজ, বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা ও বিজ্ঞান চর্চার জন্য ৬টি বিজ্ঞান ক্লাবকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিনিধিদের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাব এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাবকে বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটিকে ‘দেশীয় গবেষণায় ক্যারিয়ার উৎসব-২০২৪’ উদ্‌যাপনের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বরগুনা সায়েন্স সোসাইটিকে বরগুনায় বৃহৎ পরিসরে মহাকাশ ক্যাম্প আয়োজন ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড আয়োজনের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বুয়েট রোবটিক্স সোসাইটিকে ‘রোবো কার্নিভাল-২০২৪’ আয়োজনের জন্য ১ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগকে ‘আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি কনফারেন্স-২০২৪’ আয়োজনের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে বছরের বিভিন্ন সময়ে দেশের বিজ্ঞানসেবী সংগঠনগুলোর উদ্ভাবনী কাজে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে বিজ্ঞান জাদুঘর।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণদের সর্বক্ষণ জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায়, পরিবেশ সুরক্ষায় ও মানবিক সহায়তার কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। অলস সময়ে তরুণরা বিভ্রান্ত হয়, বিপথে যায়, মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলে। বিজ্ঞান জাদুঘর এক মহৎ লক্ষ্য নিয়ে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়, বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে নিয়ে নানা উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কাজে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে এবং জ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত করে জাতি গঠনমূলক কাজ করছে।

;