আইন মানছে না সিগারেট কোম্পানি, দিচ্ছে রাজস্ব ফাঁকি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাকজাত পণ্য ও সিগারেট কোম্পানিগুলো আইন না মেনে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে জানিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন।

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলা হয়, পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা-২০২১ এবং ভোক্তা অধিকার আইন অনুসারে কোনো পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও সিগারেট কোম্পানিগুলো এই আইন একেবারেই মানছে না।

৫৯ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের (জর্দ্দা ও গুল) মোড়কে উৎপাদনের তারিখ পাওয়া গেলেও বিড়ি ও সিগারেটের প্যাকেটে সেই হার মাত্র ৩ শতাংশ। উৎপাদনের তারিখ না দেওয়ায় তামাক কোম্পানিগুলো কর ফাঁকির সুযোগ নিচ্ছে।

পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান না করার সুযোগও নিচ্ছে তারা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে অ্যারিস্টোক্র্যাট ইন-এ টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভির্সিটি ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা)-এর আয়োজনে ‘তামাকজাত দ্রব্যের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন- বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) উপউপাচার্য প্রফেসর ড. গনেশ চন্দ্র সাহা।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, সিটিএফকে’র গ্র্যান্ট ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া, ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি (ডাস্)-এর টিম লিড আমিনুল ইসলাম বকুল, এইড ফাইন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা, ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন সেলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল বাসেদ।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী এবং ‘প্রত্যাশা’ মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ।

টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গবেষণার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)-এর সদস্য সচিব ও প্রকল্প পরিচালক এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞেরা উপস্থিত ছিলেন।

মূল প্রবন্ধে মো. বজলুর রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের নানা পদ্ধতির মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান অন্যতম। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ (সংশোধনী ২০১৩)-এর ধারা ১০ অনুযায়ী সব তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের উভয়পাশের মূল প্রদর্শনী তলের উপরিভাগের ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি সম্পর্কিত সচিত্র সতর্কবার্তা প্রদান করতে হবে।

টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের বিভাগীয় শহর থেকে ২শ ৭২টি তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

গবেষণার উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মধ্যে ৮৫ শতাংশ তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া গেছে। ৭৬ শতাংশ মোড়কের উভয়পাশে এই সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়নি। ২৬ শতাংশ মোড়কে ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়েছে। ৭ শতাংশ মোড়কে ছবির সঙ্গে লিখিত বার্তা প্রদান করেনি। ৭২ শতাংশ মোড়কের লিখিত সতর্কবাণী কালো জমিনে সাদা হরফে মুদ্রিত হয়েছে।

বিড়ির ৮০ শতাংশ মোড়কেই সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যান্ডরোল দিয়ে ঢেকে থাকতে দেখা গেছে এবং ২৫ শতাংশ মোড়কে ‘শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত’ মর্মে কোনো বাণী প্রদান করা হয়েছে। কোনো সিগারেটের কার্টনেই সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ৩৩ শতাংশ তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া গেছে। ৯ শতাংশ মোড়কে ট্রেড লাইসেন্স নম্বর ছিল। ৫১ শতাংশ মোড়কে উৎপাদনের তারিখ ছিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. গনেশ চন্দ্র সাহা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ এবং উৎপাদনকারী কোম্পানির নাম, ঠিকানা প্রদান বাধ্যতামূলক করা উচিত। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো তামাকপণ্য আমদানি করে বাংলাদেশে বিক্রি করতে হলে তাদেরও আমাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে প্যাকেজিং করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী তামাক নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু তামাকজাত পণ্যের মোড়কের ভিন্নতা, মানহীন মোড়ক, সাইজের ভিন্নতা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের উপযুক্ত মোড়ক না থাকা এসব সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর সঠিক বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং প্রবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সভাপতির বক্তব্যে হেলাল আহমেদ বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করছে। তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করছে। প্যাকেজিং আইন লঙ্ঘন করছে। ধোঁয়াবিহীন তামাকের (জর্দ্দা, গুল প্রভৃতি) ব্যবহার বাংলাদেশের কালচারের সঙ্গে মিশে আছে। এর ব্যবহার কমাতে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে মোড়কে এই সতর্কবাণীর পরিমাণ ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা অত্যন্ত জরুরি।

আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, সমস্যা উদ্ঘাটন ও সমাধানের জন্য গবেষণা করা প্রয়োজন। সিদ্ধান্ত নিতে হলে গবেষণা করতে হবে। আজকের এ গবেষণার ফল সরকারকে তামাক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। তামাক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের গবেষণা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব বলে আশা করছি!

   

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

;

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২০ মে) পৌঁণে ১০টার দিকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এসময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় আহত দুজন হলেন -রোহান (৩৮), রাজু (২৪)। তারা দুজনেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারী রোহানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রাত পৌনে ১০টার দিকে হাউজিং স্টেট এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার রাত ১০টার দিকে রোহানসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীরা নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল করে পিয়াংয়ের খোঁজ নিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রোহানের পক্ষের তিনটি মোটরসাইকেল আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় রোহান ও রাজু নামে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা দুজনেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সিলেটে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আগুনে দগ্ধ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ২ ভাইয়ের ৪ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (২০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি গ্রামের বেপারী বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেপারী বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আগুন লেগে সালাম বেপারী ও তার ভাই সামাদ বেপারীর বসত ঘরে ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সালাম বেপারী বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারের প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ পুড়ে সব শেষ কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।

নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মৃধা বলেন, ওই দুটি পরিবার খুব গরিব। এক জন নরসুন্দা ও অন্যজন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আগুনে ওদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রামপ্রসাদ পাল বলেন, স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। তাছাড়া রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন ভাল না। তাই, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

;

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, শুধু নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে আবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ দিবে, তাকে তো কিছুর উপর ভিত্তি করে ঋণ দিতে হবে। সেটা যে অংকের ঋণ হোক। ২০২৪ সালে এসে শুনতে হয় আমি ব্যবসার হিসাব রাখতে পারছি না। কত টাকার মালামাল বিক্রি করছি, কত টাকার কিনছি তার হিসাব রাখতে পারছি না। যে জন্য ব্যাংকে যেতে পারছি না। খাতা বা মোবাইলে বিভিন্ন এ্যাপের মাধ্যমে হিসাব রাখা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে উদ্যোক্তারা অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে পারে।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলায় আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বাজেটে একশ' কোটি টাকা রাখা হয় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য, সেটা ব্যবহার হয় না। উদ্যোক্তারা যদি আরও তৎপর হন, তাহলে তাদের ব্যবসার অর্থায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা স্মার্ট ফাইন্যান্সিং করছি। পাঁচ বছর পর ব্যবসা কোথায় নিবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ,এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ব্রাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই মো: জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সেমিনার শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এসএমই মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।

;