ফোনে ঘোষণা দিয়ে হত্যা: আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি

আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি

  • Font increase
  • Font Decrease

মুঠোফোনে কল করে ঘোষণা দিয়ে ঈদের দিন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শাহীন আহমদকে (২৫) হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বড়ভাই মো. শামীম আহমদ স্থানীয় থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার আসামিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও অনলাইন প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কোম্পানীগঞ্জের নিহত শাহীনের বড়ভাই ও ইছাকলস নিজগাও গ্রামের আলমাছ আলীর ছেলে মো. শামীম আহমদ ।

তবে, পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামীম আহমদ জানান, গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাত পৌনে আটটায় সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসীচক্র সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাও গ্রামের পাকা সড়কের উপরে প্রকাশ্যে তার ছোট ভাই রাজধানী ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শাহীন আহমদকে (২৫) নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে মামলার মূল আসামিদের গ্রেফতারে অসহযোগিতা ও গড়িমসি করছে পুলিশ।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের মাসখানেক আগে থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। তাদের ক্রমাগত হুমকিতে ভয় পেয়ে তিনি নিরাপত্তার চেয়ে ঢাকার বংশাল ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি করেন। ঈদুল ফিতরের জামাত থেকে খুনি সন্ত্রাসী চক্র তাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আমাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আসছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা ঘর থেকে বের হননি। সন্ধ্যায় তাদের এলাকার ইউপি সদস্য নেছার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারা নিজেদেরকে একটু নিরাপদ মনে করে ঘর থেকে বের হন। কিন্তু বের হয়েই সড়কে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চক্রের আক্রমণের শিকার হন তিনি, তার চাচা ও ছোটভাই শাহীন আহমদ। এই হামলায় তিনি ও তার চাচা আমির আলী বেঁচে গেলেও সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তার ছোট ভাই শাহীন।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১০জনকে আসামি করে মামলা দেন। মামলার ১নং আসামি মরম আলী ও ৮নং আসামি র‌্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু হুমকিদাতা এবং হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শাহেদ ও আনোয়ারসহ সকল আসামিরা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আসামিদের সঠিক অবস্থান পুলিশকে জানানোর পরও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ গড়িমসি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের কাছে তার ভাই হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের চাচা আমির আলী, ছোটবোন শামিমা আক্তার, ছোট বোনের স্বামী শাহিন মিয়া ও আত্মীয় রিপন আহমদ।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনজুর রহমান জানান, মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারেও পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

   

অধ্যাপককে ঘুষি-লাথি, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ উঠায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাফাতুন নূর চৌধুরী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরী (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা, চন্দনাইশ) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের কাজ করছিলেন সহযোগী অধ্যাপক কে এম আতিকুর রহমান। এ সময় সেমিনার কক্ষে ঢুকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফাতুন নুর একটি নষ্ট পাখা দেখিয়ে তা মেরামত করে দিতে বলেন। শিক্ষক আতিকুর রহমান ফ্যানটি নতুন করে লাগানো হবে বলে জবাব দেন। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে সাফাতুন নূর জানালার পর্দার পাইপ খুলে ফ্যানে আঘাত করলে অফিস সহায়ক প্রযুক্ত পালের মাথায় সজোরে লাগে। তাকে উদ্ধার করে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সাফাতুন নূর অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং শিক্ষক আতিকুর রহমানকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে ওই শিক্ষক আহত হন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবদুল খালেক বলেন, আমরা এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, কলেজের সেমিনার কক্ষে নষ্ট পাখা নিয়ে এক ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছাত্র শিক্ষককে মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

;

কর্ণফুলীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. শফি (৩৩) কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহছেন আলী পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, বুধবার (১৫ মে) দুপুরে কর্ণফুলী নদীতে এফভি মায়া-৩ নামে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে নৌকায় মাছ নামাচ্ছিলেন শফি। পরে অসতর্কতাবশত নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তাৎক্ষণিক কোনো সন্ধান মেলেনি। ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে লাশটি ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি একরাম বলেন, শফির পরিবার আমাদের জানিয়েছে তার মৃগী রোগ ছিল। আমরা ধারণা করছি নদীতে পড়ে যাওয়ার আগে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে লালনের অসাম্প্রদায়িকতার সাধনা আমাদের ধারণ করা উচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, লালন মহৎ দর্শনের জাগ্রত প্রতীক। লালন মানবতাবাদ, সুফিবাদ, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছেন। তিনি যে মানবতাবাদী সমাজ চেয়েছিলেন, সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

শুক্রবার (১৭ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে "মানুষের করণ সেকি সাধারণ জানে কেবল রসিক যারা" প্রতিপাদ্যে জাতীয় পর্যায়ে ফকির লালন শাহ এর ২৫০তম আবির্ভাববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের তিন জেলায় নয় দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, লালন মানবতাবাদকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। গান ও সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে খুঁজেছেন তিনি। আমরা বাঙালিরও মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতার পথে হেঁটে বড় অর্জন করেছি। লালন আমাদের অনুপ্রেরণার অসীম উৎস।

মন্ত্রী ফিলিস্তিনে শহিদের কথা স্মরণ করে বলেন, বর্তমান অরাজকতা, অস্থিরতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে লালনের মানবতার, অসাম্প্রদায়িকতার সাধনা আমাদের সকলের মধ্যে ধারণ করা উচিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটস শিক্ষক ও লালন গবেষক অধ্যাপক ডা. আনিসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভিন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী সহ অনেকে।

;

গাজীপুরে এক সঙ্গে তিন সন্তান জন্ম দিলেন গৃহবধূ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে একত্রে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ আফসানা আক্তার। তিন সন্তানসহ ওই গৃহবধূ পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সন্ধ্যার গাজীপুরের এলিট কেয়ার হাসপাতালের বেডে গিয়ে দেখা যায় এ ঘটনা। সিজারের পর মা ও শিশুদের পাশাপাশি বেডে রাখা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ওই গৃহবধূ আফসানার প্রসববেদনা উঠলে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে জরুরি অপারেশনের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনজন সন্তান প্রসব করেন তিনি।

এলিট কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সজীব জানান, হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসা আনোয়ার মারিয়ানা আগে থেকেই আফসানাকে দেখভাল করছিলেন। বিষয়টি অনেকটাই ক্রিটিক্যাল ছিল। হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকার পরও ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ওই গৃহবধূকে সিজার করা হয়। এতে সন্তান ও মা সুস্থ রয়েছেন।

এদিকে এমন বিড়ল ঘটনায় মা সন্তানেরা সুস্থ থাকায় আনন্দে আত্মহারা পরিবারের স্বজনরা। গৃহবধূ আফসানার স্বামী প্রকৌশলী মো. রিপন মিয়া বলেন, তিন সন্তান এবং আমার স্ত্রী সুস্থ রয়েছেন এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি খুশির বিষয়।

;