অতি বাম-ডান মিলে সরকার উৎখাতের কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক দেউলিয়া যারা, তারা আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাচ্ছে। অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতের কাজ করছে। তাদের মূল লক্ষ্য—সরকার উৎখাত।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে, ভোটের অধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধভাবে হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলকারী, তাদের পকেট থেকে বের হওয়া যে রাজনৈতিক দল তাদের কাছে এখন গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ভোটের অধিকারের কথা শুনতে হয়, যারা হ্যা, না ভোট দিয়ে যারা ভোট চুরি শুরু করেছিলো। এরপরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ প্রত্যেকটা নির্বাচনই তো আমরা দেখেছি। কিভাবে জনগণের ভোট নিয়ে খেলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশি দূর যেতে হবে না ২০০১ সালের যে নির্বাচন সে নির্বাচনেও তো চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছিলো। আমরা শতাংশ হিসেবে বেশি ভোট পেয়েছি কিন্তু আসন পাইনি। কারণ আমি রাজি হয়নি আমার দেশের গ্যাস অন্য দেশকে বেচবো। আজকে গ্যাসের জন্য যে হাহাকার, আমি যদি তখন রাজি হতাম তাহলে কি আমাদের দেশে কোন ইন্ডাস্ট্রি চলতো? ফার্টিলাইজার সেন্টার চলতো, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়তো, হতো না। কিন্তু খালেদা জিয়া কিন্তু সে মুচলেকা দিয়েছিলো। খালেদা জিয়া কথা দিয়েছিলো ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বিক্রি করবে। আমি শুধু বলেছিলাম, আল্লাহ জন বুঝে ধন দেয়।
আমাদের অধীনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কে তারা? যাদের জন্মই হয়েছে ভোট চুরির মধ্য দিয়ে তারা আবার প্রশ্ন করে কিভাবে? জনগণ বলুক, দেশের মানুষ তো ভোট দিতে পেরে খুশি। হ্যা, এলাকায় এলাকায় স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে ২০২৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে সুষ্ঠুভাবে কবে হয়েছে বাংলাদেশে।