যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে সবক দেয়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশকে সবক দেয়। মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করতো সেখানকার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর জবাব কী?

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক দেউলিয়াতাপূর্ণ, যারা একেবারে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া— এদের কিছু বক্তব্য আর আমাদের দেশের কিছু আছে বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন, সেই তথাকথিত বুদ্ধিজীবি অনবরত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গীবত গাচ্ছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, এদেশের অতি বাম, অতি ডান সবই এখন এক হয়ে গেছে, এটা কীভাবে হলো আমি জানি না। এই দুই মেরু এক হয়েও সারাক্ষণ শুনি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। অপরাধটা কী আমাদের?

তিনি বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভেকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি। মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়েছি, শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি, মানুষের আয়ুস্কাল বৃদ্ধি করেছি, মানুষের ঘরের কাছে চিকিৎসাসেবা নিয়ে গেছি, শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি আছে। সব দিক থেকেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, পিছিয়ে আছি কোথায় আমরা? মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করেছি, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার অতিমারি, এরপর আসে ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, সারা বিশ্বব্যাপী মূদ্রাস্ফীতি— এই সমস্যার কারণেই কিন্তু আমরা নয়, সারা পৃথিবী, এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। ২০০৮ সালর নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা এক ধাপ উপরে তুলবো। রূপকল্প ২০২১ আমরা ঘোষণা দেই, দিন বদলের সনদ আমরা ঘোষণা দেই। আজকে দিন বদল ঘটেছে।

তিনি বলেন, সব সময় আমারা লক্ষ্য রেখেছি তৃণমূলের মানুষ, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা। আজকে কেউ বলতে পারছে না যে, গ্রামে দারিদ্য আছে। এখন বলে— শহরে দারিদ্র। এখন অদ্ভুত এক হিসাব হয়ে গেছে, দারিদ্রের হার শহরে বেড়ে গেছে, গ্রামে না। অথচ এক সময় গ্রামের মানুষ একবেলা ভাত খেতে পেতো না, মাথা গোজার ঠাই ছিল না, রোগের চিকিৎসা পেতো না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। আমাদের উন্নয়নের তৃণমূল মানুষের দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকচি জেলা-উপজেলা গৃহহীন, ভূমিহীন মৃক্ত ঘোষণা দিয়েছি। অল্প কিছু বাকি আছে, সেগুলোও শিগগিরই হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কোনও মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে অগ্রযাত্রা টা সহজভাবে আমরা করতে পারবো। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে, ভোটের অধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ ভাবে হত্যা কু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলকারী, তাদের পকেট থেকে বের হওয়া যে রাজনৈতিক দল তাদের কাছে এখন গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ভোটের অধিকারের কথা শুনতে হয়, যারা হ্যা, না ভোট দিয়ে যারা ভোট চুরি শুরু করেছিলো। এরপরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ প্রত্যেকটা নির্বাচনই তো আমরা দেখেছি। কিভাবে জনগণের ভোট নিয়ে খেলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশি দূর যেতে হবে না ২০০১ সালের যে নির্বাচন সে নির্বাচনেও তো চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগ কে হারানো হয়েছিলো। আমরা শতাংশ হিসেবে বেশি ভোট পেয়েছি কিন্তু আসন পাইনি। কারণ আমি রাজি হয়নি আমার দেশের গ্যাস অন্য দেশকে বেচবো। আজকে গ্যাসের জন্য যে হাহাকার, আমি যদি তখন রাজি হতাম তাহলে কি আমাদের দেশে কোন ইন্ডাস্ট্রি চলতো? ফার্টিলাইজার সেন্টার চলতো, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়তো, হতো না। কিন্তু খালেদা জিয়া কিন্তু সে মুচলেকা দিয়েছিলো। খালেদা জিয়া কথা দিয়েছিলো ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বিক্রি করবে। আমি শুধু বলেছিলাম, আল্লাহ জন বুঝে ধন দেয়। খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া কথা দিয়েছে গ্যাস বিক্রি করবে, গ্যাস পাবেই না। তাদের আমলে কিন্তু কুপ খনন করে গ্যাস পায়নি।

আমাদের অধিনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলার কে তারা? যাদের জন্মই হয়েছে ভোট চুরির মধ্য দিয়ে তারা আবার প্রশ্ন করে কিভাবে? জনগণ বলুক, দেশের মানুষ তো ভোট দিতে পেরে খুশি। হ্যা, এলাকায় এলাকায় স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে ২০২৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে সুষ্ঠুভাবে কবে হয়েছে বাংলাদেশে।

   

রোগীর গোপনীয়তা নষ্ট করছে ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা, সহযোগিতায় আনসার



রাজু আহম্মেদ ও আল আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জাতীয় শিশু হাসপাতালে বেড়েছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য। রোগীদের গোপনীয়তা নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিক্রয় প্রতিনিধিদের যত্রতত্র বাইক পার্কিংয়েও জটলার সৃষ্টি হচ্ছে হাসপাতালের বহির্বিভাগ সামনে। এতে রোগী চলাচলের পথ সংকুচিত হওয়াসহ অ্যাম্বুলেন্স অথবা রোগী পরিবহনেও বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের বলে অভিযোগ অনেকের।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়ে ডক্টরস চেম্বার থেকে বের হতেই ঘিরে ফেলেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। নানা আলোচনায় ওষুধ নির্দেশিকার নাম করে তুলে নেন প্রেসক্রিপশনের ছবি। ফলে রোগীর গোপন রোগ বা ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। এতে গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে রোগীদের। এছাড়া নিজ কোম্পানির ওষুধ কিনতে নানাভাবে হয়রানিরও অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করে টিম বার্তা২৪.কম। সরেজমিন অভিযোগের সত্যতাও মেলে শিশু হাসপাতালে গিয়ে। গত বৃহস্পতিবার দিনভর শিশু হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা যায়, রোগী বের হলেই কিছু বিক্রয় প্রতিনিধি ঘিরে ধরে তাদের। হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে তুলছে ছবি। বেশিরভাগ রোগী বিরক্ত হলেও বিক্রয় প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি থাকায় কেউ করতে পারছে না প্রতিবাদ।

কেউ কেউ অভিযোগ করলেও আমলে নিচ্ছে না শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা। অভিযোগ আছে হাসপাতাল বোর্ডের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অর্থ নিয়ে আনসার সদস্যরা বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রবেশে করে সহযোগিতা। ফলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে না রোগীর অভিযোগ।

এদিকে কর্তৃপক্ষের কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিশু হাসপাতালের সামনে যত্রতত্র বাইক রাখেন ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এতে রোগী পরিবহনে যেমন অসুবিধায় পড়ে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা, তেমনি জরুরি অবস্থায় ওষুধ নিয়ে যাতায়াত কিংবা রোগী নিয়ে যেতে বিপাকে পড়েন স্বজনরা। এমন অবস্থায় বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

আকলিমা আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী জানান, রুম থেকে বের হতেই দুই তিনজন আসল। কিছু বোঝার আগে আমার চিকিৎসা সেবা পত্রের ছবি নিলো। আমার সন্তানকে জরুরিভাবে ডক্টর দেখাতে নিয়ে আসছি। তাদের কারণে এর জন্য আমার ১০ মিনিট গেলো। নিজের কোম্পানির ওষুধ কিনতে নানা ভাবে জানালো। এভাবে এক প্রকার হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা।

মোজাম্মেল নামের আরেকজন বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে জরুরিভাবে অক্সিজেন দিতে বলেছে ডাক্তার। আমি চেম্বার থেকে বের হয়ে তাড়াহুড়ো করছিলাম। কোথা থেকে আসল কজন, আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড় করালো। তাদের ফোন দিয়ে ছবি নিল। আমি প্রতিবাদ করলে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আমাকে যেতে বললেন। এমন হলে আমাদের গোপনীয়তা থাকে কোথায়?’  

এ বিষয়ে বার্তা২৪.কম কথা বলার চেষ্টা করে উপস্থিত অভিযুক্ত বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ওষুধ বিক্রেতারা। নিমিষেই শৃঙ্খলা ফিরে আসে বহির্বিভাগে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি উপস্থিত আনসার সদস্যরা। তবে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) হালিম শেখ কথা বলতে রাজি হলেও তিনি জানান কোন অভিযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে। এদিকে, আনসার সদস্যরা নিজেদের দোষের ঊর্ধ্বে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। বিক্রয় প্রতিনিধিসহ আনসারদের কার্যকলাপে বিরক্ত খোদ হাসপাতাল পরিচালক।

এ বিষয়ে  শিশু হাসপাতালের পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘আমরা বোর্ডে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাসপাতালে শুধু দুইদিন বিক্রয় প্রতিনিধিরা প্রবেশ করবে। তাদের মোটর সাইকেল পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে তারা কীভাবে প্রবেশ করে আমাদের বোধগম্য নয়। আনসারদের সহযোগিতায় এমনভাবে প্রবেশ করে বলে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, আনসারদের আনসারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর আগেও এক ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। আমরা বোর্ড মিটিংয়ে এসব আলোচনা করেছি। তাদের অপরাধের পরিধি বাড়ছে। আসলে তাদের (আনসার) কোন চরিত্র নেই। তারা এমন অপরাধ করছে,  যা সিকিউরিটি গার্ডদের থেকেও নীচ। আমরা আনসারের বিপরীতে অন্য কিছু ভাবছি। সম্ভব হলে আনসারের সেবাটি অন্যভাবে ব্যবস্থা করার আহ্বান করব হাসপাতালের বোর্ডে।

;

ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করবেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরের কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।

পেনি ওং বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জনগণের বেশ ভালো সখ্যতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ হাজারে বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক সহযোগিতা করছে সেখানে আমি তা দেখব।

;

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু আজিজ আহমেদ নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) (২০ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

;

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

;