রংপুরে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নেন ৮২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নেন ৮২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ

রংপুরে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নেন ৮২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর নিম্ন আয়ের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার শতকরা ৮২ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। এলাকার ফার্মেসি থেকে জ্বর, মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে ওষুধের মাধ্যমে তারা চিকিৎসা চালায়।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ আঞ্চলিক কার্যালয় মিলনায়তনে নগর স্বাস্থ্যসেবায় জবাবদিহি (এরাইজ) প্রকল্পের আঞ্চলিক মতবিনিময় সভায় মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় এ তথ্য তুলে ধরেন এরাইজ প্রকল্পের গবেষক নাজিয়া ইসলাম।

তিনি বলেন, চিকিৎসা নিতে সরকারি হাসপাতালে যান শতকরা ৬৯ দশমিক ২ ভাগ, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শতকরা ৩৩ দশমিক ৩ ভাগ, এনজিও ক্লিনিকে ৪ দশমিক ৬ ভাগ এবং কবিরাজি চিকিৎসা করান শতকরা ৩ ভাগ মানুষ।

গবেষক নাজিয়া ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রংপুর নগরীর ১৬ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জরিপ পরিচালনা করে এরাইজ প্রকল্প। জরিপ মতে, বাড়ি থেকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পৌঁছাতে গড়ে ২৫ মিনিট লাগলেও নিম্ন আয়ের মানুষদের আস্থা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর। বস্তি এলাকায় বসবাস করার এসব নিম্ন আয়ের মানুষেরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নানা চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ২৩ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা, ২৩ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ উৎকোচ গ্রহণ, ২২ দশমিক ২ ভাগ মানুষ হয়রানি, ১৫ দশমিক ৯ ভাগ মানুষ অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয়, ১০ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ নোংরা পরিবেশ, ৯ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ চিকিৎসা, নার্স ও স্টাফদের দুর্ব্যবহার, ৮ দশমিক ৩ ভাগ মানুষ দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ৬ দশমিক ৭ ভাগ মানুষ রেফারেল সিস্টেমের অভাব, ৫ দশমিক ১ ভাগ মানুষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, ৪ দশমিক ১ ভাগ মানুষ বেশি দূরত্বে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এবং ২ দশমিক ২ ভাগ মানুষ সেবাদাতাদের সেবা প্রদানে অনীহার কথা তুলে ধরেছেন।

এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ রংপুর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহ মো. আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। মতবিনিময় সভায় রংপুর নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নানা সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

   

উপজেলা নির্বাচন: ফটিকছড়িতে নাজিম ও হাটহাজারীতে ইউনুছ বিজয়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নাজিম উদ্দিন মুহুরী ও হাটহাজারীরে ইউনুছ গণী চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

হাটহাজারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণী চৌধুরী (আনারস) প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান (ঘোঁড়া) পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আশরাফ উদ্দিন জীবন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮শ ৬৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক বাল্ভ প্রতীকের প্রার্থী এমএ খালেদ চৌধুরী পেয়েছেন ২৫ হাজার ১শ ২৩ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিবি ফাতেমা শিল্পী (প্রজাপতি)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের প্রার্থী শারমিন আক্তার পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪শ ৩৫ ভোট।

এদিন ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে দশটায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পরান্টু চাকমা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে ফটিকছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী নাজিম উদ্দিন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাঈদ (ইরান) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৬৭ ভোট। এ উপজেলায় মোট ২২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩২ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এড.সালামত উল্লাহ চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৭ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমীন আক্তার নুপুর ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৫ ভোট।

রাত ১২টার দিকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বিজয়ী চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে তারা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যদি বেঁচে থাকি, পাঁচটি বছর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা গঠন করতে চাই।’

এর আগে বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ঘিরে কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কাউকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি। ।

এদিকে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় নির্বাচন হলেও রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় আর ভোটগ্রহণ হয়নি।

;

বকশীগঞ্জে এমপির ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জামালপুর-১ আসনের এমপি নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার (ঘোড়া প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার অহনা জিন্নাত ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল উপজেলার ৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টায় থেকে শুরু হয়ে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে।

জানা গেছে, ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম সাত্তার উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

;

যশোরে তিন উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ, বিরতিহীন ভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট গ্রহণ শেষে এদিন রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মোঃ শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় আজ দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুম্মিতা সাহা রাত সাড়ে নয়টায় এই বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতিকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাংবাদিক সৈয়দ ইমরানুর রশীদ ৪১ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতিকের মো. কামরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন সুলতানা ২৪ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতিকের আমেনা খাতুন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৮২ ভোট। সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো: সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: আব্দুর রহিম সরদার তালা প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের শফিকুল ইসলাম মন্টু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকের মোছা: শামীমা খাতুন ৪২ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: আলেয়া ফেরদৌস হাসঁ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭২৯ ভোট। মঙ্গলবার রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

;

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, ৭ জনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন মোবাইল কোর্ট। নির্বাচন কাজে।

মঙ্গলবার (২১ মে) নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রিপনকে (৩১) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

এরপর বিকেল চারটায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের খাজমত আলীর ছেলে কায়েম আলীকে (৬২) নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১ (চ) ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই সময় একই উপজেলা ও গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আতিউল্লাহকে (৬২) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই গ্রামের ঈশার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আজিবর রহমানকে (৫৫) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও হারেজ উদ্দীনের ছেলে মুনতাজ আলীকে (৫৫) ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এদিকে, জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বগাদী ভোট কেন্দ্রে ভোগাইল বগাদী গ্রামের আনাবুল ইসলামের ছেলে সুজনকে (২৬) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে কেন্দ্রের পাশে শোডাউন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা মমতাজ নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত রবজেল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে (৪৯) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১(চ) ধারায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুলিশের সহায়তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;