শ্রমিকদের বিনোদন আবদ্ধ স্মার্টফোনে



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীর-আনোয়ারা দম্পতি। দুজনেরই গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। প্রায় ১০ বছর আগে দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে পেটের দায়ে আসেন শিল্পাঞ্চল সাভারে। এখন দুজনেই আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চলছে তাদের সংসার। দুজন মিলে যা আয় করেন তার অর্ধেক চলে যায় নিজেদের থাকা-খাওয়ার খরচে। আর বাকিটা দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা ও তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ। দুই একদিনের ছুটি পেলেও খরচের ভয়ে সন্তানদের দেখতে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারেন না। আর সাধারণ ছুটিতে বিনোদন বলতে হাতে থাকা স্মার্টফোন।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম, যা কামাই করি খুব হিসেব করে খরচ করতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে থাকা ছেলে-মেয়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলি। দিনের কাজ শেষে ঘুমানোর আগে এই আমাদের বিনোদন। অফিস দেরি করে ছুটি দিলে অনেক সময় তাও হয় না। ছেলেমেয়েরা ঘুমিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার দৌড়। এভাবেই চলছে জীবন। ঈদ গেল বেশ কিছু বাড়তি খরচও হয়েছে। আবার টাকা জমাচ্ছি সামনের ঈদের জন্য।

জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনোয়ারা বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ডিউটি। রাতে এসে রান্না-বান্না করতেই তো সময় চলে যায়। ছুটির দিনে কাপড়-চোপড় ধোয়া, বাজার সদাই। এর বাইরে অন্য কিছু তো ভাবতেও পারি না। মাঝে মাঝে আগে ছুটি হলে একটু টিভি দেখি আর নাহলে প্রতিবেশীদের সাথে গল্প-গুজব। এভাবেই কেটে গেল এতগুলো বছর।

সাভার-আশুলিয়ায় জাহাঙ্গীর-আনোয়ারা দম্পতির মত এমন হাজারও শ্রমিক দম্পতির অবস্থা একই রকম। শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় প্রায় ১০ লাখ শ্রমিকের বসবাস, যার বেশিরভাগই পোশাক শ্রমিক। অর্থ উপার্জনের আশায় যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাড়ি জমিয়েছেন। সাভারের ক্রমবর্ধমান শিল্পব্যবস্থা তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে দিলেও বঞ্চিত করেছে বিনোদন থেকে। কর্মসংস্থান হলেও মানসিক বিকাশ বা অবকাশের যেখানে নেই কোন সুযোগ। লাখ লাখ শ্রমিকের কাছে এখন বিনোদন বলতে বোঝায় হাতে থাকা স্মার্টফোন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে ঘিরে শ্রমিকদের দৈনন্দিন জটিলতা, আর এক ঘেয়েমি জীবনকে অবসাদ গ্রাস করতে পারে শ্রমিকদের বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়ন মো. ইমাম হোসেন বলেন, শ্রমিকদের তো ঘুরতে যাওয়ার জায়গাও নেই। ছুটি পেলে যে বাড়িতে যাবে সেখানেও খরচের ঝক্কি। একটা শ্রমিক বাড়িতে যাওয়ার আগে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে টাকা জমায় তারপরে বাড়িতে যায়। আবার বাড়ি থেকে ঘুরে এসে ধারদেনা করে চলতে হয়। এছাড়া অফিস ছুটির পর বা ছুটির দিনে তাদের তো আর করার কিছু নেই। অল্প বয়সী যারা তারা হয়ত সাভারের স্মৃতিসৌধসহ এদিক সেদিকে যায়। কিন্তু সেটাও খুবই অল্প অংশ। এর বাইরে শ্রমিকদের বিনোদনের কথা তো কেউ ভাবে না। শ্রমিকদের মানসিক চাপ যে দিন দিন বাড়ছে তা তো দেখার কেউ নেই।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ইমন শিকদার বলেন, শ্রমিকরা ঘুরতে যাবে টাকা পাবে কোথায়? যা বেতন তা দিয়ে পরিবার নিয়ে টিকে থাকাই তো কষ্ট। আর কম খরচে বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই সাভারে। ফ্যান্টাসি কিংডম বা নন্দন পার্কের মত বিনোদন কেন্দ্র সাভারে আছে, কিন্তু সেখানে যেতে যে খরচ একজন সাধারণ শ্রমিকের পক্ষে তা বহন করা সম্ভব না। যাদের হাতে স্মার্টফোন আছে, অবসর সময়ে তারা সেটা নিয়েই পরে থাকে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, অবৈধ ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং সুবিধা চালুসহ আমাদের বেশ কিছু দাবি নিয়ে আমরা সারা বছর কাজ করি। এত বছরেও শ্রমিকরা এসকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর বাইরে বাড়তি কিছু তো আমরা ভাবতেই পারি না। তবে শ্রমিকরা যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকে, তাদের যেন মানসিক উন্নয়ন হয় এই কাজ তো কেউ করছে না। আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন দিবসে কিছু কিছু আয়োজন করি। মাঝে মাঝে তাদের ট্রেনিং সেশনের আয়োজন করি। কিন্তু তাতে অংশ নেওয়ারও সুযোগ পায় না সব শ্রমিকরা।

   

পুরনো রূপে ফিরেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। রাজধানীর অলিগলি থেকে প্রধান সড়কে আগের মতোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চালকেরা। কোন রকম নিয়ম মানা তো দূরের কথা, আগের তুলনায় যেন তাদের রিকশার গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা রোধে গত ১৫ মে বিআরটিএ ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টাদের সভায় রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক যেন না চলে এমন নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নির্দেশনার পর পর তা বাস্তবায়ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কঠোর অবস্থান দেখা যায়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারণ মানুষ সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ বলছেন মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের একটা সুযোগ দেওয়া দরকার। এবং আইনের মধ্যে রেখে মূল সড়ক থেকে ভেতরে অলিগলিতে চালাতে দেওয়া যেতে পারে।

হঠাৎ ওবায়দুল কাদেরের এমন নির্দেশে অটোরিকশা চালকেরা পড়েন বিপাকে। তাই পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতে আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে গত দু'দিন রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলনের ডাক দেয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা। আন্দোলনের মুখে সরকারের অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আবারও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঢাকায় চলাচলের অনুমতি পায়।

মঙ্গলবার (২১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কালশী এলাকা মোড়ে আবারও ফিরেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। কোন রকম আইন কানুন না মেনে আগের মতোই এলোমেলো ভাবেই চলছে এই বাহন। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে অনেকটাই অসহায় ও নীরব ভূমিকায়।

অটোরিকশা চালাক সালাউদ্দিনের কাছে উল্টো পথে আসার কারণ জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি অকপটে নিজের ভুল স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আসলে আমাদেরও অনেক দোষ আছে জানি। আমাদের বেশিরভাগ চালক সুযোগ পেলেই উল্টো পথে চলাচল করতে বেশি পছন্দ করে। এসময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে। কিন্তু আমাদের হুশ হয়নি।

ক'দিন রিকশা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে দুর্ভোগের কথাও জানান তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই অটোরিকশা চালক।

কালশী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর সড়কে যানজট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু গতকাল বিকেল থেকে আবারও তারা সড়কে আগের মতো বিশৃঙ্খলভাবে রিকশা চালানো শুরু করেছে। কারো কোন কথাই তাদের গায়ে লাগে না। দ্রুতগতির কারণে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাদের একটা নিয়মের মধ্যে এনে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া। নইলে এভাবে অবাধে রিকশা চলাচল করলে যানজট নিরসনে সরকারের কোন পদক্ষেপ কাজে দেবে না।

কালশী মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কামরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের এখানে যে পরিমাণে গাড়ি চলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এই সড়ক ব্যবহার করে উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, মিরপুর ডিওএইচএস-সহ প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি ও গণপরিবহন চলাচল করে। এর সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগ হওয়ায় ট্রাফিক সদস্যদের হিমসিম খেতে হয়। উল্টো পথে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিয়ন্ত্রণ করতে যে পরিমাণে লোকবল দরকার আমাদের তা নেই।

তিনি আরও বলেন, সরকার যেহেতু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সুতরাং খুব শিগগিরই একটা নিয়মের মধ্যে আনা হবে। কয়েকদিন অপেক্ষা করুন আশাকরি প্রতিফলন দেখতে পাবেন।

;

দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে নিম্নমানের পণ্যের উপর নামি-দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি এবং পণ্যের গায়ে আগের কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্য লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২১ মে) নগরীর জিইসি ও ২নং গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স পবিত্র ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে নেমে ব্যবসায়ীদের এমন গরমিল দেখতে পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম।

কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের ৪নং গলির একটি দোকানে হিরো ক্রিম (দুগ্ধ জাতীয় খাবার পণ্য) নামে একটি নিম্ন মানের পণ্যের DANO ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন অনেকদিন ধরে। অন্যদিকে ফ্রেডস কোম্পানির ইঁদুরে খাওয়া চিড়ার প্যাকেটে পুনরায় লেভেল লাগিয়ে ভালো পণ্য হিসাবে বিক্রি ও প্রদর্শন করার অপরাধে ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভুক্ত অধিকার।

এর আগে পণ্যের গায়ে লিখা কম মূল্যের উপর পুনরায় অধিক মূল্যে লেভেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে নগরীর জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর একটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমান বলেন, ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে আমার দেখতে পাই- কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের একটি দোকানে হিরো ক্রিম নামে একটি পণ্যের উপর DANO ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও ইঁদুরে খাওয়া চিড়ার প্যাকেট পুনরায় লেভেল লাগিয়ে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করছে তার জন্য ঐ প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাশাপাশি সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে, একটি পণ্যের দাম ১৪৫ টাকার উপর ১৫৫ টাকা মূল্য বাসানোর অভিযোগে জিইসি এলাকার কামাল জেনারেল স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার জরিমানা করে সতর্কও করা হয়। আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ রাতে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকাল ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত আগামী ৮ ঘণ্টার মধ্যে এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পাবনা, টাঙ্গাইল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

;

সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে একই কার্যালয়ে দু’টি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী চেয়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নোটিশ দেয় দুদক। জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ের পর জানা গেছে, ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম ১ কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। অপরদিকে, আবদুল বারিক ১ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন তিনি।

জানা গেছে, আবদুল বারিক চট্টগ্রাম কাস্টমসে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে ১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পান। ২০১০ সালে তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন, আর অবসর নেন ২০১৪ সালে। কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি নিজের ও স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিনের নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে অঢেল সম্পদ গড়েন।

মামলায় আসামি করা হয় কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমকে।

;