হলি আর্টিজান হামলার পূর্বে ৩৯ লাখ টাকা দেন মামুনুর রশিদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাবের হাতে আটক জঙ্গি নেতা মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

র‌্যাবের হাতে আটক জঙ্গি নেতা মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নব্য জেএমবির অস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহের কাজ করতেন মামুনুর রশিদ। হলি আর্টিজান হামলার পূর্বে সেই সময়ের নব-নিযুক্ত জেএমবির আমির সারোয়ার জাহানকে হামলা বাবদ ৩৯ লাখ টাকা দেন এই মামুনুর রশিদ।

রোববার (২০ জানুয়ারি) গ্রেফতারকৃত জেএমবি নেতা মামুনুর রশীদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নব্য জেএমবির তিনটি কাজের দায়িত্ব ছিল মামুনুর রশীদের উপর। সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করা এবং অর্থ সংগ্রহ করা। বিভিন্ন জায়গায় হামলার আগে অর্থ সংগ্রহ করার ধারাবাহিকতায় হলি আর্টিজান হামলার পূর্বে ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করে, আমিরের হাতে তুলে দেন মামুনুর।’

‘অর্থ সংগ্রহ ও দাওয়াতি কার্যক্রম বেগবান করতে, বিকাশের দোকান লুট করে ছয় লাখ টাকা, সিগারেট বিক্রেতা হতে এক লাখ টাকা ছিনতাই, পাশাপাশি অপর একজনের কাছে থেকে এক লাখ টাকাসহ মোট আট লাখ টাকা ছিনতাই করে সংগঠনটিকে দিয়ে তিনি বিশ্বস্ততা অর্জন করেন।’

র‌্যাব জানায়, ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে তামিম চৌধুরি ও সারোয়ার জাহানের গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশিদ। ঐ বৈঠকেই তাকে সূরা সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া এই জঙ্গি স্বীকার করেন, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা তার তত্ত্বাবধানে সংগঠিত হয়েছে। ঐ হামলাগুলোর নেতৃত্ব দেন রাজীব গান্ধী। কোথাও হামলার পূর্বেই বিভিন্ন জায়গায় তারা মহড়া করে অনুশীলন করতেন।

র‌্যাবের এই মুখপাত্র মামুনুর রশিদ সম্পর্কে জানান, ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন রশিদ। শিক্ষাজীবনের শুরুতে প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে হলেও পরবর্তীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদ্রাসাতুল দারুল হাদিস হতে দাওরা-ই- হাদিস সম্পন্ন করেন।

২০১৩ সালে বগুড়ায় সাইবারটেক নামক কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় ডা: নজরুলের হাত ধরে জঙ্গিবাদে জড়ান রশিদ। তখন তার সাংগঠনিক নাম হয় রিপন।