উপজেলা নির্বাচন

পীরগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের পীরগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ উপজেলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন অনেক কর্মকর্তাকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থেকে বাদ দিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া একই শিক্ষককে একাধিক কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রদান, ১০ গ্রেডের অফিসার প্রিসাইডিং এবং ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডের শিক্ষককে সহকারী প্রিসাইডিং, কর্মরত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে প্রার্থীরা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্বাচনে দায়িত্ব প্রদান করার অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কৌশলে একজন শিক্ষককে দুই বা তিনটি করে ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে দালালের মাধ্যমে পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে অন্যদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই হ-য-ব-র-ল অবস্থা নিয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগাছা উপজেলায় ১১৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১১৩টি কেন্দ্রের জন্য ১১৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৭৬০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৫২০ জন পোলিং অফিসার, ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ২৩৯ জনসহ মোট ২৬৩২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী শিক্ষকদের বাদ দিয়ে যারা দায়িত্ব পালন করতে চান না তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে নাম কাটা ও সংযোজন করতে দালালের মাধ্যমে পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকার ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

পীরগাছায় সরকারী ও এমপিওভূক্ত কলেজ, মাদ্রাসায় প্রায় ১০০ জন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চাকরি করছেন। সিনিয়র প্রভাষক, প্রভাষক প্রায় ১৫০ জন, বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৫০ জন অথচ ১০ম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদেরকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু নন এমপিওভূক্ত শিক্ষককে ভোট গ্রহণকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের অনেককেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

ভূক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ পীরগাছায় যোগদানের পর দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তিনি দালাল ছাড়া কোন কাজই করেন না। অফিস সময়ে দরজা আটকিয়ে ভিতরে বসে থাকেন তিনি। জরুরী কাজে কেউ দেখা করতে চাইলেও মেলে না অনুমোদন। এমনকি সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়া সরাসরি অফিসে গেলে হেনস্থার শিকার হন এই কর্মকর্তার মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও ফোন রিসিভ করেন না তিনি।

ঝিনিয়া ধনীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন চন্দ্র বলেন, আমাকে ২৫ নম্বর কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং টাকা ছাড়াই ভাতা প্রাপ্তির মাস্টার রোলে আমার প্রাপ্তি স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। পরে টাকার বিনিময়ে আমার পরিবর্তে হাফিজার রহমানকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন সরকার বলেন, আমি ঘুষ না দেওয়ার কারণে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে দায়িত্ব না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে ভোটের দায়িত্ব নিয়েছেন। কাশিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্বাস আলী বলেন, নির্বাচন অফিসের এক দালালের মাধ্যমে ১৯৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপত্র দিয়েছেন।

তাম্বুলপুর মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক আদোল হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের এক দালাল শিক্ষক প্রতি ৫শ টাকা হারে নিয়ে ভোটের দায়িত্ব পাইয়ে দিয়েছেন।

ডাকুয়ার দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্যোৎস্না রাণী মহন্তকে ব্রামণীকুন্ডা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং অফিসার ও সাতদরগা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনন্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমকে পূর্ব পারুল ও পেটভাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং নাছুমামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারগীছ নিগারকে কিশামত পারুল শাহী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, পারুল ও ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ঝিনিয়া ধণীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক চন্দ্র বলেন, আমি দায়িত্বের জন্য কথা বললে নির্বাচন অফিসের লোক আমার নিকট ৫শ টাকার দাবি করলে আমি নগদ ২শ টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণের ভাতা উঠিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের শর্তে আমাকে দায়িত্ব দেন।

এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বামী শফিকুল ইসলাম মাস্টারকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কৌশলে অসংখ্য শিক্ষককে দুই থেকে তিনটি কেন্দ্রে দায়িত্ব দিয়ে পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে নতুন করে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগেও হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তানজিনা আফরোজের স্বামী গোফরান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন অফিসার ফারুক আহমেদ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে খুব পটু। তিনি যোগদানের পর থেকে অনিয়ম বেড়ে গেছে।

কৈকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসলেহা খাতুন ও তাজমিনা আক্তার নিজের ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। নিজের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরাণী ফাতেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। এমপিওভূক্ত শিক্ষক বাদ দিয়ে ননএমপিও শিক্ষক হাফিজার রহমান, রুমি ও সাইফুল ইসলামসহ অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মাহবুবার রহমান ও তছলিম উদ্দিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকায় সেই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন। অভিযোগে তিনি জানান, শাহ মাহবুবার রহমান পীরগাছা মহিলা কলেজের সভাপতি। তছলিম উদ্দিন দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও চর তাম্বুলপুর মাদ্রাসার সভাপতি। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার আবেদন করেন।

অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন নিজেই তাম্বুলপুর, সাতদরগা দাখিল মাদ্রাসা, পবিত্রঝার ফাজিল মাদ্রাসা, অন্নদানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অপর প্রার্থীরা।

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, কিছু ভুল ত্রুটি আছে সেগুলো নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশোধন করা হবে।

রংপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্যাহ্ আল মোতাহসিম বলেন, নিজ কর্মস্থল ও নিজের ভোটকেন্দ্রে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। সুনির্দিষ্টভাবে বললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্বাচিপ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

রোববার (১৯ মে) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজকে যদি আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে চায়, বাংলাদেশ কেমন আছে? আমরা বলব অবশ্যই ভালো আছে। করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশ সফলভাবে সেটি মোকাবিলা করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনসেবায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

স্বাচিপ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। নেত্রী আছেন সংসদে, আমরা আছি রাজপথে। এই কথাটি যেন আক্ষরিক অর্থে সব সময় সত্য হয়। কখনো যেন এটির ব্যতয় না ঘটে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেত্রী সংসদ থেকে নির্দেশ দিবেন, আমরা সেই নির্দেশ পালন করব। শুধু চিকিৎসক সমাজ নয়, দেশের সর্বত্রই স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

স্বাচিপ রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ চিন্ময় কান্তি দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান মিলন, বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোস্তফা আলম নান্নু, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক (সাগর) প্রমুখ।

এর আগে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য অতিথিরা।

এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সহ সকল অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

;

‘প্রধানমন্ত্রী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ সহজে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। ভূমিহীন পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসহায় মানুষের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন।

রোববার (১৯ মে) সকালে মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় ৩০ জন ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে।

এ সময় রোগীদের উদ্দেশে সংসদ সদস্য আরও বলেন, রোগে আক্রান্ত হওয়া শুধু আপনাদের কষ্ট নয়, আপনাদের পরিবারেও সমস্যা। মহান আল্লাহ আপনাদের মাফ করুক, রোগের কথা শুনলে আমার নিজেরও কষ্ট হয়। তাই সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এমপি হিসেবে এসব রোগীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জামসেদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেসা, এমপি পত্মী দিশা আরেফিন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ১৫ লাখ টাকার চেকের সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৩০ জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

;

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন-আরসা গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ।

এসময় আরাসার সন্ত্রাসীদের সাথে এপিবিএনের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এপিবিএন এসময় ১৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পাল্টা গুলি ছুঁড়ে আরসা সদস্যরাও। গোলাগুলির ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, শনিবার (১৮ মে) রাতে ওই এলাকার ক্যাম্প-২০ এর পাহাড়ে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইচ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৪টি মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১টি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, ২টি লম্বা কিরিচ, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১ রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি গুলির খোসা, ২টি কার্তুজের খোসা, হ্যান্ড গ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল ও ২টি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।

অধিনায়ক ইকবাল জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ- হ্যান্ড গ্রেনেডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম রবিবার রাতে ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকস্থ কাটা তার সংলগ্ন পাহাড়ের পেয়ারা বাগানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

;

‘অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার প্রবাসী কর্মীদের আরও উন্নত, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে সব অংশীজনদের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দি প্রজেক্ট লঞ্চিং এন্ড স্টেকহোল্ডার নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ফর দ্য রিইন্টিগেশন অব মাইগ্রান্ড ওয়ার্কার্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় পার্লামেন্টারি ককাস অব মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন তানভীর শাকিল জয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিনানি, আইলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টার তুমো পৌতিয়াইনেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের বিশাল অবদানকে সর্বদা স্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, আমরা তাদের (অভিবাসী কর্মী) থেকে অনেক কিছু নিয়েছি, এখন তাদের কিছু ফেরত দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা ও কাউন্সেলিং দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যাতে সমাজে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করতে পারে, চাকরি খুঁজে পায়, ব্যবসা শুরু করতে পারে এজন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

এ সকল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের দেশে এবং দেশের বাইরে উন্নত সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

;