উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো আ.লীগই টানা তিনবার ক্ষমতায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনএননিউজ১৮ টেলিভিশনে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনএননিউজ১৮ টেলিভিশনে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো আমাদের দলই টানা তৃতীয়বারের মত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। এ জন্য সবার আগে আমি দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা আমাকে ও আমার দলকে ভোট দিয়েছে। এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলেও ১৯৯৬ সালে আমি প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১। যখন থেকে আমরা সরকার গঠন করি তারপর জনগণের উপলব্ধি হয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন একমাত্র তারাই জনগণের জন্য কাজ করে।’

রোববার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম সিএনএননিউজ১৮ টেলিভিশনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারটি সিএনএননিউজ১৮ টেলিভিশনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রচার করা হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য সরকার গঠন করেছে। নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধীপক্ষ ঢালাও অভিযোগ ও সমালোচনা করে আসছে। সাক্ষাৎকারে তাদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা।

সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির সঙ্গে আছে। তারা মিলে জোট করেছে। যদিও জামায়াত নিয়ে আদালতে রায় আছে। জামায়াত বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়, তারপরও বিএনপি তাদেরকে পার্টনার হিসেবে বেছে নিয়ে নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। অবশ্য নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওইসব আসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই যারা আমাদের (সরকারের) সমালোচনা করছে, তাদের এটাও বোঝা উচিত যে; নির্বাচনের সময় বিরোধীরা কী করেছে?’

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাই নয় নির্বাচনের সময় তারা (বিএনপি) সতর্ক ও সক্রিয় ছিল না, কিন্তু কেন সেটা জানি না? অবশ্য বিএনপির জন্য নেতৃত্ব একটা বড় সমস্যা। কেননা যারা আদালতে দোষী, পলাতক তারা যখন কোনো দলের নেতৃত্বে থাকে তখন কেন দেশের জনগণ সেই দলকে ভোট দেবে?

নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যখন এখানে নির্বাচন হয় তখন কী পরিস্থিতি থাকে। আমি এতটুকু বলতে পারি, এবারের নির্বাচনের পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ। হ্যাঁ, কিছু জায়গায় গোলমাল হয়েছে। তবে আমরা চাই না এ ধরনের ঘটনা ঘটুক। কিন্তু সেগুলোও করেছে বিরোধীপক্ষরা। তারা আমাদের দলের লোকদের আক্রমণ করেছে। তারপরও মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোট দিয়েছে। এমনকি নারীরা প্রথমবারের ব্যাপকহারে বেরিয়ে এসে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। যারা সমালোচনা করছে তারা এটা করবে। কিন্তু তাদের এটাও দেখানো উচিত কী খারাপ হয়েছে? তাহলে ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক হব। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ নির্বাচনে জিতলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবে, সেটাই ঠিক করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, নমিনেশন নিয়ে তারা বাণিজ্য করেছে। টাকার বিনিময়ে তারা এমন খারাপ কাজ করেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটা দল; যা জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দল বাংলাদেশের মানুষকে সংগঠিত করেছিল এবং আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সমালোচনা একটা স্বাভাবিক বিষয়। আমাদের দেশের গণমাধ্যম স্বাধীন। যেকেউ যেকোনো কিছু বলতে পারে, আলোচনা করতে পারে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আছে, তারাও সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা কী সেটা তাদের বোঝা উচিত। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমরা অনেক নির্বাচন করেছি অতীতে। ২০০১ সালের নির্বাচন পরিস্থিতি ও ফলাফল যদি আপনি দেখতে চান, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সঙ্গে যদি এবারের নির্বাচন তুলনা করেন তারপর আপনারা বুঝতে পারবেন। তাই যারা সমালোচনা করছেন নির্বাচন নিয়ে তাদের এ দেশের নির্বাচনের ইতিহাস আগে জানতে হবে।

উপমহাদেশের মানুষকে ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার সম্পর্কে খুবই সচেতন। যদি আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনো ভুল করতাম তাহলে মানুষ অবশ্যই আমাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতো না। এ কারণে গত নির্বাচনে বাংলাদেশে ‘এন্টি ইনকাম্বেন্সি’ (ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে থাকা মনোভাব) কাজ করেনি। আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলাম, যা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

   

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা।

তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

এমতাবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

এপ্রিলে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

;

বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। ওই দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই। এসময় গণতন্ত্র মানেই শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও জাতীয় চার নেতার প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।

এসময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, আব্দুল রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপালসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীর সাত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

ওয়া‌শিংট‌নের স্থানীয় সময় বৃহস্প‌তিবার স্টেট ডিপার্ট‌মে‌ন্টের নিয়‌মিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে স্বাধীন ও পৃথক। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে।’

সালমান এফ রহমান বলেন, হোয়াইট হাউস ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে, তবে তা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করছে।

গত সপ্তাহে ৩ দিনের ঢাকা সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে নৈশভোজের পর সালমান বলেন, ‘বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড লু দায়িত্ব পালনের সময় ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখানোর ক্ষেত্রে র‍্যাবের ‘অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছিলেন।

সে সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘র‍্যাবের বিষয়ে আমাদের মধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি এ সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি দেখে থাকেন, তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা র‍্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছি।’

লু আরও বলেন, ‘যা দারুণ কাজ। এতে বুঝা যায়, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে র‍্যাব সন্ত্রাসবিরোধী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।’

;