ভবিষ্যত অর্থনীতিকে চাঙা করার পরিকল্পনা জানালেন অর্থমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করনাকালীন সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশও পথ হারিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। মন্ত্রী জানান, অর্থনীতির এই প্রভাব পড়েছে দেশের রিজার্ভ খাতেও। দেশের ৫০ বিলিয়নের রিজার্ভ কমে বর্তমানে ২০ বিলিয়নে ঠেকেছে। তবে রেমিটেন্সসহ রপ্তানি আয়ে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আসছে বাজেটে বিনিয়োগ, উৎপাদনমুখী ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও চাঙা করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সরকারের বাজেটের আকার ছিল ৬৪ হাজার কোটি টাকা যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায়। আগামী অর্থবছরেও বিনিয়োগ, উৎপাদনমুখী ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক বাজেট ঘোষণা করা হবে।

আট খাতকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবান করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি সহায়ক খাতসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষ করে, ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো খাতসমূহ। যেমন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, বন্দর উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি খাতকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। বিগত ১৫ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বিবিএস এর হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ জিডিপি'র ৩৩.১৫ শতাংশ হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৬.২০ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও চাঙা করার অন্যতম উপায় হলো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ। সরকার ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিও অব্যাহত রেখেছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি'র মোট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা যা ৯.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানান তিনি।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এফডিআই বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প কারখানা স্থাপন ও এ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেজা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সকল সেবা সময়াবদ্ধ ও স্বচ্ছ উপায়ে এবং একটি ডিজিটাল ইন্টার-অপারেবল প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়ার লক্ষ্যে বিডা অনলাইনভিত্তিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টালের কার্যক্রম চালু করেছে। উক্ত পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রায় ১৫০টিরও বেশি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বর্তমানে বিডাসহ ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের ১১৫টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মজগৎ তৈরি করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আইটি ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্প, বিপিও, ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, ফিনটেক, এডুটেক, ইন্টারনেট সার্ভিস খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামের অদূরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর' এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ডাটাবেজের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যতের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুসারে কর্মপ্রত্যাশী ও কর্মসংস্থানকারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলাদের ক্ষুদ্রঋণ-ভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান কার্যক্রমের চলমান ধারা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১০৯টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদা বিবেচনা করে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজার ৬৮০ জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৭ হাজার ৮০০ জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫১টির অধিক স্টার্টআপকে ১ বছর মেয়াদি ইনকিউবেশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আইনি কাঠামো যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কার্যকর অংশগ্রহণ ও দেশের বর্ধিত শিল্প ও সেবাখাতের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমবাজারের চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব করা এবং বৈধপথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের ওপর ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছিল, যা বিগত ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে বর্ধিত করে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, রাজস্ব আয়ে গতি আনার লক্ষ্যে কর নীতি এবং রাজস্ব প্রশাসনে যুগপৎ সংস্কার সাধন করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ জিডিপি’র শতাংশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের পর্যায় থেকে ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণের পাশাপাশি সরকারি ঋণের ব্যয় হ্রাস এবং সার্বিকভাবে ঋণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গৃহীত মোট ঋণের এক চতুর্থাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

   

ভারত থেকে ২০০ বগি কিনতে রেলওয়ের চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০০টি আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ কিনতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মূহুর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই। সময় উল্লেখ থাকলে আমাদের সুবিধা হবে। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারবো। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে। আমাদের আরও বগি লাগবে।

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এরফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভাব হবে।

জানা যায়, প্রকল্পের সময় ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৬। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। এতে করে প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ টাকা। এটি দিবে ইআইবি যা ম্যাটিরিয়াল চার্জ। এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। এই অর্থ দিবে বাংলাদেশ সরকার যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা।

চুক্তি অনুযায়ী সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাসের পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থ্যাৎ ১৬ মাসের মধ্যে রেলওয়ে এই বগিগুলো পাবে।

রেলওয়ে বলছে, বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুতগতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ হিসেবে বলা হয়েছে, ক্যারেজের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা প্রদান, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রুটে রেল পরিচালনা, পুরোনো ও আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া যাত্রী ক্যারেজগুলো প্রতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।

রেলওয়ে নিজস্ব নথিতে স্বীকার করে বলেছে, সারাদেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সাথে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে।

রেলওয়ে আশা করছে, এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তবে এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধার্থে সাহায্য করবে।

;

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে সরকার। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া তিনি ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন।

এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

;

চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে হামিদা বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২০ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামিদা বেগম পহরচান্দা এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের মা। তার স্বামী ওই এলাকার মৃত নাজির হোসেন।

পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই নারী মুদিপণ্য কিনতে মহল্লার একটি দোকানে যাচ্ছিলেন। পথেই একটি বন্য হাতির পালের আক্রমণের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

যৌন হয়রানি, শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল জনতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল জনতা

শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল জনতা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ডুমুরিয়া রুদুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের (৫৪) বিরুদ্ধে।

সোমবার (২০ মে) সকালে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ও এলাকাবাসী এ ঘটনায় বিচার দাবি করে স্কুলটি ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করে জুতার মালা পরিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পাঠনিকোটা গ্রামের অদির ভট্টাচার্যের ছেলে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিভিন্ন সময় ধুমপান করে ক্লাসে ঢুকেন এবং ভুক্তভোগী দ্বিতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন। এসব ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে আসতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত ১৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রী জানায়, শিক্ষক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রায় সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন। বিষয়টি তারা অন্য ম্যাডামদের জানান। পরে ম্যাডামরা ওই ছাত্রীদের অভিযুক্ত শিক্ষক থেকে সতর্ক থাকতেন বলেন।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, আজ সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানালে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;