চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে প্রায় ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান এসব জমি উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর মৌজার বি.এস ৫২৬,৫২৭, ৫২৮ দাগে জমির পরিমান ৩০ শতক, বি.এস ২৮৩ দাগে ১৫ শতক, ২৮৪ দাগে ১৫ শতক, বি. এস ২৭২, ২৭৩, ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৯ ও ২৮০ দাগে ২২ শতক, বি.এস ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭, ৩৪৮, ৩৪৯ দাগে ২৪ শতক, এছাড়া ৩১১ দাগে ৮ শতক ও ৪৯৫ দাগে ৭ শতক জমিসহ মোট ১ একর ২১ শতকসহ মোট মোট ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, অভিযানে মোট ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে খাস জমিগুলো অবৈধ দখলদারদের কাছে ছিল। পরে জমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে জমির তফসিল উল্লেখ করে সীমানা পিলার দ্বারা চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। পাশে কিছু জমিতে ঘরবাড়ি থাকায় আমরাও মানবিক কারণে তাদের উচ্ছেদ করিনি। পরে ঊর্ধ্বতন স্যারদের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শওকত জামান, বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম, সিএমপি কর্ণফুলীর পুলিশের চৌকস টিম।
কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: মনোনয়ন ফরম নিতে পারেনি আওয়ামীপন্থীরা
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ছাত্র জনতার নানা বাধার মুখে মনোনয়ন ফরম কিনতে পারেননি আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে তারা ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি।
জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ সেশনের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তারিখ ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ফরম জমা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এবং যাচাই বাছাইও একই তারিখে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ও আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ফরম সংগ্রহের (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত) শেষ দিনে ছাত্র জনতার নানা বাঁধার মুখে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি আওয়ামীপন্থী কোন আইনবজীবীরা। এছাড়া বিএনপিপন্থী অনেকেও মনোনয়নপত্র কিনতে পারিনি বলে অনেক অভিযোগ আইনজীবীদের। তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে ফরম সংগ্রহের সুযোগ দেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিএনপিপন্থী কয়েক জন আইনজীবী বলেন, একটি প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করানোর জন্য এমনটি করছেন
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগর আহবায়ক মো. আবু রায়হান বলেন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত কোন লোক কোন ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আর এখানে মুখোশ পরে আ.লীগের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিএনপি সেজে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন অথচ তারা আ.লীগ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিটির আহবায়ক এডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কতজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই তার। তবে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সমিতির নির্বাচন কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ফরম বিক্রি করা হয়।
ফরম সংগ্রহ করতে গেলে বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে টাকা জমা দিয়ে ফরম নেয়ার জন্য আসছেন, তাকেই আমরা ফরম দিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের উত্তেজনায় বন্ধ ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাস তল্লাশিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের উত্তেজনার জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে বলা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কলেজের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় তদন্তে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটিতে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা জানায়, নগরের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আবাসিক হলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মজুত করা বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র রয়েছে এবং এখনও কলেজটি ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির নেতারা সোমবার বিকেলে অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে অভিযোগ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অমর একুশে হল ও মুক্তিযোদ্ধা হলে তল্লাশি চালায় কলেজের ক্যাম্পাস প্রশাসনের নিরাপত্তা কমিটি। এসময় মুক্তিযোদ্ধা হল থেকে রামদা, হকিস্টিক, লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র জব্ধ করা হয়। এসময় ছাত্রদের একটি পক্ষ তল্লাশি কার্যক্রমে বাধা দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের কলেজে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এমন খবরে সংগঠনের আরও নেতাকর্মীরা কলেজের সামনের সড়কে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। উদ্ধুত পরিস্থিতিতে রাতেই কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় কলেজ প্রশাসন।
গতকাল রাতে কলেজ প্রশাসন ঘঠনা তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন কারীরা কলেজের সামনে থেকে সরে যান। আজ একাডেমিক ও প্রশাসনকি কাউন্সিলের সভায় পুরো ঘটনা ও অভিযোগের বিষয় তদন্তে জেনারেল সাইন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যপক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাত্রবাসে তল্লাশি চালাতে গেলে যাদের কক্ষ তল্লাশি চালানো হয় তারা বিষয়টি ভালোভাবে না নেওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়। সামগ্রীক বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফেনী জেলা ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে শহরের শহিদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। এর কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে শহরের বড় মসজিদ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড হয়ে মডেল থানা ঘুরে খেজুর চত্ত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘গুপ্তচরের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও ’ ‘গুপ্তচরের সন্ত্রাসীরা হুশিয়ার সাবধান, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’সহ নানা স্লোগানে এ বিক্ষোভ করেন।
এর আগে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষার্থী সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম।
কুয়েটে হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
এসময় শিক্ষার্থীরা 'কুয়েটে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই', আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই,ছাত্রদলের কালোহাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও,রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়। কুয়েট তোমার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই, সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম' দালালী না রাজপথ, রাজপথ-রাজপথ' কুয়েটে হামলা করে ইন্টেরিয়েম কি করে' এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর অন্যতম সংগঠক আব্দুল কাইয়ুম সোহাগ বলেন, একটি ফ্যাসিবাদ দোসরের পতনের পরে বিগত সময়ে ছাত্রলীগ যেভাবে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের উপর অত্যাচার দেখতে পেয়েছি সে কায়দায় সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এত প্রাণ জরিয়েছি নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য, কিন্তু এখনও সে আগের রুপ দেখা যাচ্ছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নাদের চৌধুরী বলেন, ছাত্রদল হোক আর যে হোক যারা ফ্যাসিবাদের কায়দায় আবির্ভাব হবে তাদের রুখে দেয়া হবে। ছাত্র ভাইদের উপর হামলার বিচার না করা হলে সরকারকেও এর জবাব দিতে হবে।
ছাত্রদলের সমাবেশে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জিত হলেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার গুপ্তচর সংগঠন ছাত্রলীগ সেই ধারাবাহিকতায় আজও তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল যখন তারেক রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয়তাবাদের বার্তা নিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই গুপ্তবাহিনী হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলারকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তারেক রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রদল বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ছাত্রদলের মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল, সাইফুল ইসলাম জিকু, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা এবং কুপিয়ে জখম করার মামলায় কবির হোসেন সিকদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার আসামি কবির রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।
২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মুলাদী উপজেলার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে, কবিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ছাত্রী চিৎকার করলে তার মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কবিরসহ পাঁচজনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ কেবল কবিরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত কবির হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এই রায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের কার্যকর প্রয়োগের প্রতিফলন ঘটেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।