ধর্মীয় অপপ্রচার মোকাবিলায় ওলামা লীগকে পাশে চায় আ.লীগ



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের বিরুদ্ধে ওঠা যেকোনো ধর্মীয় অপবাদ ও অপপ্রচার মোকাবিলায় ওলামা লীগকে পাশে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। তবে কাছে টানলেও বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাপারে সজাগ দলটি। আগের মতো যেন কোন বিতর্কিত কাণ্ডে না জড়ায় বা কোন বেফাঁস মন্তব্য না করে, সে জন্য বার বার সতর্ক করা হয়েছে সংগঠনটির নতুন কমিটিকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত ওলামা লীগকে সক্রিয় করে আওয়ামী লীগ। আগের বিতর্কিত নেতৃত্ব বাদ দিয়ে নতুন নেতাদের মাধ্যমে সম্মেলন করে কমিটি দেয় ক্ষমতাসীন দলটি। গত বছর ২০ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সংগঠনটির প্রথম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত হয়ে তাদের এ স্বীকৃতি প্রদান করেন। তখন ওলামা লীগকে সংগঠিত করতে কাজ করেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

সম্মেলনের প্রায় এক মাস পর ১৫ জুন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে সভাপতি করা হয় মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজীকে, আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় মো. আমিনুল হককে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সে কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ওলামা লীগকে সমর্থন দেওয়ার পিছনে একটাই কারণ, ধর্মীয় কোন বিদ্বেষ যেন কেউ আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ছড়াতে না পারে। ক্ষমতাসীন দলটি চায়, তাদের পাশেও আলেম-ওলামাদের একটি অংশ থাকুক। যারা কেউ বিদ্বেষ ছড়াতে চাইলে তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবে।

সূত্রটি জানায়, আওয়ামী লীগকে বিরোধী দলগুলো সবসময় মুসলিম বিদ্বেষী বলে তুলে ধরতে চায়। যার অতীত উদাহরণ অনেক আছে। বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদগুলো সব মন্দির হয়ে যাবে, মসজিদে আযানের পরিবর্তে উলুধ্বনি হবে। আরও নানান ধর্মীয় অপপ্রচার চালানো হয়েছে। যদি ওলামা লীগের ছায়াতলে আলেম-ওলামারা থাকেন, তাহলে তার উত্তর দেওয়া সহজ হবে।

নতুন প্রত্যাশায়, আওয়ামী লীগের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কমিটি গঠন হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি দলটির। নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পরপরই আবারও বিভক্তির মুখে পড়ে সংগঠনটি। চলে অভিযোগ পালটা অভিযোগ।

সেসময় নতুন কমিটির ১৬ জনসহ মোট ৭১ জন নেতা বিবৃতি দিয়ে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ তুলেন। বিবৃতিতে নেতারা দাবি করেন, কমিটিতে বিতর্কিতদের পদায়ন করা হয়েছে, পুরাতন নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ আমলে নেয়নি আওয়ামী লীগ। ঘোষিত কমিটির প্রতিই সমর্থন বজায় রাখে দলটি। ফলে বিদ্রোহীরা চেষ্টা করলেও এগোতে পারেনি বেশিদূর।

এরইমধ্যে ওলামা লীগ প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয় গত ২০ মে। গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সতর্ক করেন নেতাকর্মীদের। তিনি বলেন, 'ওলামা লীগে চাঁদাবাজের স্থান নেই। ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে।'

এসময় তিনি দলটির নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'ওলামা লীগের ইতিহাস আমাদের জন্য খুব সুখকর। অতীতে যা দেখেছি কারও সঙ্গে কারো মিল নাই। নেতায়-নেতায় বিভেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ এমন উচ্চারণ করবে এটা আমি আশা করি না। নেতায়-নেতায় বিভেদ আর চাই না। সত্যিকারের আলেম-ওলামা দিয়ে সংগঠন করতে হবে। কোন টাউট বাটপার যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।'

ওলামা লীগ নিয়ে যত বিতর্ক

ওলামা লীগ নিজেদের ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বলে দাবি করলেও আওয়ামী লীগ কখনো সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম বা সমমনা দল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বরং নানা সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর ফলে বরাবরই তাদের অস্বীকার করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি বিপিএল নিষিদ্ধ করা, সংখ্যালঘু আইন না করা ও দেশের সব এনজিও বন্ধসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। পরে একইদিন তখনকার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায়, ওলামা লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই।

এর আগে ২০১৭ সালের ২২ মে ওলামা লীগের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তৎকালীন ধর্মবিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছিলেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ওলামা লীগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। ইসলামি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে একটি নতুন সংগঠন গঠনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে আলোচনা হলেও নতুন সংগঠনের উদ্যোগ সে সময় আর বেশি দূর এগোয়নি।

এছাড়াও দলটি বিভিন্ন সময় মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ, ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নসহ শিক্ষা আইন বাতিলের মতো দাবি তুলে। যা নানা সমালোচনার জন্ম দেয়। বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় আওয়ামী লীগকেও। ফলে বরাবরই ওলামা লীগকে নিজেদের সহযোগী বা সমমনা দল হিসেবেও স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় আওয়ামী লীগ।

শুধু এটুকুতেই থেমে থাকেনি ওলামা লীগ বরং আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল সংগঠনটির পক্ষে থেকে পহেলা বৈশাখ পালন বন্ধ করার দাবি করা হয়। সেই সাথে পহেলা বৈশাখকে অপসংস্কৃতি আখ্যা দিয়ে দিবসটিতে রাষ্ট্রীয় সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছিল।

ওলামা লীগের আওয়ামী লীগে প্রবেশ

আওয়ামী লীগ ২০১৯ সালে ওলামা লীগকে নিজেদের সহযোগী সংগঠন বলে অস্বীকৃতি জানালেও এরপর থেকেই দলটির নতুন নেতৃত্ব ও কিছু উচ্চাবিলাসী নেতা যোগাযোগ বাড়ায় তখনকার দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সাথে। সেই অস্বীকৃতিই যেন পাথেয় হয় প্রায় ৫০ বছরের অস্বীকৃতির বঞ্চনা গোছানোর। পায় হাই কমান্ডের সবুজ ইঙ্গিত। তবে শর্ত একটাই, কোন বিভক্তি রাখা যাবে না দলে, অনুসরণ করতে হবে আওয়ামী লীগের মূল নীতিকে।

সেই শর্ত মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ওলামা লীগ। সেই সব বৈঠকে মূল সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। বিভক্তি থেকে বের হয়ে সংগঠিত হওয়া ও আওয়ামী লীগের মূল নীতি মেনে চলা সাপেক্ষে ওলামা লীগের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও। ফলে বিতর্কিত নেতৃত্বের বিপরীতে নতুন নেতৃত্বের খোঁজে নামে আওয়ামী লীগ।

মূলত আজকের ওলামা লীগের স্বীকৃতি পাওয়ার পিছনে নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করেন দলটির তখনকার দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। সংগঠনকে বিভক্তি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেন। বের করে আনেন নতুন নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন তিনি। ফলে দ্বাদশ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ২০ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে উপস্থিত থেকে দলটির সম্মেলন করেন। বেছে নেন নতুন নেতৃত্ব। মৌখিকভাবে স্বীকৃতি দেন সমমনা দল হিসেবে।

মৌখিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও সহযোগী না ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি আওয়ামী লীগ। তাই বর্তমানে মৌখিক স্বীকৃতিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ওলামা লীগকে। এনিয়ে সংগঠনের সভাপতি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের এখনো কোন লেভেল দেওয়া হয়নি, আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কাজ করে যাওয়ার জন্য। আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে মাত্র, আমাদের সহযোগী না ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন করবেন এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো জানেন।

নতুন করে কমিটি গঠন করতে না করতেই বিভক্তি দেখা দিয়েছে, নতুন করে আরেকটি পক্ষ কমিটি গঠন করেছে, এ-নিয়ে জানতে চাইলে ওলামা লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের অন্য কোন কমিটি নেই। আমাদের কমিটিকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়ে দিছেন।

নতুন কমিটির একবছর পূর্তি পালন করলেও এখনো কোন নির্দিষ্ট অফিস নেই ক্ষমতাসীনদের সহযোগী এই সংগঠনটির। এক বছরেও কেন কোন অফিস নেই জানতে চাইলে ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, অফিস নিলে তো অনেক অফিসই নেওয়া যায়, কিন্তু আমরা চাচ্ছি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) সামনে অফিস নিতে।

ইতিহাসে ওলামা লীগ

ওলামা লীগকে আওয়ামী লীগ নানান সময়ে অস্বীকার করলেও ১৯৬৯ সাল থেকেই দলটি আওয়ামী লীগের সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গঠন হয় সংগঠনটি। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করলে পাকিস্তানি আলেমরা এর বিরোধিতা করেন। সে সময় মাওলানা শেখ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বিন সায়ীদ জালালাবাদী (জালালাবাদী হুজুর) পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) অংশে এই ছয় দফাকে সমর্থন জানান। পরে বঙ্গবন্ধু তাকে ছয় দফার পক্ষে জনমত গঠনের কথা বললে তিনি মাওলানা ওলিউর রহমান, মাওলানা বেলায়েত হোসেনসহ কয়েকজনকে নিয়ে ‘শরিয়তের দৃষ্টিতে ছয় দফা’ নামে প্রচারণায় নামেন। এরপর ১৯৬৯ সালে তারা আওয়ামী ওলামা পার্টি গঠন করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর থমকে যায় সংগঠনটির কার্যক্রম। সে সময় নানা বিভক্তিও আসে। ধীরে ধীরে সংগঠনটির সব রকম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুক্ত হতে শুরু করে আওয়ামী ওলামা লীগ। ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকে নিজেদের কার্যক্রম। এমনকি ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত নানা আন্দোলন কর্মসূচিতে তারা সক্রিয় ছিল। তবে এরপর আবার শুরু হয় বিভক্তি। দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তারা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকে ওলামা লীগের সঙ্গে দূরত্ব শুরু হয়। পরে বিভক্তি, নেতায়-নেতায় বিভেদ ও নানা বিতর্কিত কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে। তবে সে অবস্থা থেকে বের করে এনে এখন আওয়ামী লীগের মতাদর্শে ঐক্যমত পোষণ করার ভিত্তিতে আবারও নিজেদের করে নিয়েছে।

ওলামা লীগ একটি সাম্প্রদায়িক দল ও আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক। অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগের কেন সাম্প্রদায়িক ওলামা লীগের প্রয়োজন, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা বার্তা২৪.কমকে বলেন, এটা আমার ব্যাপার নয়, এটার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন একমাত্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব। ইনারাই করছেন, ইনারাই জানেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। আমি সকল ধর্মের জন্যই সহায়ক হিসেবে কাজ করি। সবাই যেন সঠিকভাবে ধর্ম পালন করতে পারে, সেখানে যদি দলের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা দিতে হয় সেই কাজটা আমি করি। এর বাইরে কিছু নয়।

   

খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট
খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট

খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন ঈদের আনন্দে মেতেছে মানুষ, ঠিক তখন অঝোর বৃষ্টির পানিতে ভাসছেন সিলেটবাসী। এতে ম্লান হয়ে গেছে মানুষের ঈদ আনন্দ। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে অনেক-বাসা বাড়িতে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। অনেক স্থানে কোরবানি দিতে পারছেন না কোরবানি দাতারা। কারণ পানিতে বাসা-বাড়ির সামনে থৈ থৈ করছে। কোনো কোনো এলাকায় কোরবানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে মঙ্গলবার কোরবানি দেয়া হয়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রোববার (১৬জুন) মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সোমবার(১৭জুন) ঈদের দিন ভোরের মধ্যেই সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকায় দেখা জলাবদ্ধতা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক তলিয়েছে পানিতে। এ অবস্থায় বেশিরভাগ ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত বাতিল করে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সেখানেও মুসল্লিদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।

সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শাহী ঈদগাহ ময়দানে। বৃষ্টিতে ভিজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এই ঈদগাহে প্রতি বছর ১ থেকে দেড় লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটলেও এবার বৃষ্টির কারণে মুসল্লি ছিলেন মাত্র কয়েক হাজার।

এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাসবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পনি ঢুকে পড়ে। ফলে সিলেট নগরীর কোরবানিদাতারা পড়েছেন বেশ বিপাকে। অনেকে পশু দোতলায় উঠিয়ে রেখেছেন। পানি না নামলে কোরবানি দিতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ এক বাসা থেকে অন্য বাসায় নিয়ে রাখছেন তাদের কোরবানির পশু। তারা বলছেন, পানি না কমলে এক-দুই দিন পরে কোরবানি দিতে
হবে।

সোমবার(১৭জুন) সকালে সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ নিচু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর এলাকায় পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচ তলায় কোমর পর্যন্ত পানি। লালাদীঘিরপাড়, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো স্থানে কোমর পর্যন্ত পানি দেখা গেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোবার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত) সিলেটে ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সোমবার সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, ঈদের দিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সিলেটে তিনটি নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৯টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পুরো জেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ জন মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ জন। জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৫৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। আশ্রয় নিয়েছেন ৬৮ জন। এরমধ্যে ওসমানী নগরে ৪৩ জন, বালাগঞ্জে ১০জন ও বিয়ানীবাজারে ১৫জন আশ্রয় নিয়েছেন।

নগরীতে জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি সিলেটেও বৃষ্টি হচ্ছে ফলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ছড়াগুলো উপচে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি থামলেই এসব পানি নেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমাদের লোকজন ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রতিদিন।কিন্তু বাসা-বাড়ি ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেন অনেকেই।ফলে পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে এব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন তাদের প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

;

চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ



md.nazrul
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যে চামড়া কিনেছেন তার চেয়েও কমে বিক্রির অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের দাবি, কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে চামড়া কিনছেন।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে এই অভিযোগ করেন।

মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় আবু বকর মাদ্রাসার সংগ্রহ করা চামড়া নিয়ে এসেছেন খাদেম মোখসুর রহমান। তিনি বার্তা২৪. কমকে বলেন, এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ির মালিকরা তাদের কোরবানির পশুর চামড়া মাদ্রাসায় দান করেছেন। সরকার বলছে দাম নূন্যতম ১২০০ টাকা। কিন্তু এখানে এসে বিক্রি করতে হয়েছে ৬৫০ টাকায়।

মাদ্রাসার এই খাদেমের মত অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া। তিনি পান্থপথ কাঠাল বাগান এলাকা থেকে ২৯টি গরুর চামড়া কিনেছেন। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এলাকায় চামড়া আকারভেদে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। ভ্যান ভাড়াসহ একেকটা চামড়ার দাম পড়েছে গড়ে ৮০০ টাকা। এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে ছোট চামড়া দাম ৭০০ টাকা।

চামড়া কিনতে আসা এপেক্স ট্যানারির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে চামড়া কিনে এখন আমাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে তিনি বলেন, সরকার লবণ জাত চামড়ার সর্বোচ্চ দাম দিয়েছেন ১২০০ টাকা। সর্বনিম্ন দিয়েছেন ১০০০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এটা না বুঝে কাঁচা চামড়ার দাম বেশি চাচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা।

;

২৪ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে করা হবে: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে উৎপন্ন সৃষ্ট বর্জ্যের আনুষ্ঠানিক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করার সময়ে তিনি একথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত রাত থেকেই হাট গুলো থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং এই কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবো।

মেয়র আরও বলেন, দুপুর ২টার আগেই দক্ষিণ সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড হতে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের নতুন কিছু সরঞ্জাম যোগ হওয়ার কারণে আমরা অনেক দ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো।

ডিএসসিসির এলাকা গুলো পরিষ্কার করার পরেও কাউন্সিলরদেরকে পুরো এলাকা ভালোভাবে ঘুরে দেখার আহবান জানিয়েছেন মেয়র।

এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। তারা বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে যাচ্ছি। অতিদ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে।

বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেজন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে তিনটি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

;

রাজধানীতে বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় রাজধানীর দুই সিটিতে কয়েক লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। পশু জবাই ও কাটা-কাটিতে সৃষ্ট বর্জ্য পরিষ্কারে কাজ করছেন কয়েক হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী। সকাল থেকে মাঠে রয়েছেন তারা।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল সাতটা থেকে রাজধানীতে পশু কোরবানি শুরু হয়। এরপর থেকে মাঠে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। সঙ্গে থাকে আধুনিক ভেকু ও ট্রাক। ফলে দ্রুতই সরে যাচ্ছে বর্জ্য।

আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঈদের দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে অনুভূত হচ্ছে ৪৪ ডিগ্রী পর্যন্ত। তীব্র গরম উপেক্ষা করে সিটি করপোরেশনের হাজারো পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একাংশ ঝাড়ু দিয়ে সড়কের ময়লা একত্রিত করে নিচ্ছেন। আরেক দল একত্রিত করা ময়লা সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আরেকটি দল শুধু কুরবানির পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। সব কিছু এক জায়গায় নিয়ে আসার পর বড় গাড়ির মাধ্যমে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডাম্পিং স্টেশনে।

ভেকু দিয়ে সরানো হচ্ছে কুরবানির বর্জ্য

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন মোহাম্মদ সবুজ। তিনি বলেন, 'আমরা সকাল থেকেই কাজ করতাছি। দুপুরের আগে সব ময়লা ক্লিয়ার করমু। গরম অনেক, একটু কষ্ট তো হইতাছে।'

একই তথ্য জানিয়েছেন আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, 'গরমে কাজ করার অভ্যাস আমগো আছে। আজকে তো তাড়াতাড়ি কাজ শ্যাষ করা লাগবো। স্যাররা আগেই কইয়া দিছে। সব ঈদেই এমন হয়।'

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ঈদের দিনের মতো ঈদের পর আরও দুইদিন একইভাবে ঘাম ঝড়াতে হবে তাদের। কারণ রাজধানীতে টানা তিনদিন পশু কুরবানি হয়। তবে মূল চাপটা আজই।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টায় নয় মাত্র ৬ ঘণ্টায় তার সিটির অলিগলিসহ সকল সড়ক পরিষ্কার করা হবে। নতুন সময় বেঁধে না দিলেও পূর্ব নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ সিটির কোরবানি বর্জ্য পরিষ্কারের কথা জানিয়েছেন মেয়র ফজলে নুর তাপস।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদে দুই সিটি করপোরেশন ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আর হাজারের উপর যানবাহন ও যন্ত্রপাতি। এ জন্য কেনা হয়েছে নতুন নতুন যন্ত্রও।

;