সিলেটবাসীর নির্ঘুম রাত, ফের বাড়ল বন্যার পানি
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jun/03/1717386306294.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
আগের দিনের বিকেলটাও ছিল রৌদ্রজ্জ্বল। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় থৈ থৈ পানি থাকলেও কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি দেখা গিয়েছিল নগরবাসীর চোখে। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রোববার(২ জুন) সন্ধ্যার আগ মুহুর্তের ঝটিকা বৃষ্টিতে ফের বাজলো বিপদের ঘণ্টা, পানিবন্দি হল ঘর-বাড়ি।
রোববার রাত ১২টার দিকে সিলেটে অতিবৃষ্টি শুরু হয়। টানা ৬ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের কারণে নিদ্রাহীন রাত কাটে সিলেটবাসীর। বিশেষ করে বন্যা-প্লাবিত উপজেলাগুলো ও নগরীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
টানা ৬ ঘন্টার বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৮টি উপজেলায় পানি বাড়ার পাশাপাশি সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট উপচে পানি ঢুকে পড়েছে বাসা-বাড়িতে।
![](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&quality=75&path=uploads/news/2024/Jun/03/1717386484171.jpg)
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর মিরের ময়দান পায়রা, দরগাহ, মিরাবাজার, তালতলা, মাছুদিঘীরপার, জামতলা, তোপখানা, কাজির বাজার, যতপুর, তেররতন, উপশহর, সোবহানীঘাট, শেখঘাট, লালদীঘির পাড়সহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নগরীতে বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়া ও নির্ঘুম রাত কাটানো নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সিলেটের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন যেন সিলেটের সুরমা নদী এবং নদীর পাশের ছড়া ও খাল খনন করে দেওয়া হয়।
সিলেট নগরীর মিরের ময়দান পায়রা এলাকার বাসিন্দা মো. আজমল আলী তার ফেসবুক আইডিতে মেয়র ও এমপিকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘নগরবাসীর দাবি একটাই, সুরমা নদী খনন চাই। সুরমা নদী খনন করুন, বন্যা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করুন।’
মডেল আশফাক রানা লিখেন, এই মুহূর্তে সিলেট শহরের অবস্থা খুবই নাজেহাল ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বৃষ্টি না থামলে ২০২২ সালের মতো আবার বন্যা দেখা দিতে পারে।
এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন লিখেন, ‘আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটছে সিলেটবাসীর। প্রথমে রাত ১ টায়, পরে ৩ টা ৫০-দুইবার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সবকিছু, পানি বাড়ছেই।’
নগরীর তালতলার বাসিন্দা রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, ২০২২ সালের পরে ঘরে আবারও পানি ঢুকল। পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি। বন্যার আগে যদি নদী, ছড়া, খাল, বিল খনন করা হত তাহলে নগরীতে পানি ঢুকত না।
এর আগে রোববার সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। বেশ কিছু স্থানে কমে এসেছিল পানি। কিন্তু রাতে বৃষ্টিতে ফের নগরীতে পানি বেড়েছে।