রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর সেখান থেকে কেএনএফের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) সকালে রুমা উপজেলার দুর্গম জোরভারাং পাড়ার কাছ থেকে কেএনএফের ইউনিফর্ম পরা মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত কেএনএফের সদস্যের নাম ভান লাল থিয়ান বম (৩০), তার বাড়ি জোরভারাং পাড়ায়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি দল রুমার পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারং পাড়ায় অভিযান চালালে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কয়েকজন ঝিরির নিচে পড়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা তল্মরদেহি চালিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পান।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজেমী জানান, রুমা উপজেলা থেকে একটি মরদেহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এই মরদেহের সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এপর্যন্ত মোট ৯৫ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৯৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৪ জন নিহত হয়েছে।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।