খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট
খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট

খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন ঈদের আনন্দে মেতেছে মানুষ, ঠিক তখন অঝোর বৃষ্টির পানিতে ভাসছেন সিলেটবাসী। এতে ম্লান হয়ে গেছে মানুষের ঈদ আনন্দ। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে অনেক-বাসা বাড়িতে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। এতে অনেক স্থানে কোরবানি দিতে পারছেন না স্থানীয়রা।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন কোনো কোনো এলাকায় কোরবানি দেয়া সম্ভব না হওয়ায় মঙ্গলবার কোরবানি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রোববার (১৬জুন) মধ্যরাত থেকে ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ঈদের দিন ভোরেই সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক তলিয়েছে পানিতে। এ অবস্থায় বেশিরভাগ ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত বাতিল করে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সেখানেও মুসল্লিদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।

সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শাহী ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এই ঈদগাহে প্রতি বছর ১ থেকে দেড় লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটলেও এবার বৃষ্টির কারণে মুসল্লি ছিলেন মাত্র কয়েক হাজার।

এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাসবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে সিলেট নগরীর কোরবানিদাতারা পড়েছেন বেশ বিপাকে। অনেকে পশু বাড়ির দোতলায় উঠিয়ে রেখেছেন। পানি না নামলে কোরবানি দিতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ এক বাসা থেকে অন্য বাসায় নিয়ে রাখছেন তাদের কোরবানির পশু। তারা বলছেন, পানি না কমলে এক-দুই দিন পরে কোরবানি দিতে হবে।

সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ নিচু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর এলাকায় পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচ তলায় কোমর পর্যন্ত পানি। লালাদীঘিরপাড়, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো স্থানে কোমর পর্যন্ত পানি দেখা গেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোবার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত) সিলেটে ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সোমবার সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, ঈদের দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেটে তিনটি নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৯টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পুরো জেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ জন মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ জন। জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৫৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। আশ্রয় নিয়েছেন ৬৮ জন। এরমধ্যে ওসমানী নগরে ৪৩ জন, বালাগঞ্জে ১০জন ও বিয়ানীবাজারে ১৫জন আশ্রয় নিয়েছেন।

নগরীতে জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি সিলেটেও বৃষ্টি হচ্ছে ফলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ছড়াগুলো উপচে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি থামলেই এসব পানি নেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমাদের লোকজন ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রতিদিন। কিন্তু বাসা-বাড়ি ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেন অনেকেই। ফলে পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন তাদের প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

   

রাজশাহীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হওয়া আ.লীগ নেতা বাবুল নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
আশরাফুল ইসলাম বাবুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

আশরাফুল ইসলাম বাবুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় তার মৃত্যু ঘোষণা করেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

এর আগে, গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করার সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হন।

;

‘দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে সরকার।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পার্থক্য না বুঝে, না পড়েই মন্তব্য করছেন। কারণে-অকারণে সরকারের বিরোধিতা করাই তাদের কাজ।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে সহায়তা করেছে, তাদের সৈনিকরা যেভাবে জীবন দিয়েছে, আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে, তাতে তাদের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, তা অবিচ্ছেদ্য।

তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো, তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া নিজেই বলেছেন যে তিনি ভারতে গিয়ে গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন আর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গা চুক্তি করেছেন বিধায় আমরা পানি পাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, তার ফলেই আমরা নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে পারছি, ভুটানের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সম্পর্কের কারণেই এ বছর কোরবানির আগে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।

এ সময় ভারতের সঙ্গে 'কানেক্টিভিটি' নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ বিদ্যমান। ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর সাথে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।

;

হালদায় ভেসে উঠল ১০ কেজি ওজনের মরা মা মাছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর রাউজান অংশে ১০ কেজি ওজনের একটি রুই জাতীয় মা মাছ মরে ভেসে উঠেছে। গবেষকের ধারণা মাছটিকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরের দিকে রাউজান উপজেলার উরকিরচর বাকর আলী চৌধুরীঘাট অংশে হালদা নদীতে এ মরা মা মাছ ভেসে উঠে। এর আগে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওছার আলম বলেন, স্থানীয়রা মা মাছটি দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হই। মাছটি পচে যাওয়ায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল তাই দ্রুত মাটি চাপা দিয়েছি। গত কয়েক দিন আগেও ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মা মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।

তবে মাছটিতে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে বলে ধারণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

তিনি বলেন, হালদায় মা মাছ ভেসে উঠলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। কারণ কিভাবে এ মাছ মারা গেছে সেটি গবেষণা করে দেখার একটি বিষয় থাকে। মা মাছটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি বিষক্রিয়ার মাধ্যমে মারা হয়েছে।

;

আবারও মিয়ানমারে বিস্ফোরণ, প্রকম্পিত টেকনাফ সীমান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হচ্ছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের মাত্রা বিকেল থেকে বাড়ে। যেটি সারারাত অব্যাহত থাকে।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সীমান্তে বসবাস করা লোকজন জানান, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুসিত বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন দেওয়া বাড়িঘরের অধিকাংশের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিকেরা। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড। গোয়েন্দা নজরদারি, টহলও বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফের শেষ প্রান্ত শাহপরীর দ্বীপের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা এস এফ কাদের বলেন, গোলাগুলি, বিস্ফোরণের শব্দ এতই বিকট যে আমি মনে করেছি আমাদের ঘরে এসে পড়েছে। খুবই ভয়ে আছি।


মোহাম্মদ তারেক নামের আরেকজন বলেন, খুব ভয়াবহ অবস্থা ভাই। হাত পা শিউরে উঠছে ভয়ে। এই ভেবে যে, আমাদের এদিকে এসে পড়তেছে কিনা।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক জসিম মাহামুদ বলেন, মিয়ানমারে বিস্ফোরণে কাঁপছে শাহপরীর দ্বীপ। মিয়ানমারের সংঘাত হওয়ার পর থেমে এমন বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারের আওয়াজগুলো খুবই মারাত্মক ছিল, কোনভাবে রাতে ঘুমানো যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারারাত গোলাগুলি হয়েছে আমরা শুনেছি। গত ৬ মাসের মধ্যে কালকের গোলাগুলির শব্দ অনেক তীব্র ছিল।

এদিকে রাখাইন রাজ্যের সংঘাতের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। কিছু রোহিঙ্গা এপারে পার হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এবিষয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, অনুপ্রবেশের বিষয়টি বিজিবি এবং কোস্টগার্ড দেখেন। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে একটা রোহিঙ্গাও অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন রিপোর্ট বিজিবি বা কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে করা হয়নি। যদি অনুপ্রবেশ করেও থাকে তাহলে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে তাদের।

;