১৫ লাখ টাকার ছাগল কাণ্ড

সাদিক এগ্রোর ১৫ লাখ টাকার ছাগল কাণ্ড: কে এই মুশফিক ইফাত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দু’দিন আগে উদযাপিত কোরবানি ঈদে কোটি টাকার গরু ও ১৫ লাখ টাকায় ছাগল বিক্রির ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়ে সাদিক এগ্রো।

কোটি টাকার গরুর ক্রেতার নাম প্রকাশ না পেলেও ছাগলের ক্রেতার পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। আর এতেই একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনায় শুরু হয় বিতর্ক।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বড় ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত।

তবে এই বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢালেন ইফাতের বাবা মতিউর রহমান নিজেই। তিনি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ‘ইফাত’ নামে তার কোনো ছেলে নেই! এমনকী আত্মীয় বা পরিচিতও নয় সে। তার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান।

তিনি আরো দাবি করেন, তার ছবি ও নাম সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রত হয়েছেন তিনি। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছেন এই সরকারি কর্মকর্তা।

তবে বার্তা২৪.কমের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ছাগল কাণ্ডে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বড় ছেলে। ইফাতসহ তিন ভাই-বোন তারা। 

রাজধানীর ধানমণ্ডি ৮ নম্বরে নিজস্ব বাড়ি রয়েছে তাদের। এছাড়া ইফাতের পরিবার রাজধানীর রমনা থানার সেগুনবাগিচা এলাকায় সরকারি বাসায় থাকে। ইফাত নটরডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছেন।

ইফাতের পরিবারের সবাই বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। ধানমণ্ডির বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছেন। তাদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


তবে ইফাতের এক ঘনিষ্ঠ এক স্বজন জানিয়েছেন, সাদিক এগ্রোতে ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে ইফাত নিজেই পরিবারের তোপের মুখে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। ঈদের আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ইফাত।

ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিও’র বিষয়ে ইফাত বার্তা২৪.কমের কাছে দাবি করেন, পূর্ব পরিচিত ইমরানের সাদিক এগ্রোতে কোরবানির পশু দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ইমরান তাকে ক্রেতা সাজিয়ে ছবি তুলতে অনুরোধ করেন। সেই সময়ে তিনি একটি ভিডিওতেও কথা বলেন।

ইফাত বলেন, ‘এই বিষয়টা নিয়ে বাসা থেকে আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমার পরিবারকে ছোট হতে হয়েছে। আসলে আমার একটা ভুলের কারণেই এটা হয়েছে’!