সিলেটে এক সপ্তাহ সাপের কামড়ে আহত ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতিতে তিন উপজেলায় এক সপ্তাহে বিভিন্ন ধরণের সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইঘাট এবং জৈন্তাপুর এই তিনি উপজেলাতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিলো। সাপের উপদ্রবও এই তিন উপজেলাতে বেশি ছিলো বলে জানা যায়।

তবে সিলেটে এখন পর্যন্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগী পাওয়া যায়নি।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুন থেকে শনিবার পর্যন্ত ১২ জন রোগী বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে এসে ভর্তি হন। এরমধ্যে ১১ জন রোগীই বিষধর সাপের কামড়ের ছিলেন না। তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

জৈন্তাপুর থেকে একজনকে কোবরা সাপের কামড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ২০ তারিখে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে আইসিউতে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.সৌমিত্র চক্রবর্তী।

শনিবার রাতে বার্তা২৪.কম'র সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সিলেটে রাসেল ভাইপার সাপ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বা নেই। বন্যার সময় বিভিন্ন ধরনের সাপের কামড়ে ১২ জন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাদের প্রত্যেক অ্যান্টিভেনম ডোজ দেয়া হয়েছে। সবাই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

তিনি আরও বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার একজন কোবরা সাপের কামড়ে আহত হয়েছিলেন তাকে অ্যান্টিভেনম ডাবল ডোজ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি গুরুতর আহত হওয়ায় আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।

ডা.সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, বন্যায় বিভিন্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। তবে, এখনো রাসেল ভাইপার সাপ সিলেটে নেই তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। সাপে কামড় দিলে রোগীকে সাথে সাথে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। আমাদের ওসমানী মেডিকেলসহ সিলেটের সবকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাপে কামড় রোগীর চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত।

চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হামকো কর্পোরেশন নামে একটি ঢাকার প্রতিষ্ঠান ওয়াটার পিউরিফায়ার আমদানির ঘোষণায় আনা কনটেইনার ভর্তি বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।       

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কাস্টমস কর্মকর্তারা ওই কন্টেইনারে তল্লাশি চালিয়ে এসবে সিগারেট জব্দ করেছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, হামকো কর্পোরেশন লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান ওয়াটার পিউরিফায়ার আমদানি করা একটি ২০ ফুটের কন্টেইনার বুধবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ওই কন্টেইনারটি তল্লাশি করা হয়। কাস্টমসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) শাখা কায়িক পরীক্ষায় ২ হাজার ৫০০ কার্টুন মন্ড সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া ২৫০টি প্যাকেজে ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট উদ্ধার করে তা আটক করা হয়েছে। আপেল ও স্ট্রবেরি ফ্লেভারের মন্ড সিগারেটগুলো ওয়াটার পিউরিফায়ারের নামে আমদানি করার চেষ্টা করছিলে তারা। 

ঢাকার ওই প্রতিষ্ঠানটি দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড থেকে এলসি নিয়ে ব্যাংককের এশিয়ান গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনে। 'KOTAANGGUN' নামে একটি ভ্যাসেলে কন্টেইনারটি আনা হয়েছে। 

রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (ডিসি) এ কে এম খায়রুল বাশার জানান, আটক কার্যক্রম শেষ করার পর কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিলো তা জানা যাবে। স্থানীয় পর্যায়ে বিদেশি সিগারেট উৎপাদন ব্যাহত করার চেষ্টায় অবৈধভাবে বিদেশ হতে সিগারেটগুলো আনা হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

;

চট্টগ্রামে রিয়াজুদ্দিন বাজার মার্কেটে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় একটি মার্কেটে আগুন লেগেছে। এই ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রিয়াজউদ্দিন কমপ্লেক্সে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে আমতল এলাকার বাহার লেইনে রেজওয়ান কমপ্লেক্স নামক একটি মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে আগ্রাবাদ, নন্দনকানন ও চন্দনপুরা স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। রাত সাড়ে ৩টার পর আরও তিনটি ইউনিট যুক্ত করে মোট ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

;

মদপানের টাকার জন্য নিজ সন্তান বিক্রি করলেন বাবা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা সদর ইউনিয়নের নিজ শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে বাবা। মদপানের টাকা দিতে না পারায় নিজের আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চাইসিংনু মারমা (৪০)। শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে ক্রেতার কাছে বারবার গেলেও বিক্রির অর্থ ফেরত দিতে না পারায় নিজ সন্তানকে ফেরত আনতে পারেনি অসহায় মা উসাংচিং মারমা (৩০)। 

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে রুমা সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রুমাচড় পাড়া বাসিন্দা ক্যহ্লাচিং এর ছেলে চাইসিংনু মারমা (৪০) ও পাইন্দু ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা ক্যইমংউ মারমার বড় মেয়ে উসাংচিং মারমা এর মধ্যে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে। তবে স্বামী প্রায় সময় মদপান করে স্ত্রীকে মারধর করত। ছয় মাস আগে পরিবার ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায় স্বামী। পরে ঘরে ফিরে এসে প্রায় ১৫ দিন আগে মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে বেঁধড়ক পিটিয়ে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় আড়াই বছরের শিশু ছেলে নিজের কাছে রেখে দেয় মাতাল চাইসিংনু মারমা।

বুধবার (২৬ জুন) শিশুটির মা উসাংচিং মারমা বলেন, পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার পর থেকে রুমা সদর ইউনিয়নের পলিপাড়ার পার্শ্ববর্তী মায়ের খামার ঘরে মেয়ে সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করেন। তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, গত ২২ জুন তার শিশু ছেলেকে তার বাবা বিক্রি করে দিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, তার শিশু সন্তান সদর উপজেলায় লাইমি পাড়ার এক মারমা পরিবারের কাছে আছে।

লাইমি পাড়ার অবস্থান হচ্ছে বান্দরবান সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সেখানে গিয়ে তার ছেলে সন্তানকে দেখতে পায় এবং ছেলেও মাকে দেখে দৌড়ে চলে আসে। কিন্তু বিক্রির সময় বাবার নেওয়া তিন হাজার টাকা ফেরত দিতে না পারায় শিশুকে নিজ ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি এই অসহায় মা।

শিশুটির মা উসাংচিং মারমা আরও বলেন, মদ্যপানের জন্য নিজের সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে শিশুটির বাবা। একথা বলে তার চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারেনি শিশুটির মা। ঘটনা জানাজানির পর শিশুটির পিতা চাইসিংনু মারমা অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।

খবরটি পৌঁছায় প্রশাসনের কর্মকর্তারাদের নিকট। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন নির্দেশ দিলে রুমার ইউএনওকে শিশুটি উদ্ধার করতে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মার কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, শিশুটিকে আমরা উদ্ধার করে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রুমা সদর ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিংনু মারমা বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে ছেলেটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

;

পাহাড়ে প্রথমবারের মতো ড্রোন দিয়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাল দুদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধের দায়ের করা চারটি দুর্নীতির মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে দুদক কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাঙামাটির বরকল উপজেলাধীন সুবলং, ভূষণছড়া ও ঠেগামুখ এলাকায় গিয়ে ড্রোন উড়িয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দুদক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাঙামাটি জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে একই দিনে চারটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন নিজেই উক্ত চারটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এই চার মামলায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ঠিকাদার, ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সর্বমোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রাঙামাাটি জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, উপসহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সিলেট এলজিইডিতে কর্মরত) কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অমলেন্দু চাকমার স্বত্তাধিকারী অমলেন্দু চাকমা, মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী চিংহেন রাখাইন, মেসার্স সম্মৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী মিলন তালুকদার’কে আসামি করে এই চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।

দুদক সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বরকলের ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত কামিনী চাকমার জমির উপর মৎস্য বাধঁ ও পাকা সেচ ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৩ টাকা, বরকল উপজেলাধীন সুবলং বাজারে পানীয় জলের ব্যবস্থাকরণসহ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা, বরকল উপজেলাধীন সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকা সিড়ি নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাঁধ হইতে হারুন টিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামক ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৩ টাকা পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে উপরোক্ত টাকাগুলো আত্মসাৎ করে দণ্ড বিধির ৪০৯/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার গুলোর এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।

রাঙামাটিস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে উপরোক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৭৫ কার্যদিবস সময়কালে উপরোক্ত মামলাগুলোর সার্বিক বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে মামলা দায়ের করে তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করেছে। দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা জানান, আমরা তদন্ত কার্যক্রমে অনেক দূর এগিয়েছি। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সবকিছু মিলিয়ে এরপরের পদক্ষেপ চার্জশীট প্রদান করা।

;